পাতা:সাধনা (দ্বিতীয় বর্ষ).djvu/৭০

> se সাধন । য়েই সৰ্ব্বদা বিমর্ষ এবং অন্তমনষ্ক। অল্প সময়ের কথা দূরে থা, এহেন আনন্দময় বিবাহ-উৎসবেও, গোস্বামী তাহদের একটিবার হাদি দেখেন নাই। এমন হৃদয়হীনাদের কাছে বালিকা সহধৰ্ম্মিণীকে যাথিয় বেশী দিন দূরদেশে থাক, ঠাকুর বিধেয় জ্ঞান করলেন না। কাজেই এবার স্তাহাকে প্রবাসের পালা সঙ্কেপেই শেষ করিতে হইল। বিশেষ শীল্লটাও ভেমন তাল ছিল না, তাই তিনি তিন মাসের পরিবর্কে তিন সপ্তাহ মধ্যে જૂcફ સિન્નિદાન গ্রামে অনেকেই লম্বন্ধে গোশ্বানীর নাতি, তাহার মধ্যে একজণ জিজ্ঞাস করিল, “ঠাকুরদাদা, এবায়ু যে এত তাড়াতাড়ি এসে পরেন " ঠাকুরদাদা আমূহ আমূগা করিয়া কি একট। উত্তর দিতে বাইতেছিলেন, এমন সদয় নাতি-সম্প্রধায় হইতে কে বলিয়া উঠিল, “বুঝিসনে ত—চুম্বকের টান কত ?” কথাট। বুঝি গোসাইজীয় ননোমহ হইয়াছিল, তাই তিনি দীর্থ শিখা দোলাইয়। ছাপিতে হাদিতে বলিলেন, “বটে ভায় !” নিত্যানন্মের সমবয়স্ক-মহলেও তাঁহাকে লইয়া খুব একট। আমোদ পড়ির গেল। কেহ বলিলেন, “কি হে নিত্য তায়', দিকের দিন যে ঐ ফিরে যাচ্চে, পাক হয়িতকী থেলে নাকি ?” সঙ্গে সঙ্গে আর একজন বলিয়। উঠিলেন, "ভায়াকে আর কিছু খেতে হবে কেন ? জানন-বtলা স্ত্রী ফার-ভোজনমূ৷ ” বিবাহের তিন বৎসর পর দৈব প্রসাদাৎ গুরুদেবের একটা পুত্র জন্মিল। গৃহে আর আনন্দ ধরে না ! দেখিতে দেখিতে ছেলেট নিৰ্ব্বিয়ে আট মাস আ ক্ৰম করিল ; মহাধুমধামে অঙ্ক প্রাশন সম্বাধ হইয়া গেল। কেবল নামকরণ লইয়া একটু খোল খাধিস্থাছিল। গোস্বামী ঠাকুয়ের ইচ্ছ, ছেলেটার নাথ গুরুঠাকুর । >8x ছয় সচিদানন্দ, কিন্তু নাম শুনিয়াই গোসাই-হিণী জলিয়া উঠিলেন, নামটার সঙ্গে সঙ্গে যেন শিথা-কণ্ঠী তিলকধারী এক বিভীধিক-মূৰ্ত্তি তাহার হৃদয়ে জাগিয়া উঠিল। ভাবিলেন, আমার সোনার বাস্থায় এমন বুড়োটে নাস হতে গেল কেন ? তখন তিনি বাছিয়া ব্যছিয়া নাম রাখিলেন-হেমচন্দ্র । বুঝি গোসাই, গৃহিণীর মৃণালিনীধামা পড়া ছিল। যাই হোক, শেষ হেমচন্ত্র নামই বলবৎ হিল । গোস্বামী লহাপর যদি কখনও ভ্রমক্রমে আদর করিয়া ছেলেকে সচ্চিদানন্দ বলিয়া কেলিতেন, তবে তখনই মুহূর্ক্সে অtষ্মসম্বরণ করিয়া আশপাশ চাহিয়া, মনে মনে বারকত বিষ্ণুনাম স্মরণ কয়িতেন । ক্রমে হেমচন্দ্র পঞ্চ বর্ধ অতিক্রম কপিল । এখন তাঁর লেপাপড়ার পাল। সে অগাধারণ ধীশক্তিপ্রতাবে বার বৎসর অতিক্রম করিতে না করিতে ছয় থানা বাঙ্গালা বই শেষ করিয়া কেলিল। তখন গোস্বামী ঠিক করিলেন, ছেলেকে "মুগ্ধবোধ” পড়িতে দিবেন ; ভরসা ধে তবিযাতে সাহিতা ও স্মৃতিচর্চা করির একটা দিগ্গজ হইয় উঠবে। কিন্তু হেমের গর্ভধারিণী তীয় রাজি নন। তিনি চান, ছেলেকে ইংরাজীও শিখাইতে হইবে। শেধ নিতানদের যেই গ্রির শিষ্য রাজা বাহাদুরের সাহায্যে কলিকাতার সংস্কৃত কলেজে হেমচন্দ্রের পড়া ঠিক হইল । রাজার দুই পুত্র কলিকাতায় পড়িতেন, গুরপুত্রও এখন হটতে তাছাদের সঙ্গে থাকিয় পড়াশুনায় প্রবৃত্ত হইলেন। রাজকুমারস্বয় গুরপুত্রকে লইয়। প্রথম প্রথম কিছু সঙ্কটে পড়িয়াছিলেন । বৎসবকত কলিকাতায় থাকিয়া কুমারযুগলের পান আহfরটা লিভার অগোচরে কিঞ্চিৎ স্লেচ্ছ সংস্থষ্ট হইয়া পড়িয়ছিল, পাছে এ সকল ব্যাপার গুরুপুত্রের নয়নগোচর হইয, গুরস্থত্রে পিতার