ভারত মন্ত্রীসভার সভাপতি এবং অনেক মাতববর সভ্য ভাবে গতিকে বলিয়াছেন যে, কেবল ভারতবর্ষের নহে সমস্ত ইংরাজ রাজ্যের মুখ চাহিয়া যখন আইন করিতে হইবে তখন কেবল স্থানীয় স্তায় অন্যায় বিচার করিলে চলিবে না এবং করিলে তাহা টিকিবেও না। ল্যাঙ্কাশিয়র স্বপ্ন নহে। ভারতবর্ষের দুঃখ যেমন সত্য ল্যাঙ্কাশিয়রের লাভও তেমনি সত্য, বরঞ্চ শেষোক্তটার বল কিছু বেশি। আমি যেন ভারত মন্ত্রী-সভায় ল্যাঙ্কাশিয়রকে ছাড়িয়া দিয়াই একটা আইন পাস করিয়া দিলাম, কিন্তু ল্যাঙ্কাশিয়র আমাকে ছাড়িবে কেন ? কম্লি নেহি ছোড় তা—বিশেষত: কম্লির গায়ে খুব জোর আছে । - চতুর্দিকের অবস্থাকে উপেক্ষা করিয়া তাড়াতাড়ি একটা আইন পাস করিয়া শেষকালে আবার দায়ে পড়িয়া তাহ হইতে পশ্চাদ্বী হইলেও মান থাকে না, এদিকে আবার কৈফিয়ৎও তেমন সুবিধামত নাই। নবাবের মত বলিতে পারি না যে, আমার যে অভাব হইবে আমার যেমন ইচ্ছা তাহ পূরণ করিব, ওদিকে হ্যায়বুদ্ধিতে যাহা বলে তাহ সম্পন্ন করিবারও অলংঘ্য বিঘ্ন—অথচ এই সঙ্কটের অবস্থা টাও সাধারণের কাছে প্রকাশ করিতে লজ্জা বোধ হয়, ইহা বাস্ত বিকই শোচনীয় বটে ! এইরূপ সময়টায় আমরা দেশী সভা এবং দেশী কাগজপত্রে যখন গোলমাল করিতে আরম্ভ করিয়া দিই তখন সাহেবের মাঝে মাঝে আমাদিগকে শাসায় এবং গবর্ণমেণ্ট যদিবা আমাদের গায়ে হাত । তুলিতে সঙ্কোচ বোধ করে, ছোট ছোট কৰ্ত্তারা কোন সুযোগে একবার আমাদিগকে হাতে পাইলে ছাড়িতে চায় না এবং ভারত বর্ষীয় ইংরাজের বড় বড় খবরের কাগজগুলো শৃঙ্খলাবদ্ধ কুকুরের মত দাত বাহির করিয়া আমাদের প্রতি অবিশ্রাম তারস্বর প্রয়োগ । রাজনীতির দ্বিধা । করিতে থাকে । ভাল, বেন আমরাই চুপ করিলাম কিন্তু তোমাদের আপনাদিগকে থামাও দেখি ? তোমাদের মধ্যে যাহারা স্বার্থকে --سلم سات گلحس۔ উপেক্ষা করিয়া ধৰ্ম্মের পতাকা ধরিয়া দণ্ডায়মান হন, তাহাদিগকে নির্বাসিত কর, তোমাদের জাতীয় প্রকৃতিতে যে দ্যায়পরতার আদর্শ আছে তাহাকে পরিহাস করিয়া স্নান করিয়া দাও । , কিন্তু সে কিছুতেই হইবে না। তোমাদের রাজনীতির মধ্যে ধৰ্ম্মবুদ্ধি একটা সত্য পদার্থ। কখনো বা তাহার জয় হয় কখনো বা তাহার পরাজয় হয় কিন্তু তাহাকে বাদ দিয়া চলিতে পারে না। আয়ুলগু, যখন ব্রিটানিয়ার নিকট কোন অধিকার প্রার্থনা করে । তখন সে যেমন একদিকে খুনের ছুরিতে শান দিতে থাকে তেমনি অন্যদিকে ইংলণ্ডের ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে আপন দলে লইতে চেষ্টা করে। ভারতবর্ষ যখন বিদেশী স্বামীর দ্বারে আপন দুঃখ নিবেদন করিতে সাহসী হয় তখন সেও ইংরাজের ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে আপন সহায় করিবার জষ্ঠ ব্যগ্র হয়। মাঝে হইতে ইংরাজের রাজকাৰ্য্যে ল্যাঠা বিস্তর বাড়িয়া যায়। 's কিন্তু যত দিন ইংরাজপ্রকৃতির কোথাও এই সচেতন ধৰ্ম্মবুদ্ধির প্রভাব থাকিবে, যত দিন তাহার নিজের মধ্যেই তাহার নিজের জঙ্কতি ছদ্ধৃতির একটি বিচারক বর্তমান থাকিবে ততদিন আমাদের । সভাসমিতি বাড়িয়া চলিবে, আমাদের সংবাদপত্র ব্যাপ্ত হইতে থাকিবে। ইহাতে আমাদের বলবান ইংরাজগণ বিফল গাত্রদাহে যতই সবার হইয়া উঠিবে আমাদের উৎসাহ এবং উদ্যমের আবশুকতা ততই আরও বাড়াইয়া তুলিবে মাত্র। ... . . . 4 =s**
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/১৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।