৪৯৮ সাধনা। - । হইতে পারে। তাহারা শুধু ষে দৈহিক শ্রম করিতে পারে তাহ নহে, মানসিক শ্রমেও তাহার কাতর হয় না। তাহারা প্রভু হইয়া শ্রমজীবীদিগকে খাটাইতে পারে। তাহারা দেশ আবিষ্কারক, নবদেশানুসন্ধায়ী —জাহাজ পরিচালক নাবিকৃ—রেলপথের নিৰ্ম্মাতা রেলপথের তত্ত্বাবধারক হইতে পারে। রাজনৈতিক বিপ্লবের সময়, অরাজকতার সময় ইহারাই অনেক সময়ে বিদ্রোহের প্রবর্তক ও নেতা হইয়া উঠে । - - আইন, ডাক্তারি পাদ্রিগিরি এই সকল বিদ্যা-ব্যবসায়েও কখন কখন এই প্রকৃতির লোকদিগকে সফল হইতে দেখা যায়—কিন্তু সাধারণতঃ অফিস আদালত বিদ্যালয় অপেক্ষ মাঠ ময়দান রাস্তা ঘাটই ইহাদের উপযোগী কৰ্ম্মক্ষেত্র। যে পাদ্রির বল-প্রকৃতি, তাহার দেশ বিদেশে প্রচারক হইয়া বেড়ান উচিত । দ্বিতীয়ত প্রাণ-প্রকৃতি। ফ্রেণলজির ভাষায় ইংরাজিতে যাহাকে ভাইটাল টেমপারেমেণ্ট বলে। বল-প্রকৃতিতে যেমন অস্থি, পেশী ভূতির প্রাধান্য, প্রাণ-প্রকৃতিতে সেইরূপ মেদমাংসের প্রাধান্ত । এক্ষণে দেখা যাক, হৃষ্টপুষ্ট গোল-গাল্ল মোটা-সোটা প্রাণ-প্রকৃতির උ2 লোকেরা কিরূপ কাজের উপযুক্ত। প্রাণ-প্রকৃতির লোকের জীবন উৎসাহ আবেগ উচ্ছাসে পরিপূর্ণ, তাহারা মুক্ত বায়ুতে বহির্দেশে কাজকৰ্ম্ম করিতে ভালবাসে এবং কিসে আরামে থাকিতে পারে সর্বদাই তাহার চেষ্টা করে ; তাহদের কেজে সহজ বুদ্ধি। মানুষ দেখিলেই তাহারা চিনিতে পারে ও দ্রব্যের ভাল, মন্দ সহজে ধরিতে পারে। তাহারা খুব চতুর, দ্রুত-বুদ্ধি, উপায়জ, প্রত্যুৎপন্নমতি ও চৌকোশ হইয়া থাকে ; কিন্তু তাহদের চিন্তার গভীরতা নাই—যথাযথরূপে, পুঙ্খানুপুঙ্খ করিয়া তাহারা জ্ঞানার্জন করিতে পারে না, তাহদের স্থৈৰ্য্য ও অধ্যবসায়ও কম ; তাহার
বৃত্তিনির্বাচন। sås বোকের মাথায় কাজ করে ও তাহদের মনের আবেগ অত্যন্ত । প্রবল ; কৰ্ত্তব্য অপেক্ষা আমোদের দিকে তাহদের অধিক টান । এবং শ্রমসাধ্য কাজ করিতে তাহদের ভাল লাগে না । । এই প্রকৃতির লোক সেই সকল কাজ করিতে পারে যাহাতে বদ্ধভাব নাই, যাহাতে ক্রমাগত লাগিয়া থাকিতে হয় না; যাহাতে । দৈহিক কিম্বা মানসিক শ্রমের আতিশয্য নাই । তাহদের অর্জনস্পৃহা ও বিষয়-বুদ্ধি প্রবল ; সুতরাং তাহারা ব্যবসা কাজের বেশ উপযুক্ত। তবে,এক জায়গায় বদ্ধ হইয়া নিছক খাটুনির কাজ তাহার । করিতে পারে না – কেরাণীর দ্বারা সে-সব কাজ তাহাদের করিয়৷ লইতে হয়। তাহারা জানে কি করিয়া হোটেলের কাজ চালাইতে হয়—তাহারা বিবিধ ব্যবসায়ে ও কাজকৰ্ম্মে কনট্রাক্টর, এজেণ্ট ও তত্ত্বাবধারক হইতে পারে—রাজনৈতিক ব্যাপারে কিম্বা আফিসের কাজেও তাহার। নারাজ নহে। এই সঙ্গে যদি তাহীদের বল-প্রকৃতিও কতকটা থাকে, তাহা হইলে তাহাদিগের শ্রমশীলতা, অধ্যবসায়, কাজ করিবার শক্তি অপৰ্য্যাপ্ত হইয়া থাকে । কিন্তু এরূপ স্থলে তাহাদের মানসিক ক্রিয়া কিঞ্চিৎ শ্লথগতি ও অনিশ্চিত । হইরা থাকে এবং চরিত্রে একটু কঠোরতা পরুষতা আসিয়া পড়ে। ও মার্জিতভাবের অভাব হয় । । এই প্রকৃতির লোক সকল ব্যবসায়ের মধ্যেই দেখা যায়— তবে ডাক্তার ও পাদ্রির মধ্যে এই প্রকৃতির লোক অধিক। প্রাণ পদ্ধতির সহিত মন-প্রকৃতির কতকটা সম্মিলন হইলে ভাল ডাক্তার ও ধর্মপ্রচারক হওয়া হয়। পূর্বেই বলা হইয়াছে, ডাক্তারের প্রফুল হাসি-মুখ রোগীর পক্ষে অত্যন্ত উপাদেয় – তাই ডাক্তারের প্ৰাণ-প্রকৃতি থাকা নিতান্তই আবশ্যক। বরং একটু বিদ্যার অভাব হইলে তত ক্ষতি নাই কিন্তু গোমসামুখো, খিটখিটে