পাতা:সাধনা (দ্বিতীয় বর্ষ).djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

g*५ সাধলা । গৃহপিয়রের নিৰ্ম্মলকুমারী বিপ্লবের বহিরাকাশে উড়িয়া আসিল এবং মৃতাকুশলা পতঙ্গচপল ত্বরিয়া সহসা অট্টহাসো মুক্তকেশে কালনতো আসিয়া যোগ দিল ! অন্ধ্ররাত্রির এই বিশ্বব্যাপী ভয়ঙ্কর জাগরণের মধ্যে কি মধাতুকুলাম্ববাসী প্রণয়ের করুণ কপোতকুজন প্রত্যাশা কলা যায় ? রাজসিংহ দ্বিতীয় বিষবৃক্ষ হয় নাই বলিয়া আক্ষেপ করা সাজে না। বিষবৃক্ষের স্থতীব্র স্বধছাগেল পীকগুলা প্রথম হইতেই পাঠকেল মনে কাটিয়া কাটিয়া বসিতেছিল। অবশেষে শেষ কয়ট পাকে হতভাগ্য পাঠকের একেবারে কণ্ঠরুদ্ধ হইয়া আসে। রাজসিংহের প্রথম দিকের পরিচ্ছেদগুলি মনের উপর সেরূপ রক্তবর্ণ স্বগভীর চিত্ত্ব দিয়া যায় না তাহার কারণ রাজসিংহ স্বতন্ত্র জাতীয় উপন্যাস। প্রবন্ধ লিপিতে বসিয়াছি বলিয়াই মিথ্যা কথা বলিনার আবশ্যক দেখি না। কাল্পনিক পাঠক খাড়া করিয়া তাহীদের প্রক্তি দোষারোপ করা আমার উচিত হয় না। আসল কথা এই যে, রাজসিংহ পড়া আরম্ভ করিয়া আমারই মনে প্রথম প্রথম পদক লাগিতেছিল। আমি ভাবিতেছিলাম, বড়ই বেশি তাড়াতাড়ি দেখিতেছি—কালৰো যেন মিষ্ট মুখে দুটাে ভদ্রতার কথা বলিয়া যাইবারও অবসর নাই । মনের ভিতর এমন আঁচড় দিয়া না গিয়া আর একটু গভীরতররূপে কর্ষণ করিয়া গেলে ভাল হইত।- যখন এই সকল কথা ভাবিতেছিলাম তখন রাজসিংহের ভিতরে গিয়া প্রবেশ করি নাই । পৰ্ব্বত হইতে প্রপম বাহির হইষ্টা যপন নিৰ্বরগুলা পাগলের মত ছুটিতে আরম্ভ করে তখন মনে হয় তাহার খেলা করিতে বাতির श्रेयाप्इ-मिन হয় না তাহার কোন কাজের। পৃথিবীতেও তাহালা গভীর চিত্ত্ব অঙ্কিত করিতে পারে না। কিছুর কাছাদের পশ্চাতে অনুসরণ করিলে দেখা যায় নিৰ্বরগুলা নদী হইতেছে প্লাজসিংহ । .Hליא ক্রমেই গভীরতর হইয়া ক্রমেই প্রশস্ততর হইয়া পৰ্ব্বত ভাঙ্গিয়া পথ কাটিয়া জয়ধ্বনি করিয়া মহাবলে অগ্রসর হইতেছে-সমুদ্রের মধ্যে মহাপরিণাম প্রাপ্ত হইবার পূর্কে তাহার আর বিশ্রাম নাই। রাজসিংহেও তাই। তাহার এক একটি খণ্ড এক একটি নিৰ্ম্মরের মত ক্ৰত ছুটিয়া চলিয়াছে। প্রথম প্রথম তাহাতে কেবল আলোকের ঝিকিঝিকি এবং চঞ্চল লহরীর তরল কলধ্বনি—তাহার পর ষষ্ঠথওে দেখি ধ্বনি থষ্ট্রীর, স্রোতের পথ গভীর এবং জলের বর্ণ ঘনকৃষ্ণ হইয়া আদিতেছে, তাহলে পর সপ্তম খণ্ডে দেখি কতক বা নদীর শ্ৰোত কতক বা সমুদ্রের তরঙ্গ, কতক বা অমোঘ পরিণামের BBBBB BBBS BBB B BB BBBBBBB BBBB BBBB ক্ৰন্দনোছ,সি, কতক বা কালপুকুবলিখিত ইতিহাসের অব্যাকুল বিরাট বিস্তার, কতক বা ব্যক্তিবিশেষের মজ্জখান তরণীর প্রাণপণ হাহাধ্বনি। সেখানে নৃত্য অতিশয় রুদ্র, ক্ৰন্দন অতিশয় ভীত্র এবং ঘটনাবলী ভারত ইতিহাসের একটি যুগাবসান হইতে যুগান্তরের দিকে ব্যাপ্ত হইয়া গিয়াছে । রাজসিংহ ঐতিহাসিক উপহাস। ইহার নায়ক কে কে ? ঐতিহাসিক অংশের নায়ক ঔরংজের, রাজসিংহ এবং বিধাতাপুরস্ক— উপস্তল অংশের নায়ক আছে কি ন জানি না, নায়িক জেউদিস।। রাজসিংহ, চঞ্চলকুমারী, নিৰ্ম্মলকুমারী, মাণিকলাল প্রভৃতি ছোটবড় অনেকে মিলিয়া সেই মেঘন্থনি রথযাত্রার দিনে ভারতইতিহাসের রথয়জু আকর্ষণ কবিয়া দুৰ্গম বন্ধুর পথে চলিয়াছিল। তাহাদের মধ্যে অনেকে লেখকের কল্পনাপ্রস্বত হইতে পারে তথাপি তাহার এই ঐতিহাসিক উপচ্যাসের ঐতিহাসিক অংশেরই অস্তুগত। তাছাদের জীবন ইতিহাসের, তাহাদের স্থপন্থঃখের স্বতন্ত্র মুখ্য নাই—অর্থাৎ এ গ্রন্থে প্রকাশ পায় নাই । vo