পাতা:সাধুচরিত.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> & সাধু-চরিত । স্বখে স্বচ্ছন্দে থাকিতে পারিতেন । কিন্তু তিনি সে প্রকৃতির রমণী ছিলেন না । পতির সম্মানকে তিনি বড় মুল্যবান মনে করিতেন এবং সাংসারিক বহু কষ্টের মধ্যে পতিগৃহেই বাস করিতেন। একদিন জগদ্ধাত্রীর পিতৃগৃহের একজন পরিচারিক তাহাকে দেখিতে আইসে। দেওয়ানজীর আদরের কন্যা, র্যাহার ক্ষণিকসুখের জন্য পিতামাতা ব্যতিব্যস্ত হইতেন, যাহার বিন্দুমাত্র কষ্টের কারণ উপস্থিত হইলে তাহারা আহার নিদ্রা ভুলিয়া তৎপ্রতিকারে প্রবৃত্ত হইতেন, রায় মহাশয়ের সেই প্রযত্নপালিত সুখলালিত কন্য। ধান ভানিতেছেন দেখিয়৷ দাসীটি বড় দুঃখ প্রকাশ করিতে লাগিল । তদর্শনে তেজস্বিনী জগদ্ধাত্রী বলিলেন, “তুমি মাকে গিয়া বলিও, আমি এখানে খুব সুখে আছি । মামার কোন দুঃখ নাই । আমি খুব কাজ ভালবাসি।” পিতামাতার ছয়টি সস্তানের পর, বিশেষতঃ কয়েকটি অকালে গত হইলে, রামতনু ভূমিষ্ঠ হন, সুতরাং উহার ভাগ্যে কিছু অধিক আদর ও যত্ন লাভ ঘটিয়াছিল । কেশবচন্দ্র, শ্রীপ্রসাদ, রামতনু ও কালীচরণ, এই চারি ভ্ৰাতা উত্তরকালে যশস্বী হইয়া পিতামাতার আনন্দ বৰ্দ্ধন করিয়াছিলেন । “প্রাপ্তে তু পঞ্চমে বর্ষে বিদ্যারস্তঞ্চ কারয়েৎ” এই