পাতা:সাধুচরিত.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१ সাধুচরিত । নাই, তাহার মীমাংসা নাই । তাই বড় উচ্চকণ্ঠে কবি গাহিয়াছেন – “সেই ধষ্ঠ নরকুলে, লোকে যারে নাহি ভুলে, মনের মন্দিরে নিত্য সেবে সৰ্ব্বজন ।” তিনিই স্বকৃতিমান, যিনি লোকের মনোমন্দিরে নিত্য সেবা পাইয়া থাকেন। যেস্থানে ছুদিন অগ্রপশ্চাতে সকলেরই এক গতি, যেখানে মনুষ্যজীবন জলবিম্ববৎ ক্ষণবিদ্ধংসী, জলে মিশিয়া গেলে আর চিতুমাত্রও থাকিবার সম্ভাবনা নাই, সেই পৃথিবীতে যিনি লোকের মনোমন্দিরে নিত্য নিভৃতে পূজা প্রাপ্ত হন, তিনি নরকুলে ধন্য সন্দেহ নাই । বাহিরের মন্দিরে র্যাহার পূজা হয়, অনেক সময় সে পূজার উপকরণাদি আহরণে বিব্রত হইতে হয়, কিন্তু মনোমন্দিরে র্যাহার আসন, তাহার সেবার জন্য দ্রব্যসস্তার সংগ্রহে ছুটাছুটি করিতে হয় না । ভক্তিচন্দনে প্রেমপুষ্প চর্চিত করিয়া লোকচক্ষুর অন্তরালে সে পূজাকৃত্য সম্পন্ন হইয়া থাকে। মানব-জগতে সাধারণ মানবচক্ষে তিনি মৃত হইলেও, র্তাহার পার্থিব দেহ ধূলিরাশিতে মিশিয়া গেলেও, র্তাহার জীবনের প্রভাব চিরদিনই মানুষকে ধৰ্ম্মে এবং নীতিতে অনুপ্রাণিত করে । স্বগীয় রামতনু লাহিড়ী মহাশয়ের জীবন চরিত আলোচনা করিলে আমরা