摧一 **, 德十 撰 #" T蚤。 ৫৬ সাধনা। লাপলাসের গণনায় প্রমাদ নাই সত্য, কিন্তু আর একটা উপদ্রবের সম্ভাবনা আছে। সুন্দর স্বনিয়ত সৌরজগতের মধ্যে কোথা হইতে মাঝে মাঝে ভীমপুচ্ছধারী অজ্ঞাতকুলশীল ধূমকেতু নামে পদার্থ এক একটা চলিয়া আইসে, তাহাদের দেখিলে অদ্যাপি পণ্ডিতগণেরও মধ্যে আতঙ্কের সঞ্চার হয়। ধূমকেতুর উদয়ে মহামারী বা রাষ্ট্রবিপ্লবের আশঙ্কায় কাসর ঘণ্টা বাজান লোকে আর আবশ্যক বোধ না করিতে পারে ; কিন্তু ইহাদের স্থিতি গতি আকার অবয়ব এমনি রহস্তপূর্ণ, যে, একটু আতঙ্ক না হইয়া যায় না। মাধ্যাকর্ষণ অন্যান্ত পদার্থের হ্যায় ধূমকেতুকেও অধীনে রাখিয়াছে বটে ; কিন্তু ইহার কোথায় থাকে, কোথা হইতে আইসে, কিছুই যখন জানা নাই, তখন কোন অজ্ঞাত অনিৰ্দ্দেশ্য স্থান হইতে অক স্মাৎ আবিভূত হইয়া মাধ্যাকর্ষণের বলেই আমাদের নিকটে আসিয়া পৃথিবীকে একটা আকস্মিক ধাক্কা দিয়া ফেলিলে পণ্ডিতের তর্ক করিবার অবসর না পাইতেও পারেন। আজকাল এ আশঙ্কা কতকটা নিরাকৃত হইয়াছে বলিতে হইবে । ধূমকেতুর আকার আয়তন যতই ভয়াবহ হউক, উহার বড়ই লঘুপ্রকৃতিক ; অর্থাৎ কি না আয়তনে যে দশটা পৃথিবীর সমান, ওজনে হয়ত সে দশ ছটাকও হয় না। সুতরাং দশটা পৃথিবী কেন, দশ হাজারটা স্বর্ঘ্যের সমান আয়তন হইলেও ধূমকেতুর ধাক্কা তত ভয়ানক না হইতেও পারে। আবার এরূপও শুনা যায় যে, ইতিমধ্যে আমরা অজ্ঞাতসারে দু একটা ধূমকেতুর পুচ্ছের অভ্যন্তর দিয়া চলিয়া গিয়াছি, তাহা বুঝিতেও পারি নাই। ১৮৭২ সালের নবেম্বর মাসে একবার একটা ধূমকেতুর পুচ্ছের ভিতর দিয়া পৃথিবীকে যাইতে হইয়াছিল। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় উল্কাবৃষ্টি ভিন্ন অন্ত কোন উৎপাত,লক্ষিত হয়। নাই। এই দেখিয়া ও আরও অন্যান্য কারণে আজকাল . . . . • ? ۰۹» tTi iی، অনেকেই সন্দেহ করেন, ধূমকেতু কেবল উল্কাপিণ্ডের পাল মাত্র। বোধ হয় প্রকৃতই তাই। তাহা হইলে ধূমকেতুর সংঘর্ষে ভূমণ্ডলের বড় বিপদের আশঙ্কা নাই। একবার একটা ধূমকেতু বৃহস্পতি গ্রহের সন্নিহিত হইয়াছিল। বৃহস্পতির তাহাতে কিছুই হয় নাই। ধূমকেতুরই গন্তব্যপথ বিচলিত হইয়াছিল মাত্র। : ধুম্ৰকেতু সংঘর্ষের আশঙ্কা না থাকিলেও সৌরজগতের বাহির । হইতে অন্য কেহ আসিয়া যে পৃথিবীর উপর নিপতিত ন হইতে । পারে ইহার পক্ষে বা বিপক্ষে কোন বিশেষ প্রমাণ নাই। লাপ লাসের গণনা সৌরজগতের অভ্যন্তরেই বৰ্ত্তে, বাহিরের কোন পদার্থের উপর বৰ্ত্তে না। বাহির হইতে কোন পদার্থ কোন কালে । আসিয়া আকস্মিক প্রলয় উৎপাদন করিতে পারে না, সাহস করিয়া বলা যায় না। নক্ষত্ৰলোকে বরং এইরূপ আকস্মিক প্রলয়ব্যাপারের দুই একটা উদাহরণ দেখা যায়। কিছু দিন হইল হুগিন্স সাহেব । একটা নক্ষত্রকে হঠাৎ জলিয়া উঠিতে দেখিয়াছিলেন। কিছু দিন । জলিয়া আবার নিভিয়া যায়। হুগিন্স যন্ত্র সহকারে তাহার আলোক । বিশ্লেষণ করিয়া দেখেন, হঠাৎ হাইড্রোজেন অর্থাৎ উদজান বাষ্প জলিয়া উঠায় ঐরূপ ঘটিয়াছে। হাইড্রোজেন জলিয়া উঠা বড় সহজ কথা নহে। হাইড্রোজেন পোড়াইলে অবশ্য জল হয়। কিন্তু একটা বোতলে হাইড্রোজেন পূরিয়া তাহ পোড়াইতে থাকিলে এত উত্তাপ জন্মে যে, তাহার ক্ষুদ্র শিখাতে লোহার পাত কাগজের - کر پیسہ کم۔ وجے ج۔ا۔ . - - - ہسمRTx S- - トア মত পুড়িতে থাকে, প্লাটিন পৰ্য্যন্ত গলিয়া যাইতে পারে। স্থদুর একটা নক্ষত্রে হাইড্রোজেন জলিয়া উঠা সামান্য কাণ্ড নহে। পৃথিবীর ইতিহাসেও বোধ করি এই ব্যাপার এক সময়ে ঘটিয়া ছিল।, আজকাল বায়ুর মধ্যে উদজান বর্তমান নাই, কিন্তু બસকালে যথেষ্ট বর্তমান ছিল অবশ্য এক সময়ে সেই সমুদয় উদজান ।
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/২২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।