পাতা:সাধনা (দ্বিতীয় বর্ষ).djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাধন । লাষ। উজ্জয়িনী ও কান্যকুঞ্জ, নাগস্থা ও কাশ্মীরের গৌরবের কথা শুনিলাম। আর্যভট্ট, বরাহমিহির ও ব্রহ্মগুপ্ত, কালিদাস, অমরসিংহ, বররুচি ও তারবি, ঐহর্ষ, তর্ভুংরি, দণ্ডী ও বাণভট্ট, এবং বিদর্ভদেশবাসী অতুল কবি তবভূতির কথা জানিলাম। ভারতবর্ষের সমগ্র ইতিহাস বধি এইরূপে শিখিতে পারি তবে আপনাদিগকে ভাগাবাল মনে করিব। হিন্দুসাহিত্য ও সভ্যতায় প্রকৃত ইতিহাস বধি এইরূপে পড়িতে পারি তবেই আমাদের মঙ্গল। নতুবা কেবল সোমনাথের মন্দিরের ধ্বংস, বা পণ্যশীর যুদ্ধের কথাকে তারতবর্যের ইতিহাস বলে না। মুসলমান সমাজ । ভারতবর্ষীয় মুসলমানদিগের মধ্যে বর্তমান শিক্ষার একটা শুভ ফল দেখা বইতেছে যে, তাহদের শিক্ষিত সম্প্রদার অল্পে অল্পে ধৰ্ম্মকে প্রাচীন আরবীয় কুসংস্কার ও কুপ্রথাসকল হইতে মুক্ত করিয়৷ মহম্মদের সছপদেশ ও যাধু সংকল্পের অল্পবী হুইবার চেষ্টা করিতেছেন। কোরণে নানা কথা স্বttছ ; কেবলি যে ঈশ্বরতন্ত্র সম্বন্ধে উপদেশ তাহা নহে, তৎকালীন আরব সমাঞ্জের উপযোগী রীতিনীতি, আচারব্যবস্থায়, ক্রিয়াকৰ্ম্ম, মাইলকাতুল সম্বন্ধে বিস্তর প্রসঙ্গ—আবশ্যক অম্বুসারে মহম্মদ যখন যাহা বলিয়াছেন তাহাই লিপিবদ্ধ হইয়াছে। কিন্তু ঈশ্বরের মহিমাগাম এবং স্বদেশীয়দের মূব্যে ঈশ্বরের পূজা প্রতিষ্ঠাই মহম্মদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, এবং কোরাণের প্রত্যেক বুরার প্রথমেই তিনি দয়াময় ঈশ্বরের নাম লইয়া আরম্ভ করিয়াছেন। মহখন্ধের মুসলমান সমাজ । २४० সময়ে আরবের প্রস্তরখণ্ডকে দেবতার সিংহাসনে বসাইয়া ভাছা* রষ্ট আশ্রয়ে সহস্র দুর্নীতির অনুষ্ঠান বরিত, যে বিশ্বাতীত বিখব্যাপী নহtলু আৰু মানবের সকল সুখদুঃখ, আশা আকাজ্ঞার মধ্য দিয় তাহাকে নিয়ত কল্যাণপথে পরিচালিত করিতেছেন, তাছার নাম তাহারা শুলে নাই ; মহম্মদ আসিন্ধ। বলিলেন, সেই এক দেবাধিদেব ব্যতীত আর দ্বিতীয় উপাস্য নাই এবং তিনি মহা “আল্লা আকবর” । দুরাচার আরবের স্তম্ভিত হইয় রছিল। মহম্মদ বলিলেন, পৌত্তলিক অনুষ্ঠানসকল পরিত্যাগ কর, ছুনাতি দুরাচার হুইতে বিরত হও এবং পরমেশ্বরের নিকট প্রার্থনা কর—তিনি কৃপা করিবেন, নহিলে নিস্কৃতি নাই। ক্রমে আরবের। একে একে তাহার নিকট আtiসতে লাগিল। এবং মুহম্মদ তাহাদিগকে গৃহধৰ্ম্ম এবং অন্তান্ত কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে যথfবশ্যক উপদেশ দিতে লাগিলেন। এই সমস্ত খণ্ড খণ্ড বিক্ষিপ্ত উক্তি একত্র প্রথিত হইরা কোরণে রচিত হইল। অধ্যায়ের পর অধ্যায়-কোনটির সহিত কোষটির তেমন ঘনিষ্ঠ যোগ নাই এবং অনেক স্থলে প্রসঙ্গের ধারাবাহিকড়াও রক্ষিত হয় নাই ; কোথাও গল্প, কোথাও উপদেশ, কোথাও স্বৰ্গবৰ্ণনা, কোথাও দায়ভাগ, কোথাও বিবাহের কথা, কোথাও বিচ্ছেদবিধি ; কিন্তু এই মমস্তের মধ্য হইতে এক লক্ষ্য সুতরাং ইহাকেই মহম্মদীর ধৰ্ম্মেয় মূল উদ্বেগু ঘল যাইতে পারে। পৌত্তলিকতার উপর মহম্মদের দারুণ বিদ্বেব ছিল এবং ইহাকেই তিনি সকল দোষের অঞ্চর বলির মনে করতেন। মহম্মদ দেখিলেন, আরব-সমাজে যে সকল কদাচার এবং দুর্নীতি বহু বর্য ধরিয়া অপ্রতিহভপ্রভাবে রাজত্ব করির আসিতেছে, \ পরিস্ফুট হই উঠিয়াছে—পৌত্তলিকতার উচ্ছেদ। 懿 டம்