. . - ংরাজের আতঙ্ক । \$)') NV o সাধন । । ইংরাজের আতঙ্ক কিন্তু অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান সম্প্রদায়ের উন্ম। তখনও নিবারণ হইল না। বিদ্রোহীদের প্রতি নিরতিশয় নির্দয় শাস্তিবিধান না করিয়া তাহার ক্ষান্ত হইতে চাহে না । তাহারা বলিল, বিদ্রোহীরা যাহা চাহিয়াছিল সকলই যদি পাইল তবে ত তাহদের বিদ্রোহের সার্থক তাসাধন করিয়া এক প্রকার পোষকত! করাই হইল। ক্যালকাটা-রিভিয়ুপত্রের কোন ইংরাজ লেখক এই শান্তিপ্রিয় নিরীহ সাওতালদিগকে বনের ব্যাঘ্র, রক্তপিপাস্থ না ;—তাহার। কি চায়, কেন বাহির হইয়াছে কিছুই বুঝিতে পারিল না। এ দিকে পথের মধ্যে পুলিস তাহাদের সহিত লাগিল—আহারও ফুরাইয়া গেল—পেটের জালায় লুটপাট আরম্ভ হইল। অবশেষে গবমেন্টের ফৌজ আসিয়া তাহাদিগকে দলকে-দল গুলি করিয়া ভূমিসাৎ করিতে লাগিল । এই ঘটনার উপলক্ষ্যে হাণ্টার সাহেব বলেন—ভারতবর্ষে অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান সম্প্রদায়ের সংখ্যা অল্প এবং তাহারা বহু সংখ্যক ভিন্নজাতীয় অধিবাসীর দ্বারা পরিবেষ্টি ত এরূপ অব বীর প্রভৃতি বিশেষণে অভিহিত করিয়া এক প্রবন্ধ লিখিলেন, স্থায় সামান্য স্বত্রপাতেই বিপদের আশঙ্কাটা অত্যন্ত প্রবল হইয় উঠে। তখন পরিণামের প্রতি লক্ষ্য করিয়া ধীরভাবে বিবেচনা করিবার সময় থাকে না—অতি সত্বর সবলে একটা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করিয়া ফেলিবার প্রবৃত্তি জন্মে। যখন অ্যাংলোইণ্ডিয়ানগণ এইরূপ কোন কারণে অকস্মাৎ সন্ত্রস্ত হইয়া উঠে তখনি গবর্মেন্টের মাথা ঠাণ্ড রাখা বিশেষরূপে আবশ্যক হয়। হাণ্টার বলেন, এইরূপ উত্তেজনার সময় ভারত গবৰ্ণমেণ্টকে প্রায়ই ঠাও। থাকিতে দেখা গিয়াছে । উপরি-উক্ত সাওতাল-উপপ্লবে কাটাকুটির কার্য্যটা বেশ রীতিমত সমাধা করিয়া এবং বীরভূমের রাঙা মাটি সাওতালের রক্তে লোহিততর করিয়া দিয়া তাহার পরে ইংরাজরাজ হত ভাগ্য বন্যদিগের দুঃখনিবেদনে কর্ণপাত করিলেন । যখন বন্দুকের আওয়াজটা বন্ধ করিয়া তাহদের সকল কথা ভাল । করিয়া শুনিলেন তখন বুঝিলেন তাহাদের প্রার্থনা অন্যায় নহে । তখন তাহদের আবশ্যকমত আইনের সংশোধন, পুলিশের পরিবর্তন এবং যথোপযুক্ত বিচারশালার প্রতিষ্ঠা কর হইল । - - ই ব দিবার জন্য গবর্মেটিকে অনুরোধ করিলেন । মনে একবার ভয় ঢুকিলে বিচারও থাকে না, দয়াও থাকে না । আমাদের সংস্কৃত শাস্ত্রে আছে—শক্তস্য ভূষণং ক্ষম । হয় না । যেখানে মনে মনে আত্মশক্তির অভাব আশঙ্কা হয় করে না, নিষ্ঠ,রভাবে অন্যকে ভয় দেখাইতে চেষ্টা করে । লেই জানেন ভয়ই তাহার মূল কারণ, হিংস্রতা নহে । ইংরাজ যখন কোন কারণে আমাদিগকে ভয় করে তখনি সেটা আমাদের পক্ষে বড় ভয়ের বিষয় হইয় দাঁড়ায়—তখনি ভরের কম্পনে দয়ামায়া সুবিচার আপাদমস্তক টলমল করিতে থাকে । ইংরাজ হঠাৎ কনগ্রেসের মূৰ্ত্তি দেখিয়। প্রথমটা আচমক। সাইরা উঠিয়াছিল। তাহার কারণ, মানুষ চিরসংস্কারবশতঃ
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।