* সাধন । বলিয়া স্থির করি। কিন্তু অনেক বিষয় আছে যাহার নিয়ম আবিষ্কৃত না হওয়ায় তাহ আমুদের চক্ষে আশ্চৰ্য্য বলিয়। মনে হয় । গুরুদ্রব্য নীচের দিকে পড়ে—প্রাচীনের এই এক নিয়ম দর্শনসিদ্ধ বলিয়া অঙ্গীকার করিতেন। এই নিয়ম অনুসারে পৃথিবী গুরু হইলেও ক্রমাগত নীচের দিকে পড়িয়া যায় না কেন— প্রাচীনদের মধ্যে এই একটা মস্ত বিতর্কের বিষয় ছিল । এখানে নিয়মের অভাব দেখিয়া অজ্ঞলোকে কল্পনা করিল একটা বৃহৎ কচ্ছপের পৃষ্ঠে আমাদের ধরণ অবস্থিত । এই সম্পূর্ণ বালক অথবা উন্মত্ত। যেখানে কোনও একটা বিষয় বুঝিতে পারিবে না সেখানে আপাততঃ বুদ্ধি পৌছিল না বলিয়। স্বীকার করিবে, এবং তাহার নিয়ম আবিষ্কারের জন্য যত্নবান হইবে ;– কেহ বিষয়টাকে এ পর্য্যন্ত বুঝাইয়া দিতে পারে নাই বলিয়! একটা যথাতথা যুক্তিবিরুদ্ধ ব্যাখ্যা কদাচ অঙ্গীকার করিবে না। কপিলের এই উপদেশ আমাদের মজ্জাগত হওয়া উচিত। যজ্ঞে বা দেবপূজায় পশুহত্যা করিয়া অনেকে স্বর্গে যাইব মনুষ্য পৃথিবীতে দুঃখের যন্ত্রণায় দুঃখ বর্জিত স্বর্গের কল্পনা করে। এবং জীবহত্যারূপ যন্ত্রণাকে কেহ কেহ স্বৰ্গস্থথের কারণ বিবেচনা করে । এই এক অযৌক্তিক কথর প্রতি কটাক্ষ করিয়া সাংখ্যের বলেন –
- Tァ士r డా. "= * \, wo " (, S
“দুঃথাৎ দুঃখস্থ – জলাভিষেকাৎ ন জাড্যবিমোকঃ” —শীতাৰ্ত্ত ব্যক্তি জলমগ্ন হইলে তাহার যে দশ', পশুঘাতী বজমানেরও সেই দশা—কেন না, দুঃখ হইতে দুঃখই হইতে পারে। স্থখ হইতে পারে না । কথাট। কিছু রঙ্গিন বলিয়াই এ স্থলে উল্লেখ করিলাম । ইহার শুহত্যা যদি স্বর্গের কারণ হয় তবে পশুহত্যা যখন যন্ত্রণার 14, স্বৰ্গও তখন যন্ত্রণার কারণ হইবে। কারণে দুঃখ থাকিলে র্য্যেও দুঃখ থাকিবে । - বলা বাহুল্য যুক্তিটা সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর নহে। দুঃখ হইতে সুখের উৎপত্তি যে দেখা যায় না এমন নহে । আমরা ঈশ্বরোপাসনায় পশুহত্যার পক্ষপাতী নহি-–সে ভিন্ন কারণে। এস্থলে কথাটার অবতারণা এইজন্য করা হইল যে, প্রাচীন সাংখ্যের যুক্তির । মৰ্য্যাদা রক্ষার জন্য বেদোক্ত আচারকেও দূষণীয় বলিতে কুষ্ঠিত হয়েন নাই । ১৪ ॥ আত্মা ও দীপশিখা ॥ - - - Sনাস্তিকমতে “আত্মা” নামে স্থির বা নিত্যপদার্থ নাই । তা ছাদের মতে ; – “স্থিরকাৰ্য্যাসিদ্ধে ক্ষণিকত্বম’ ৩৪ —সকল কাৰ্য্যই অস্থির বা অনিত্য—অাত্মা একপ্রকার কার্য্য, যেমন দীপশিখা ;-অতএব আত্মাও ক্ষণিক । উদাহরণটি নাস্তিকদের বড় প্রিয় । যেমন তৈল ও বৰ্ত্তিকাতে অন্য দীপশিখার যোগে একটি নুতন দীপশিখার আবির্ভাব হয় তেমনি শুক্ৰশোণিতে অন্য আত্মার যোগে নুতন আত্মার আবির্ভাব হয় । দীপশিখাকে তোমরা মনে কর উহ। স্থির ; বাস্তবিক তাহা নহে; উহী ক্ষণে ক্ষণে নবীকৃত হইতেছে। প্রত্যেক মুহূৰ্ত্তে দীপশিখা নূতন হইতেছে ; উহা ক্ষণিক ; কেবল স্থির বলিয়া প্রতীয়মান হয় মাত্র। দীপশিখার ধারাবাহিকতাবশতঃ উহু । স্থির বলিয়। মনে হয়—তেমনি কেবল জ্ঞানপ্রবাহের ধারাবাহি % % { |