মিহিলিষ্টতত্ত্ব । ২২১ জুছদ্য সম্বন্ধে আমি অবশ্য র্তাহাকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি নাই এবং জিজ্ঞাসা করিলেও তিনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিতেন ন, কিন্তু নিহিলিষ্ট সম্প্রদায়ের সাধারণ উদেশ্য সম্বন্ধে তিনি কোন কথা গোপন করেন না ।” অনেকের বিশ্বাস নিহিলিষ্টর নিরীশ্বরবাদী, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহা নহে। যে কোন ব্যক্তি, তাহার ধৰ্ম্মবিশ্বাস যাহাই হউক না কেন, ইচ্ছা করিলেই নিহিলিষ্টদলভুক্ত হইয়া এই সম্প্রদায়ের গুপ্তমন্ত্রে দীক্ষিত হইতে পারেন । এজন্য র্তাহার দত্তের ধৰ্ম্মপত্নীরূপে গৃহীত হইলেন । ধুতী দেবী তাহাকে সাদা ডাকিয়া লইলেন। সংবাহক সৰ্ব্ববিহারের কর্তৃত্ব লাভ করিলেন। এবং সৰ্ব্বত্র শান্তি স্থ প্রতিষ্ঠিত হইল। —এই বধ্যভূমিতে সমস্ত উজ্জয়িনীসমাগমে মৃচ্ছকটিকের উপযুক্ত উপসংহার । MTS STAASAAAA cడాe=2 নিহিলিষ্ট-তত্ত্ব বর্তমানকালে য়ুরোপের রাজনৈতিক অরণ্যে কতকগুলি তুর্দান্ত বিপ্লবকারী দস্থ্য স্থানে স্থানে আড়ড়া গাড়িয়াছে ; इङ्ल्य 兹 মধ্যে আজকাল নিহিলিষ্ট ও সোশিয়ালিষ্ট সম্প্রদায় প্রধান। কোথাও কিছু নাই, মধ্যে হইতে ইহাদের একজন এমন এক দুর্ঘটনা ঘটাইয়া বসে যে, মুহূর্তের মধ্যে চতুর্দিকে মহাহুলস্থূল । পড়িয়া যায় এবং তাহার প্রতিধ্বনিতে সমগ্র যুরোপের কানে । তালা লাগে ; সমুদ্র অতিক্রম করিয়া তাহার দুই একটি ক্ষী ধ্বনি যে, আমাদের কর্ণকুহরেও প্রবেশ করে না, এমন নহে। অতএব এরূপ অবস্থায় নিহিলিষ্টসম্প্রদায় সম্বন্ধে যদি কোন তথ্য জানিতে পারা যায়, তবে আশ হয় যে, বঙ্গীয় পাঠকমহলে তাই কিঞ্চিৎ কৌতুহলজনক হইবে । - কিছুদিন পূর্বে কোন ইংরাজী পত্রিকায় ফিলিপস । একজন সাহেব নিহিলিষ্টসম্প্রদায় সম্বন্ধে দুই একটি কথা প্রকাশ ; : করিয়াছেন। তিনি লিখিয়াছেন, “লণ্ডন প্রবাসী জনৈক বন্ধ = বরের নিকট হইতে আমি নিহিলিষ্ট সম্প্রদায় সম্বন্ধে কতক গুলি তথ্য সংগ্ৰহ করিয়াছি। বন্ধুবর নিজে নিহিলিষ্ট, এবং : তিনি নিহিলিষ্ট সম্প্রদায়ের গুপ্তমন্ত্রে দীক্ষিত ; তাহার সাম্প্রদাবি ; ইহা স্বীকার করিতে হইবে, যে, মনুষ্যজাতির কল্যাণের জন্য, - ধু ধৰ্ম্মবিশ্বাস কেন, জীবনের অবলম্বনীয় সমস্ত বস্তুই ত্যাগ করবেন । নিহিলিষ্টর এক অর্থে নাস্তিক f ন্ধিৰ ঘটনাবৈচিত্র্যে যে, তাহার কোন হাত আছে এ কথা । ইহার কিছুতেই স্বীকার করিবে না । ইহাদের বিশ্বাস মনুষ্য- 2 জীবনের প্রত্যেক কাৰ্য্য মনুষ্যেরই আয়ত্তাধীন। একজন বিশ্বাসী খৃষ্টান নিছিলিষ্ট সম্প্রদায়ভুক্ত হইলে তাহাকে অবশ্যই বিশ্বাস করিতে হইবে যে, বৰ্ত্তমান যুগে পরমেশ্বর এ পৃথিবীর ব্যাপারে আর হস্তক্ষেপ করেন না, এইজন্য যদি আমরা এমন কোন কাজ করি যাহ। প্রথম দৃষ্টিতে অপকারী হইলেও তাহার Ç শবফল মঙ্গলজনক হইতে পারে, তবে সেই কাৰ্য্যসাধনের জন্য কোন মানবীয় বা ঐশ্বরিক নিয়ম উল্লঙ্ঘন করিতে আমাদে ।
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।