পাতা:সাধনা (দ্বিতীয় বর্ষ).djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিব্যক্তির ভিত্তিমূল । ইতিপূৰ্ব্বে আমরা দেখিয়ছি যে, জগতে অভিব্যক্তি তিন ধারায় প্রবাহিত হয় ; তাহার মধ্যে একটি ধারা শহংবৃত্ত্বি যা বুদ্ধিবৃত্তি বা মনোবৃত্তি—যাম্বাই বলে; আর একটি ধারা— দার্শনিক পণ্ডিত। থামো ! অহংবৃত্তি, মনোবুক্তি এবং সুস্থিৰতর মধ্যে প্রভেদ আছে ; উহার এক বৃত্তি নহে-তিন বৃত্তি (সাংখ্যদর্শনের অমুক পৃষ্ঠা দেখ) । প্রত্নাত্তরে যাবনর নিবেদন। আপনার কথা শিরোধীখ। কিন্তু তিনটিই কিছু অার মুল পদার্থ নহে-যুগ পদার্থ একটি। ংখ্যা হইতে তো সাংখ্যের উৎপত্তি ? সংখ্যার প্রবাহ – ১,২,৩,৪,৫ ইত্যাদি। সকলেই কিছু আর মূল সংখ্যা নহে-মূল সংখn ১। যেমন সংখ্যর প্রবাহ তেমনি অভিযাক্তির প্রবাহ ;– ব1ল্য উদ্ভিদ অহংবৃত্তি cयोफ्न জীবজন্তু ননোবৃত্তি জুরা মমুযা বুদ্ধিবৃত্তি এখালেও মূল এক বই দুই নয় । দার্শনিক পণ্ডিত। মূল—অহংবৃত্তি নহে কিয় বুদ্ধিবৃত্তি । “মহতোংহুঙ্কারঃ অহঙ্কারাত্মনঃ” (সাংখ্যদর্শনের অমুক পৃষ্ঠা দেখ)। প্রত্যুস্তরে সবিনয় নিবেদন । ইহা সকলেরই দেখা কথা, আপনিও বোধ করি দেখিয়া থাকিবেন যে, শিশুর বুদ্ধি অতিব্যক্ত হইবার পূর্কে তাহার মন অভিব্যক্ত হয় ; এবং তাহারও পূৰ্ব্বে তাহার অহং অভিব্যক্ত হয়। আপনার শাঞ্জেও তো মলে যে, -জয়ং ঘটঃ” “এটা ঘট” এইরূপ নিশ্চয় করার নাম বুদ্ধি। একটি ছয় মাসের কচি বালকের চগের সমকে একটা ঘটি ধরিলে - 卿 - -- - " .

  • .

\ অভিব্যক্তির ভিত্ত্বিযুল। »8: cগ কি করে ? “এটা ঘটি” এরূপ যে নিশ্চয় করিবে -যে দীঘর্থী এখনও তাছার জন্মে নাই। "এটা লা জানি কি” এইরূপ একটা সংশয় তাহাকে আক্রমণ করে। বেদান্ত-শ্যন্ত্রে বলে “মন সংশয়াত্মিক বৃত্তি”। অতএব ঐ বালকের অভ্যন্তরে মন কতকটা অতিব্যক্ত হইয়াছে তাছাতে আর সঙ্গেহ নাই ; কিন্তু তাহায় বুদ্ধিউন্মেধের এখনও বিলম্ব আছে। এইরূপ স্পষ্ট দেখা যাইতেছে ধে, আগে মন, পরে বুদ্ধি ক্ৰমান্বরে অভিধাক্ত হয়। আরও હાફે দেখ বায় যে, একটি সদ্যোদাত বালক ওরূপ অবস্থায় ঘটির দিকে ফ্যানুফ্যাল করিয়া চাহিয়া ধাকে মাত্ৰ—“এটা লা জালি কি” এরূপ সংশয়ও তাহার লনে উপর হর না ; অথচ তাঁহায় ভিতরে অহংবৃত্তি জাগিতেছে। তাহায় প্রমাণ—ফুধরে সমরে দুধ ন পাইলে যে রাগিয়া কাদিতে পাকে । “আমার দুধ চাইই চাই”—আপনার প্রতি এইরূপ একটা টান ইহারই মধেt তাহার জন্মিয়াছে। এই জন্ত বলিতেছি সে, ঘন অভিব্যক্ত হইবার পূৰ্ব্বে অহংবৃত্তি অভিব্যক্ত হয়। সাংখ্যদর্শনের কথা একরূপ, অ্যমাদের কথা অার একরূপ ; কিন্তু কথায় অনৈক্যেই কিছু আর মতের অনৈকা হয় না--স্থল-বিশেষে হইতে পারে, কিন্তু সকল স্থলে নহে। এমনও অনেক স্থল সময়ে সময়ে উপস্থিত হয় যেখানে কথার ধৈপরীত্যে তাবের ঐক্য এবং কথার ঐকো তাবের খৈপরীত্য দপ্রমাণু হয়। একজন বাঙ্গালীর মুখে “আমি ইংরাজ” অথবা “আমি মিষ্টার অমুক", আর, একজন ইংরাঙ্গেয় মুখে “আলি মিষ্টার অমুক", কথা দুইই সমান –কিন্তু স্থই কথার দুই ভাব সম্পূর্ণ বিপরীত। তেমনি আমি যদি লওন ধাড়াইয়া বলি “আমি স্বদেশে আছি” আর কণিকাতায় দাড়াইয়ু বলি "আদি স্বদেশে আছি” তবে কথা দুইই অবিকল সমান, অথচ w ие 3е- -н