পাতা:সাধুচরিত.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 সাধু-চরিত । ইহারা রেখা হইতে কিঞ্চিৎ ভ্রষ্ট হইয়া পড়িতেন । কিন্তু ইহঁদের এক বিশেষ গুণ ছিল যে, ইহঁরা কায়মনোবাক্যে কৰ্ম্ম করিতেন । ইহঁারা বুঝিয়াছিলেন যে, গতানুগতিক হইলে আর চলিবে না ; উর্ণনাভের ন্যায় জগৎকে দূরে রাখিয়া স্বনিৰ্ম্মিত নিয়ম ও বিধান তত্ত্বর উপর অবস্থিত হইয়া মুদিতনেত্ৰে সুখ বা উন্নতির কল্পনা করিয়া কোনও ফল নাই। র্তাহাদের দৃঢ় প্রতীতি হইয়াছিল যে, এই পরিবর্তনশীল জগতে নিশ্চেষ্টভাবে বসিয়া থাকিলে এদেশবাসীর দশ ক্রমেই অধিকতর শোচনীয় হইয়া উঠিবে । জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত, মনুষ্যত্বের মহিমায় মণ্ডিত অন্যান্য জাতির অভু্যদয়কাহিনী শুনিয়া শুনিয়। তাহারা সঙ্কীণ গণ্ডীর ভিতরে আর অাপনাদিগকে আবদ্ধ রাখিতে চাহিলেন না । প্রভাক্ত রবির লোহিতেগজল রশ্মিজাল যেরূপ প্রথমে পৰ্ববতশীর্ষে পতিত হইয়া শৃঙ্গাবলীকে সুবর্ণবর্ণে অনুরঞ্জিত করে, এবং ক্রমে উদ্ধগামী সূর্য্যের কিরণমালায় জগৎ আলোকময় হইয় উঠে, তেমনি কোনও নুতন আলোক যখন জাতিবিশেষের উপর পতিত হয়, তখন প্রথমে তাহা সেই জাতির শ্ৰেষ্ঠব্যক্তিগণের উন্নতমনে প্রতিফলিত হয়, এবং ক্রমে ক্রমে জনসাধারণের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মন আলোকিত করে । নবীনালোক-রঞ্জিত-হৃদয় ডিরোজিওর ছাত্রগণ “কুসংস্কার ও পৌত্তলিকতা”র বিরুদ্ধে ঘোরতর সংগ্রাম