>& ०. সাংখ্যদর্শন । ( ) আত্মার দুঃখের কারণ কি ইহার বিচারস্থলে কেহ কেহ বলেন যে, দেশ ও কালের সহিত আত্মার সংযোগ সংসাধিত হওয়ায় আত্মা দুঃখ অনুভব করে । কপিল এই মতের খণ্ডনাভিপ্রায়ে বলেন ;– করিয়া চৈতন্য সম্ভব হইবে না। তাহ হইলে দেশ ও কালকে চৈতন্যের নিয়ম বলিয়৷ স্বীকার করিতে হয়। অর্থাৎ এই দুইটি পদার্থকে আত্মার স্বভাবসিদ্ধ সংস্কার বলিতে হয়। প্রকৃতির সহিত 鬣 র বর্তমান সম্বন্ধের উচ্ছেদ হইলেও, দেশ ও কালের সংস্কার হুইবার নহে। ইহাই বোধ হয় সমীচীন সাংখ্যমত । এই মত কতদূর যুক্তিসঙ্গত তাহার আলোচনা এই প্রবন্ধiার উদ্দেশ্য নহে। কৃতবিদ্য চিন্তাশীল পাঠকের তদ্বিষয়ে নিজ নিজ অভিপ্রায় প্রকাশ করিবেন। দেশও কালের তত্ত্ববিষয়ে পণ্ডিতের! আজিও বিসম্বাদী রহিয়াছেন। “ন কালযোগত ঃ — "ব্যাপিনে নিত্যস্য সর্বসংবন্ধাৎ " ১-১২ ৷ “ন দেশযোগতোহপি অস্মাৎ ।” ১-১৩ । দেশ ও কাল ব্যাপী (Infinite) এবং নিত্য (Eternal) : বদ্ধ অবস্থাতেও আত্মার সহিত ইহাদের যে সম্পর্ক, মুক্ত অবস্থাতেও সেই সম্পর্ক। দেশ ও কালের সহিত বিমুক্ত হইয়। আত্মা অবস্থান করে না। সুতরাং আত্মাকে স্বভাবতঃ বদ্ধ বলিয়া এবং তাহার দুঃখের পরিহার অশক্য বলিয়। স্বীকার না করিলে দেশ ও কালকে হুঃখের কারণ বলা যায় না। এখানে স্পষ্টাক্ষরে দেশ ও কালকে নিত্য পদার্থ বলিয়া অঙ্গীকার করা হইয়াছে। আমাদের এই বিরোধের মীমাংসা করি বার চেষ্টার আব শ্যক নাই । বাস্তবিক দেশ ও কাল যদি নিত্য হয় তবে তাহার কি পদার্থ তাহ বুঝিবার যত্ন করা যাউক । দেশ ও কাল বদ্ধই হউক মুক্তই হউক, যদি সমুদায় পুরুষের সহিত সকল অবস্থায় সম্বদ্ধ হয়—তবে সাংখ্যমতে তাহ প্রাঙ্ক তিক পদার্থ নহে । এ দিকে তাহার। যদি নিত্য হয়—তবে তাহারা হয় স্বাধীন পদার্থ, না হয় আত্মার অঙ্গভূত । তাহাদিগকে স্বাধীন পদার্থ বলিয়া সাংখ্যের অঙ্গীকার করেন নাই ; সুতরাং তাহাদিগকে আত্মার অঙ্গ বলিতে হইবে । এরূপ স্থলে আত্মার সৰ্ব্বপ্রকার অনুভবই দেশ ও কালের আকার প্রাপ্ত হইবে এবং দেশ ও কালের নিয়মে নিয়মিত হইবে । দেশকালকে অতিক্রম ১৯ ॥ আত্মার অস্তিত্ব ॥ আত্মার স্বাধীন অস্তিত্ব আছে কি না—ইহা জড়ের কার্য্যমাএ কি না, এতদ্বিষয়ে সাংখ্যদর্শনে ভুরিভুরি আন্দোলন পরিদৃষ্ট হয় । এস্থলে তাহার কিঞ্চিত উল্লেখ করা যাইতেছে। প্রথমতঃ এতদেশীয় নাস্তিবাদীদের একটি প্রসিদ্ধ তর্ক আছে যে, যদিও একটি মাধবীক ফলের (মহুয়ার) মাদকতাশক্তি দৃষ্ট হয় নী ; কিন্তু অনেক মাধবীক ফল একত্র করিলে তাহ। इहेड भन প্রস্তুত হইতে পারে এবং মত্ততা জন্মে। তন্দ্রপ নানাবিধ ভৌতিক পদার্থে দেহ নিৰ্ম্মিত ; যদিও তাহদের প্রত্যেকের পৃথক পৃথক চৈতন্য নাই, তত্ৰাচ তাহার একত্রীভূত হইলে চৈতন্য উৎপাদন করে। অতএব চৈতন্যকে সংহত জড়ের ধৰ্ম্ম বলিতে হইবে । আত্মার স্বাধীন অস্তিত্ব স্বীকারে প্রয়োজন নাই । ইহার উত্তরে সাংখ্যেরা বলেন – “পাঞ্চভৌতিকে। ۹۱ دساری ** ای تیم • ‘ - কেহ কেহ বিবেচনা করেন যে,-পঞ্চভূতে দেহ নিৰ্ম্মিত— ।
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।