* ९२२ সাধন। : ; একটি শিক্ষ হইল। শরীর পাপের কারণ হইলেও পাপের প্রকৃত । আবাস মনে, এবং দুঃখের প্রকৃত কারণ মনের পাপচিন্তা। অতএব পাপচিন্তা, বিষয়বাসনা, সুখের কামনা, এই সকল থাকিতে । আমরা স্বৰ্গবাসী হইলেও দুঃখের অতীত হইতে পারি না। ইহাতে সিদ্ধার্থ আরও ব্যাকুল হইয়া পড়িলেন। তিনি মনে করিয়াছিলেন যে, সংসার ছাড়িলেই মুক্তি, বৃক্ষের স্থপক্ক ফলের ন্যায়, আপনাপনি হাতে আসিয়া পড়িবে। কিন্তু সে মুক্তি এখনও কোথায় আছে তিনি দেখিতে পাইলেন না, এবং তাহ প্রাপ্তব্য কি না তাহাও জানা নাই। তিনি মনের বেগে দৌড়াইতে লাগিলেন। সংসারে আর ফিরিবেন না। মন্ত্রের সাধন বা শরীর পতন—এই এক বচন লইয়া তিনি চলিতে লাগিলেন। তিনি শুনিয়াছিলেন যে, রাজগৃহে অনেক ঋষি, যোগী এবং ব্রহ্মচারীরা বাস করেন। তাহারা নিশ্চয়ই সেই ব্রতে নিমগ্ন ছিলেন। নিশ্চয়ই র্তাহাদিগের নিকট তিনি সিদ্ধকাম হইতে । পরিবেন। এই মনে করিয়া তিনি র্তাহাদিগের নিকট আসিলেন, তাহাদিগের মধ্যে রহিলেন এবং তাহাদিগের স্তায় । তিনি ঘোর । সাধন আরম্ভ করিলেন। যে অভাবটি তাহার হইয়াছিল সেই অভাবটি ইহঁাদিগেরও হইয়াছিল এইটি তিনি বুঝিতে পারিলেন। মনের পাপ কিসে যায়? এটি তিনি জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, ইহঁরাও জিজ্ঞাসা করিতেছিলেন। ব্রহ্মচারীরা এই উদ্দেন্তে অনেক উপায় অবলম্বন করিয়াছিলেন। কিন্তু সে সকলের একটি মুখ্য উদ্দেশ্য। তাহ এই যে, শরীরকে তাড়না করিয়া, শরীরের অঙ্গ- সমূহকে যৎপরোনাস্তি নির্যাতন করিয়া মনকে প্রকৃতিস্থ করা। অর্থাৎ কিনা মনের পথ শরীরের ভিতর দিয়া। শরীরকে পোষণ করিলে মন পরিপুষ্ট ও সতেজ থাকে, কিন্তু শরীরকে নানামতে ~~ বুদ্ধদেবের মনের ইতিহাস i মা। এত বড় বড় যোগী ঋষিরা যখন এই পথের সিদ্ধান্ত করিয়াছেন তখন তাহ গ্রাহ করিতেই হইবে। এই ভাবিয়া তিনিও ঘোর । ব্রত ও তপশ্চরণে প্রবৃত্ত হইলেন। বিজ্ঞানশাস্ত্রের হস্তে পরীক্ষা বলিয়া একটি প্রধান অস্ত্র আছে। সেই অস্ত্র সিদ্ধার্থ চালাইতে চালাইতে দেখিলেন যে, ঋষিরা যে উপায় অবলম্বন করিয়াছিলেন তাহ শাস্ত্রানুমোদিত হইলেও সম্পূর্ণরূপে অলীক ও ভ্রান্ত। তিনি । ত কেবল জ্ঞানবৃত্তি চরিতার্থ করিতে যান নাই। রাজপুত্রকে । অনেক বিয়য় জানিতে হয়, সেই জানিবার ইচ্ছা চরিতার্থ করিবার । জন্য ব্রহ্মচারীদিগের আশ্রয় গ্রহণ করেন নাই। পণ্ডিতেরা যে সকল মতের পক্ষ সমর্থন করিয়া গিয়াছিলেন সে সকল মতের সত্যাসত্য বিচার করিতেও সেখানে যান নাই। তাহার জীবনে একটি মহ অভাব দেখা দিয়াছিল, মুক্তির জন্য র্তাহার ভয়ানক তৃষ্ণা হইয়াছিল, জীবলোকের দুঃখ দেখিয়া তাহার মন নিরন্তর কাদিতেছিল। এবং । ইহার সঙ্গে সঙ্গে তাহার এটিও বিশ্বাস ছিল যে, তিনিই সে দুঃখরাশি দূর করিতে পারিবেন এবং সেই দুঃখরাশি দূর করা তাহারই । জীবনের কার্য্য ! সিদ্ধার্থের পক্ষে এই কথা জীবন মরণের কথা বলিতে হইবে। যদি তিনি ইহার মীমাংসা করিতে সক্ষম হন তাহ হইলে তিনি ইহাই প্রচার করিয়া জীবগণের মুক্তির পথ পরিষ্কার করিয়া দিবেন। আর যদি তিনি ইহাতে কৃতকাৰ্য্য না হন তাহা হইলে তাহার পক্ষে প্রাণধারণ করা বিড়ম্বন মাত্র, তাহার পক্ষে। স্বত্যুই প্রার্থনীয়। এই ঘোর মন্ত্রের সাধন করিতে তিনি কৃতসঙ্কল্প । হইয়াছিলেন। তাহার নিকট শাস্ত্র কিম্বা অশাস্ত্রের বিষয় কিছুই ছিল না । যোগী ঋষি পণ্ডিতদিগের নাম তাহার নিকট কিছুই । "ব। য়াহা সত্য, যাহা যুক্তিসঙ্গত, যাহা কাৰ্য্যে পরিণেতব্য । ৫২৩ : পেষণ করিলে মন হীন ও দুৰ্ব্বল হয়। সিদ্ধার্থ কিছুই জানিতেন তাহাই তাহার নিকট ধৰ্ম্ম । একজন বড়লোক কোন কথা বলিয়া ية تين": يوجدجم-.م.م.م. .
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/২৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।