পাতা:সাধনা (দ্বিতীয় বর্ষ).djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনী । প্রথমে সে লাইট্দিকে নিশীথ-আকাশের স্বচ্ছ নীলিযfয় অতি, উচ্চে উঠাইল, এবং আশ্রমের উপরে মুহুর্তেক উন্ডটন রছিল, যেন সে দিকনির্ণয়ে অঙ্গম তাহার পরে দ্রুতগতিতে উত্তরাভিঃ মুখে লইয়া চলিল । তাঙ্গাদের নিয়ে পৰ্ব্বত, উপত্যক, বন, ধানক্ষেত্র, নগর, গ্রাম অন্ধকারে অস্তধান হইতে লাগিল । - শীঘ্রই দেখা গেল একটি বৃহৎ নদী সমতল ভূম্ৰিয় মধা দিয়া প্রবাহিত ; উজ্জল চন্দ্র করে উদ্ভাসিত, চঞ্চল তারারশ্মির সহস্র প্রতিবিন্ধে আলোকিত হুইয়া যেন প্রকাও রজতপপের ল্যায় তাহার হুই তটের মধো বক্রগতিতে চলিয়াছে। একজন ধীবরেয় ধীর গান যেন রাত্রে দিশহারা বিলাপের ন্যায় আকাশ পানে উখিত হইতেছে। পৰ্ব্বত, বন ও ধানাক্ষেত্র ক্রমাগত একের পর এক আসিতে লাগিল । অতি স্বধুর পূর্বদিক হইতে এক অক্ষট অবিরাম ছন্দোবদ্ধ ধ্বনি শুনা গেল, বেন কোন ঘুনন্ত বিরাট প্রাণীর প্রবল ও নিয়মিত শ্বাসপ্রশ্বাসশস্ত্র, এবং বাতাসে লবণাক্ত গদ্ধোচ্চ গ ভাসিতে লাগিল । কিন্তু ক্ৰমে ক্রমে সে শস্ব আকাশে মিলাইয় গেল, ও শুনাবিহারী প্রেতদ্বয়ের নীচে এখন বালুকাময় সমভূমি প্রসারিত হইল। তাহারা যখন ভূমিতলের নিকটবর্তী হইতেছিল, সহনা একটি বিস্তীর্ণ নগরী দেখা দিল, তাহার চতুদ্ধিকে তিনটি প্রাচীয়, মধ্যে অনেকগুলি বৃক্ষশোতিত প্রশস্ত রাজপথ, এবং গৃহ অপেক্ষা দেযালয় ও প্রাসাদের সংখ্যা অধিক । তাছার মধ্যদেশে কতকগুলি অসাধারণ বৃহদায়তন অট্টালিকা যেন একটি স্বতন্ত্র নগর

কুমল-কুমরিকাশ্রম। রচনা করিয়াছে, সেগুলিয় স্বর্ণমণ্ডিত ছাদ হইতে জ্যোৎস্ত্রীলোকে যেন অলৌকিক জ্যোতি বিকীর্ণ হইতেছিল । মন্দির ও শিবিয় শোভিত একটি সুরমা বিশাল উদান বি স্থত রহিয়াছে, তাহায় মধ্যে আবদ্ধ একটি মুক্তাভ হ্রদে কমলপুপ বিরাজ করিতেছে। এই মায়াপুরী হইতে অশ্বট সঙ্গীত, বাদা, সুগন্ধ ও উৎসবের প্রতিধ্বনি উঠিতেছিল। লাইটুমি তাঁহায় শুন্যপথযাত্রার দ্রুতগতিতে পরিশ্রাস্ত হইয়া ক্ষীণস্বরে কহিল “ইহাই কি অণ মাঘের গমস্থান ? আমরা কি এখানে থামিব না ? আমাকে তুমি কোথায় লইয়া মাইতেছ?” কিন্তু সে দৈবপুকুম ইহারই মধ্যে এক পঙ্কের আস্ফালনে তাহাকে উচ্চতর আকাশে ভুলিয়া দিল । "না, এখনো উড়িয়া যাই চল, এই নগরের নাম পিকিন ; এই প্রাসাদ স্বৰ্গস্থতের রহস্যময় আবাল-স্থান । এই রাজ-অট্টালিকার সীমার মধ্যে যত দুশ্চিস্তা ও হুঃথ আছে এমন পৃথিবীর আর কোনখানে নাই । এদিকে আবার রাত্রি অবসান প্রায়, শীঘ্রই দিনের আলো প্রকাশিত হইবে, অথচ আদাদের এখনও দীর্ঘ পথ উত্তীর্ণ হুইবার আছে, এতক্ষণে কেবলমাত্র বিরাট প্রাচীরে আসিয়৷ পৌছিলাম।” তথন লাইটুসি দেখিল একটি স্বদীর্ঘ প্রস্তরনিৰ্ম্মিত প্রাকার নদী ও গহবর অতিক্রম করিয়া স্বদুর আকাশসীমাপ্তবী মৃতে মিশাইয়া গিয়াছে। বালুকাময় সমভূমির পরিবর্তে এখন বাউবন ও লার্চ বৃক্ষ দেখা গেল। চন্দ্র এখনো একটি পাণ্ডুবৰ্ণ মওলাকারে জ্যোতি বিস্তার করিতেছিল, কিন্তু তারার অীলে সব নিডিয়া গিয়াছিল। আকাশ ক্রমশঃ শীতল হইল, তীব্র ও রূঢ় বায়ু প্রকাও প্রকাও মেঘখণ্ডকে কশাঘাত করিতে লাগিল, বাজপক্ষ দলে দলে দক্ষিণ মুখে উড়িয় চলিল।