পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পশ্চিমে হেরি নামিছে তপন অস্তাচলে ! এখন বারেক শুধাই তোমায় স্নিগ্ধ মরণ আছে কি হোথায়, আছে কি শান্তি, আছে কি সুপ্তি তিমির-তলে ? হাসিতেছ তুমি তুলিয়া নয়ন কথা না বলে’ ! সাংখ্যদর্শন । ১৬ ॥ চৈতন্য ও জ্ঞান ৷ সাংখ্যদর্শনে “চৈতন্য” ও “জ্ঞান” এই দুইটি শব্দেরই বহুল পরিমাণে ব্যবহার দেখা যায়, কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে ভেদ কি চাহ বড় পরিস্কার নহে। তত্ৰাচ অনুধাবন করিয়া দেখিলে ঘল ভেদ আছে বোধ হয় । সাংখ্যের বলেন,আমরা নিজ নিজ দৃষ্টান্তে প্রকৃতি ও পুরুষকে - পরম্পর সম্বন্ধবিশেষে সংযত দেখি ; কিন্তু এই সম্বন্ধবিশেষ নিত্য নছে । ইহার উচ্ছেদ সম্ভব এবং তাহদের শাস্ত্রে তছুচ্ছেদের উপায় নির্ণীত হইয়াছে । যাহা কপিলসুত্র বলিয়া পরিগণিত তাহার শেষ সূত্র এই যে, যদ্ব তদ্ধ তদুচ্ছিত্তিঃ পুরুষাৰ্থঃ তদুচ্ছিত্তিঃ পুরুষাৰ্থঃ । ৬–৭০ | যেন তেন প্রকারেণ প্রকৃতিপুরুষের সংযোগসম্বন্ধের উচ্ছেদস্বাধন করাই জীবনের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত । আত্মা প্রকৃতির সহিত অসংযত হইয়া থাকিতে সক্ষম । তদবস্থায় আত্মার স্বভাব কি ? সাংখ্যেরা বলেন, “চৈতন্যই তদ বস্থায় BBBB BBB S BB BBBBB BBBB SBBBS BBS BB S কোনও কোনও সাংখ্য পণ্ডিত তাহাকে এমন কি প্রকৃতির কার্য্য বলিয়া বিবেচনা করেন। তাহাতে “জ্ঞান” প্রকৃতির কার্য্য হউক বা না হউক, অন্ততঃ প্রকৃতিপুরুষের সংযোগজন্য বটে ; আর বাহ “চৈতন্য" বলিয়া অভিহিত তাহ প্রকৃতিপুরুষের সংযোগ- . জন্য নহে। এই “চৈতন্য”নামক পদার্থ প্রকৃতিতে আদেী নাই , তজ্জন্য প্রকৃতিকে “অচেতন” বলা যায় । কপিলের এক স্বত্র এই – 하 - অর্ণধার রজনী আসিবে এখনি মেলিয়া পাখা, সন্ধ্যা-আকাশে স্বর্ণ-আলোক পড়িবে ঢাকা । শুধু ভাসে তব দেহ-সৌরভ, শুধু কানে আসে জল-কলরব, গায়ে উড়ে পড়ে বায়ুভরে, তব কেশের রাশি । বিকল হৃদয় বিবশ শরীর ডাকিয় তোমারে কহিব অধীর— “কোথা আছ ওগো করহ পরশ নিকটে আসি !” কহিবে না কথা, দেখিতে পাব না নীরব হাসি !