ভুলো না গরবে ! কচ । । স্থ ধা হতে স্থধাময় দুগ্ধ তার ; দেখে তারে পাপক্ষয় হয়, মাতৃরূপা, শান্তিস্বরূপিনী, শুভ্ৰ কান্তি পয়স্বিনী। না মানিয়া ক্ষুধাতৃষ্ণ শ্রান্তি তারে করিয়াছি সেবা ; গহন কাননে শ্যামশপ স্রোতস্বিনী তীরে, তরি সনে ফিরিয়াছি দীর্ঘ দিন ; পরিতৃপ্তিভরে স্বেচ্ছামতে ভোগ করি’ নিম্ন তট পরে অপৰ্য্যাপ্ত তৃণরাশি স্থস্নিগ্ধ কোমল— আলস্য-মন্থর তনু লভি’ তরুতল রোমন্থ করেছে ধীরে গুয়ে তৃণাসনে সারা বেলা ; মাঝে মাঝে বিশাল নয়নে সকৃতজ্ঞ শান্ত দৃষ্টি মেলি, গাঢ়স্নেহ চক্ষু দিয়া লেহন করেছে মোর দেহ । মনে রবে সেই দৃষ্টি স্নিগ্ধ আচঞ্চল, পরিপুষ্ট শুভ্র তন্তু চিকুণ পিচ্ছল । দেবযানী । অণর মনে রেখো, আমাদের কলস্বন - স্রোতস্বিনী বেণুমতী । কচ । তারে ভুলিব না। বেণুমতী, কত কুস্থমিত কুঞ্জ দিয়ে মধুকণ্ঠে আনন্দিত কলগান নিয়ে আসিছে শুশ্ৰষ বহি গ্রাম্যবধূসম সদ। ক্ষিপ্রগতি, প্রবাসসঙ্গিনী মম নিত্য শুভব্ৰতা । বিদায়-অভিশাপ । २8:* হtয় বন্ধু, এ প্রবাসে আরো কোন সহচরী ছিল তব পাশে, পরগৃহবাসদুঃখ ভুলাবার তরে যত্ন তার ছিল মনে রাত্রি দিন ধরে ;– হায় রে কুরাশ ! কচ } চিরজীবনের সনে তার নাম গাথা হয়ে গেছে । দেবযানী । - আছে মনে যেদিন প্রথম তুমি আসিলে হেথায় কিশোর ব্রাহ্মণ, তরুণ অরুণ প্রায় গেীরবর্ণ তন্থখানি স্নিগ্ধ দীপ্তিচালা, চন্দনে চর্চিত ভাল, কণ্ঠে পুপমালা, পরিহিত পট্টবাস, অধরে নয়নে প্রসন্ন সরল হাসি, হোথ। পুষ্পবনে দাড়ালে আসিয়া— কচ । তুমি সদ্য স্নান করি দেবযানী । দীর্ঘ আন্দ্রে কেশ জালে, নব শুক্লাম্বরী জ্যোতিস্নাত মূৰ্ত্তিমতী উষা, হাতে সাজী । একাকী তুলিতেছিলে নব পুষ্পরাজি পূজার লাগিয়া। কহিনু করি বিনতি “তোমারে সাজে না শ্রম, দেহ অনুমতি ফুল তুলে দিব দেবী” ! দেবযানী। আমি সবিস্ময় সেই ক্ষণে শুধাকু তোমার পরিচয় । । বিনয়ে কহিলে,—আসিয়াছি তব দ্বারে
পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।