8ఆ8 সাধনা । , নিতান্ত আবশুক। এই প্রকৃতিতে মানুষ একটু স্থল একটু মাংসল । হয়। বক্ষদেশ গভীর এবং শ্বাস-গ্রহণে শক্তি প্রচুররূপে থাকে। । রক্ত-চলাচল দ্রুতভাবে ও প্রচুররূপে হয়, তাহাতে উৎসাহ, আগ্রহ, হৃদ্যতা বদ্ধিত হয় । বল-প্রকৃতিও তাহার যথেষ্ট থাকা আবশুক। মজবুৎ দেহের কাঠাম—মুখাবয়ব সকল বড় বড় ও সমুন্নত, শক্ত চুল এই সমস্ত লক্ষণে বল-প্রকৃতি স্থচিত হয়। র্তাহার মন-প্রকৃতিও বিলক্ষণ থাকা চাই। মন-প্রকৃতির প্রাবল্য থাকিলে মনের ক্রিয়া সচেষ্ট্র ও বেগবান হয়, শাস্ত্রানুশীলনে প্রবৃত্তি হয়, জ্ঞানের স্পৃহা হয়,—সৰ্ব্বপ্রকার তথ্য অনুসন্ধানে আগ্রহ হয়। পরিষ্কার তীক্ষ নেত্র, সুনির্দিষ্ট সুকুমার মুখাবয়ব, স্বক্ষ কেশ ও ত্বক— অপেক্ষাকৃত লঘু অস্থি ও মাংসপেশী, বৃহৎ মস্তিষ্ক, দেহের সচেষ্ট চট্ পটে ভাব-প্রচুর স্বহ্মমৰ্ম্মিত ও অনুভবের তীব্রতা ইত্যাদি লক্ষণে মন-প্রকৃতি স্থচিত হয়। এই প্রকৃতিত্রয় সমানভাবে সংমিশ্রিত হইলে দেহ-পঞ্জর যথেষ্ট সবল হয়— অর্থাৎ এতটা বল থাকে না যাহাতে পাশবত বা পরুষতা উৎপন্ন হইতে পারে। দেহ পুষ্ট i-.------------ সিকত।ه . مr-ب بی. بی. سیسی سیس fi ~т -پی-سی-4-اہے ' থাকে কিন্তু স্থল হয় না । সুমার্জিত ভাব হয় কিন্তু অপৌরুষিকতা আইসে না। অর্থাৎ তাহার দেহ প্রকৃত সুরে বাধা সেতারের তিন সপ্তক পর্দার তারের ন্যায় সমানভাবে স্বরে বাজিতে থাকে। ডাক্তা রের জীবন উদ্বেগ, চিন্তা, শ্রান্তি, ধৈর্য্য, অধ্যবসায় এবং আত্ম-ত্যাগের সমষ্টি বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। সেই জন্ত তাহার এই প্রকার দেহ-প্রকৃতি হওয়া উচিত যাহাতে এই সকল গুণ ফুৰ্ত্তি পাইয়াওঁ । র্তাহার দেহকে নষ্ট করিতে পারিবে না। যদি কাহারও মন-প্রস্বতির আতিশয্য থাকে, তাহা হইলে সে সহজে ক্ষয়গ্রস্ত এবং উদ্বিগ্ন । - চটা-মেজাজ ও অস্থখী হয়। যদি বল-প্রকৃতি অতিমাত্রায় থাকে তাহার মুখাবয়ব কর্কশ ও চুল শক্ত হয়—তাহা হইলে তাহার চরিত্রে । বৃত্তিনিৰ্ব্বাচন । ৪৬৫ ভদ্রতা, সুমার্জিতভাব ও স্বরুচির অভাব হইবে। যদি প্রাণ-প্রকৃতি অতিশয় প্রবল হয়—তাহ হইলে শাস্ত্রানুশীলনে প্রবৃত্তি চলিয়া যাইবে—অতিরিক্ত পরিমাণে আহার পান করিয়া বুদ্ধি ঘোলাইয়। যাইবে—ব্যবহারেও অভদ্রতা বর্বরতা ইতরামি আসিয়া পড়িবে। চিকিৎসকের শারীরিক প্রকৃতি কিরূপ হওয়া উচিত উপরে বলা গেল-এক্ষণে কিরূপ মানসিক লক্ষণ তাহার কাজের পক্ষে উপযোগী তাহা বলা যাইতেছে। , , , প্রথমতঃ তিনি যে জ্ঞানরাশি অর্জন করিবেন তাহ কেজে ধরণের হওয়া আবশুক। রসায়ন, উদ্ভিদবিদ্যা, ধাতুবিদ্যা শারীর বিজ্ঞান, রোগ বিজ্ঞান ইত্যাদি র্তাহার আলোচনীয় বিষয়। এই - সকল বিজ্ঞান অনুশীলনের জন্য কপালের অধোভাগ বিলক্ষণ পরিপুষ্ট । হওয়া চাই—অর্থাৎ তাহার পর্য্যবেক্ষণী বৃত্তিসমূহ থাকা . চাই । কপালের উপরের দিক পরিপুষ্ট হইলে যে সকল কাজে মতলব আটা ও ফন্দি খাটানো দরকার সেই সকল কাজ ভাল করা যাইতে পারে কিন্তু ডাক্তার হইতে গেলে নীচের দিকের কপাল পরিপুষ্ট ন হইলে আদে সফলতা লাভ করা যায় না। ডাক্তারের মেধা ও "মরণশক্তি প্রবল থাকা চাই । তাহার কপালের মধ্যদেশ বিলক্ষণ পরিপুষ্ট হওয়া আবিষ্ঠক । কেন না, তিনি কেতাবে যাহা কিছু পড়িয়াছেন, দেখিয়া শুনিয়া যাহা কিছু র্তাহার অভিজ্ঞতা হইয়াছে, তাই প্রতিপদে কাজে খাটাইতে হইবে। র্তাহার বুদ্ধিবৃত্তিও প্রবল থাকা চাই-বিশেষত তুলনা-শক্তি। কপালের উদ্ধভাগ রিত্তির স্থান। তুলনাশক্তি প্রবল থাকিলে তিনি বিচার করিয়া । "গের মূল নির্ণয় করিতে সমর্থ হন। যাহার কেবল পৰ্য্যবেক্ষণী । লিগুলিই প্রবল তিনি রোগের ঠিক কারণ ধরিতে পারেন না— শাহ একবার একস্থলে দেখিয়াছেন তাহাই হয়তো ভিন্ন অবস্থাতেও ।
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/২০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।