পাতা:সাধনা (দ্বিতীয় বর্ষ).djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{{ সাধন । , বসনা মহাদেবী, চিয়পাবনা, চিরমধুয়া চিরফরুণাময় " কেবল তাহায়ই প্রতিরূপ এথানে বিরাজ করিতেছে ; প্রাচীরে লম্বমান এফটি য়েশমী কাপড়ের উপর তিনি চিত্রিত রহিয়াছেন। পরিধানে। ধার্য শুভ্র বেশ, হস্তে একটি পদ্মপুপ, মস্তকের চতুর্দিকে কনকচ্ছটা; যেরূপ মূৰ্ত্তি ধরিয়া বহুকালপুৰ্ব্বে তিনি পুৰ্ব্বসাগরের নীল তরগরাশির উপর দিয়া চলিয়া আসিয়াছিলেন এবং মালবের দুঃখদৈন্য লাধব করিবার নিমিত্ত তাহার মনের যৌন্দর্যা, তাহার বচনের মাধুর্য ও উiহায় হৃদয়ের অপরিসিত মমতা আনিয়া দিয়াছিলেন, সেই মুঠি । দেবীর পদতলে ভূমিয় উপর একটি উইলো শাখ জলে নিমগ্ন রহিয়াছে ; শুষ্ক তৃহিত চিত্তকে কানন দেবী, ধে পবিত্র বায়িবিন্দুসিঞ্চনে তৃপ্ত করেন এই আর্দ্র শাখা তাহীরই সাঙ্কেতিক চিত্ন । বেদার উপর প্রত্মলিত দুটি লাল মোমের বাতি দেবালয়ের মধ্যে এক প্রকার স্নান আলোক, এফ কোমল দীপ্তি বিস্তায় কয়িতেছিল, পুষ্পপত্রিপুর্ণ ম্যাগৃনোগিয়া-কুশ্বমের সুগন্ধ চিরয়ক্ষিত ধূপের । গৌরতের সহিত মিশিতেছিল। এই মণিায় এবং ইহায় চতুৰ্দ্দিকস্থ কামেলিয়াকুল্প যেন আশ্রমের মধ্যেও একটি নিভৃত নিলয় রচন। করিয়াছিল, এই স্থানটা এমনি শাস্তিময়, নিস্তব্ধ, রহস্য-পরিবৃত ও ধানানুকুল । অপরাহ্লে এই পাগোড় ধে ক্ষুত্র সরোবরে অপেন ছায়। তাগাইত, সেটিয় মধ্যেও একটি পুণ্য প্রভাব ছিল। কুমারিকাশ্রমের প্রতিষ্ঠাত্রীগণ এটিকে একটি পবিত্র মৎসা-সরোবর করিয়া তুলিয়াছিলেন, কারণ, বুদ্ধদেব ইহারই জ্বলে কমল বীজ লেক্ষেপ কল্লিয়। অবশ্য প্রকাশ করিয়াছিলেন যে তাহার এই অতি প্রিয় উপদেশটি এই স্থানেই বিশেষরূপে কার্য্যে পরিণত করিতে হইলে—“প্রাগ কমল-কুমরিকাশ্ৰম । বিশিষ্ট সকল স্বঃসত্ত্বয় নিমিত্ত যেন তোমার চোগে একটু জ্বল এবং • মুথে একটু হাসি থাকে ; জলস্থলবাসী তুচ্চতম জীবকেও কথমও একটু তালবাম দিতে ক্রুটি কবিও না।” সেইজনা যথাপ্রকার জলজন্তু, মৎস্য, কচ্ছপ, জলসর্প প্রভৃতি এই আশ্রমবাসীকর্তৃক সধত্বে সরোবরে রক্ষিত হইত, ॐiडि भू१झाiग्न ठfशंग्न ইহাদের খাদ্যদান কয়িত ও বৎসয়ে তিন ধার করিয়া একদল বৌদ্ধ পুয়োহিত সমারোহসহকারে অগিয় তাহাদিগকে জলদেবী চক্সের মূৰ্ত্তি-আঙ্কত চাগের রুটি খাওয়াইত। ( २ } একদিন বসস্তুের সন্ধ্যাকালে একটি যুবতী আসিয়া আশ্রমকত্রীয় দর্শন প্রার্থনা করিল ; এই সম্প্রদায়ভুক্ত হুইবার প্রাবেশিক প্রতিজ্ঞাগ্রহণে ইচ্ছ। প্রকাশ কয়েল এবং বিন পরীক্ষার কুমারীগয়ে নীললোহিত ও শুভ্রবর্মণ পরিডে চাহিল। ডাহার নাম লাইটুসি এবং সে তাছার অষ্টাদশ বর্ষে পদার্পণ কয়িয়াছে মাত্র। অনেক দুঃখকষ্টের পীড়নে সে এই অল্পবয়সে সংসার ত্যাগ ফরিয়া আশ্রমে আসিয়াছে । তাহার পিতা অতুল সম্পদশিখর হইতে সহগ বিচুত হইয়া মস্তকমানে ঐশ্বর্যাধন্তের প্রায়চিত্ত করিয়াছেন ; পিতার অপয়াধ-স্বীকায়ে অসন্মত হওয়ায় তাহার দুই ভ্ৰাতায় প্রাণদণ্ড হইয়াছে; শোফে জর্জরিত হইয়া তাহয়ে মাতা মরিয়াছেন, এবং যে তাহার বাগদত্ত প্রণয়ী সেও জন্মের মৃত মাঞ্চুরিয়ার মরুময় সীমান্ত প্রদেশে নিৰ্ব্বাধিত হইয়াছে। এক্ষণে সহায়হীন, স্বজনহীন, প্রেমহীন সংসারের সহিত সকল প্রকায় বন্ধন ধিচ্ছিন্ন হইয়া এই অনাথিনী ছঃথদৈন্যপূর্ণ পৃথিবী পরিত্যাগপুৰ্ব্বফ কমল-কুমারিফ এয়ে আশ্রয় লইতে | আসিয়াছে ।