পাতা:সাধনা (দ্বিতীয় বর্ষ).djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* সাধল । এই পরীক্রান্ত সম্রাট হর্ষবৰ্দ্ধন শিলাদিত্য কাব্যপ্রিয় ছিলেন । তাহার রচিত রত্নাথলী নাটক সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতমাত্রেই পাঠ করি য়াছেন। সম্রাটের নামে এ পুস্তকখানি রচিত হুইয়াছে,কিন্তু প্রেসিদ্ধি এইরূপ বে,*ধাবক"নামক তাহার একজন সভাস্থ কবি লাট কথানি রচনা করিয়া দিয়াছিল। সে বtহা হউক নাটকথানি মধুর ও স্বললিত তাছার সন্দেহ নাই। তবে কালিদানের অতুলনীয় কবিত্বশক্তি এ নাটকে দৃষ্ট হয় যt। ভর্তুহরির শতকগ্রন্থগুলিও এই সমরে রচিত হয় । এবং আমির। যাহাকে ভট্টিকাব্য বলিরা জানি, সে কাব্যথানিও কবি ভর্তুহরির রচিত ভাহার প্রমাণ পাওয়া মায় । “তট্রি” শব্দটী “ভদ্ভূ" শঙ্কের রূপান্তরমাত্র। শিলাদিত্যের সময়ে পদ্যরচনারও অভাব ছিল না। প্রাচীন পঞ্চতন্ত্রের মরল ও সুললিত গদ্য ছাড়িরা এ সবরের লেখকগণ একটু কাল রকম গদ্য লিথিতে আরম্ভ করিলেন। “দশকুমারচরিত’-লেখক দণ্ডী বোধ হয় শিলাদিত্যের রাজাকালেও জীবিত ছিলেন, কিন্তু বুদ্ধ হইয়াছিলেন। “কাদদরী”-রচয়িত বাণভট্ট শিলাদিতোয় একজন সভাসদ ছিলেন, এবং তিলি *হর্ষচরিত’ যমক শিলাদিতোর একটা জীবনচরিত লিথিয় গিয়াছেন। তাহার কিছু পরে রবন্ধু “বাসবদত্ত।" রচনা করেন । পাঠক একবার শিলাধিত্যের সময়ের গৌরব অস্তব করির দেখুন। যে সময়ে ভারতক্ষেত্রের সমগ্র সম্রাট অস্থিত হইয়t বাল্যকুঞ্জেল্প সতীয় উপস্থিত হইয়াছিলেন, যে সনয়ে হিন্দু ও বৌদ্ধে সৌহৃদ্য ছিল, এবং মগয়ে নগরে হিন্দু যেবালয় ও বৌদ্ধ মঠ ও বিহার বিরাজ করিত, যে সময়ে উজ্জয়িনী, কানাকুঞ্জ প্রভৃতি স্থানে হিন্দুশাস্ত্রের আলোচনা হইত এবং নালন্দী প্রভূতি কবি তবভূতি । ર 8 % স্থানে বৌদ্ধশাস্ত্রের আলোচনা হইত, যে সময়ে সম্রাটের রচিত রত্নাবলী ভুঞ্জিসভার অভিনীত হুইত, তট্রিকাব্য পাঠ করিয়া বালকগণ রূপে বtীকরণ শিক্ষা কল্পিত, এবং দণ্ডী ও বাণভট্টের বিশাল ও মগঞ্জ সংস্কৃত ভাষা সভাপণ্ডিতদিগের মন পুলকিভ কল্পিত,--ভারতবর্যের সেই গৌরবের দিন স্মরণ করুন। তাছার পর ৭• • খৃষ্টাব্দে কানাকুজে যশোবর্ণা নামে একজন সম্রাট ছিলেন। তঁiহtয় সভা একজন মাত্র প্রসিদ্ধ কবি ছিল, কিন্তু সেই এক কবি জগদ্বিখ্যাত ভবভূতি। বিদর্ভদেশে তবভূতির জন্ম, এবং বিদর্ভদেশের যন্ত্রীপুত্র মাধবই তাছার রচিত *মালতীমাধব” নামক গ্রন্থের নায়ক। কিন্তু কান্যকুঞ্জ তথম ভারতবর্ষের রাজধানীস্বরূপ, সুতরাং তারতবর্যের কবিশ্রেষ্ঠ কানাকুজে শীঘ্রই আকৃষ্ট হইলেন। কিন্তু তথারও তবভূতি চিরকাল থাকিতে পারিলেন না। কাশ্মীররাজ ললিতাদিত্য এবং কানাকুজরাজ যশোবর্ণার মধ্যে যুদ্ধ যদিল, কান্যকুজরাঙ্গ পরাস্ত হইলেন এবং বিজেতা ললিতাধিতা কান্তকুঞ্জের প্রধান রত্ন তবভূতি-কবিকে কাশ্মীর দেশে লইয়া গিয়া মহাদরে তাহাকে রাজসভায় স্থান দান করিলেন। এইরূপে সরস্বতীর প্রভাবে কবি তবভূতি বিদর্ভ হইতে কানাকুজে, এবং কান্যকুম্ভ হইতে কাশ্মীন্ধ দেশে নীত হুইয়াছিলেন । আমরা এক্ষণে কালিদাস ও তবভূতির সময়ে ভারতবর্ষের অবস্থা কতকটা জানিতে পারলাম। ৫৫০খৃষ্টাঙ্গ হইতে ৭৫-পৃষ্ঠা এই দুই শত বৎসরে তারতবর্যে বে সকল প্রধান কবি ও পণ্ডিত বিরাজ করিরছিলেন র্ত্যহাসের কথা জুনিলাম। বিক্রমাদিত্য, হর্ষবৰ্দ্ধন শিলাদিত্য ও বশোবর্ষ্যার সাম্রাজ্যের বিষয় জানিলাম। বৌদ্ধ ও হিন্দুদিগের পরস্পর সম্বন্ধ ও শাস্ত্রালোচনার কথা জানি, .