পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; i ; : --- - - - - . . . . :- . . . . . . .”. &" এই উপলক্ষে মামলা মোকদম বাধিয়া উঠা অনিবাৰ্য্য। সৰ্ব্বস্বাস্ত উন্মাদ অধিকৃত হইয়। মানুষ যখন জীবনের সমস্ত দায়িত্ব বিস্তৃত হয়, তখন তাহার সেই অবস্থা। কিন্তু অৰ্দ্ধপথ অতিক্রম করিতে না। করিতে চৈতন্ত্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে একটা অবসাদ আসিয়া ক্রমে তাহাকে আচ্ছন্ন করিল। নিজের জন্য অকালী সিং কখন ভাবিত না, তখনও ভাবিতেছিল না, কিন্তু রাগ পড়িয়া গেলেই তাহার মনে । হইতে লাগিল যে, হয়ত বোকের মাথায় একটা কাজ করিয়া ফেলিয়া সে প্রভুকন্যার সর্বনাশ করিল। অকালী সিং বুঝিল যে, যে জোরে সে সিদ্ধেশ্বরকে ফেলিয়া দিয়াছিল তাহাতে তাহার প্রাণ- । - ، ، اهميه \ rՔ 늘- ملا مجموسیدگ বিয়োগ না হইলেও গুরুতর আহত হওয়ার বিলক্ষণ সম্ভাবনা ৷ ছোট তরফের এমন বল নাই যে, সেরূপ একটা সঙ্গীন বিপদ সামলাইয়া উঠে। অকালী সিং এক একবার মনকে প্রবোধ দিল বটে যে, না হয় খুন কি জখমের দায়ে সে নিজে আপদে পড়িবে, তার স্বরোদিদির কোন অলক্ষণ না হইলেই হইল। কিন্তু তখনি আবার মনে হইতেছিল, তাহার অবর্তমানে কে সে সরলা বালিকার হিতাকাজক্ষা করিবে। অন্তিমশয্যায় প্রভুর কাছে অকালী সিং যে প্রতিশ্রত হইয়াছিল, তাহার প্রাণ থাকিতে স্বরোদিদিকে সে কখন ছাড়িয়া যাইবে না, হায় তাহ বুঝি আর রক্ষা হয় না। মনের এই অবস্থায় অকালীসিং ক্রমে প্রভুগৃহের সমীপবৰ্ত্ত হইল। অকস্মাৎ তাহার মনে হইল কেহ তাহার অনুসরণ করিতেছে। রাত্রি প্রায় দ্বিতীয় প্রহর, কৃষ্ণ দ্বাদশীর স্বচীভেদ্য অন্ধকারে পথপাশ্বস্থ বৃক্ষরাজি কচিৎ বায়ুহিল্লোলে দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগের মত স্বনিয়া স্বনিয়া উঠিতেছে, কচিৎ কালপেচক বিকট কণ্ঠে দিকে দিকে ধ্বনি জাগ্রত করিতেছে,কোথাও সশঙ্ক কুকুর সহসা চীৎকার কুরিয়া । উঠিতেছে। এই স্থান এবং কালে স্পষ্টতঃ অকালীসিং মানুষের কৃতজ্ঞতা। । 636 পদশৰ শুনিতে পাইল কিন্তু পশ্চাতে ফিরিয়া আসিয়া কিছুই লক্ষ্য করিতে পারিল না। অকালী সিংএর দেউড়া প্রবেশের কিছু । পরে কেহ আসিয়া দ্বারে করাঘাত করিল। । অকালী সিং আহার না করিয়াই বাহিরে গিয়াছিল। ফিরিয়া আসিয়া অবসন্ন মনে একেবারে খাটিয়া আশ্রয় করিল। শয়নের জষ্ঠ নহে, চিন্তার জন্য। একবার ভাবিল, ভগীদাসীকে উঠাইয়। সকল কথা বলিয়া একটা পরামর্শ করিবে। কিন্তু একে স্ত্রীজাতির । - বুদ্ধিশুদ্ধির উপর তাহার কোন কালে তেমন বিশ্বাস ছিল । नl, তাহাতে ভগী আর কিছু করিতে না পারুক কাদিয়া কাটিয়া সুরবালার ঘুম ভাঙ্গাইয়া পাছে একটা কাণ্ড করিয়া বসে, ইহা ভাবিয়া অকালী সিং সে কথাটা মনে স্থান দিল না। এমন সময়ে কেহ দ্বারে করাঘাতের উপর করাঘাত করিল। . . . . - রুক্ষম্বরে অকালী সিং হাকিল “কোন হায় ?” আগন্তুক ঠিক্‌ , সেই স্বরে বরঞ্চ স্থর একটু চড়াইয়া দিয়া সেই কথাটাই পুনরুক্ত ... ." করিল। বলিল দুয়োরটা একবার খুলেই দেখ না বাপু ! একে কোম্পানির কাজে রাত বিরেত নেই, তার ওপর যদি লোকের দুয়োরে চারদণ্ড দাড়িয়ে দাড়িয়ে “কোন হায়” আর "হাম হায়” করে . রাত কাটাতে হয়, তবে আর জান বাচেনা। খোল বলুচি দরওয়ান।" অকালী সিং বজ্ৰগম্ভীর স্বরে বলিল “ফাজিল কথা রেখে দাও | কে তুমি * - - লোকটা পথশ্রান্ত হইয়া আসিয়াছিল, কোম্পানির নাম লওয়া সত্বেও বরকন্দাজটা হুয়ার খুলিয়া না দেওয়ায় সে আর দ্বিরুক্তি না । করিয়া বলিল “আমি কালেক্টর সাহেবের চাপরাসী খোদা সাহেরের হুকুম মতে ছোট তরফে খবর দিতে এসেচি যে, কাল বেলা ।