পাতা:সাধুচরিত.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু-চরিত । سرایند সংস্কৃত ও পারশীতে পুনরায় শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা করা হউক, আবার অনেকে ইংরাজি শিক্ষার অনুকূলে মত ব্যক্ত করিলেন। এইরূপ গোলযোগে বহুদিন অতিবাহিত হইয়া গেল । অবশেষে বিলাত হইতে নবাগত ব্যবস্থা-সচিব লর্ড মেকলে মহোদয়ের সহিত একমত হইয়া, ভারতের তদানীন্তন গবর্ণর জেনারল মহানুভব লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ক মহোদয় ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে এ দেশে ইংরাজি শিক্ষা প্রচলিত করিবার নিমিত্ত ঐ এক লক্ষ মুদ্র ব্যয় করিতে আদেশ প্রদান করিলেন । যদিও প্রাচীনের দল ইহাতে অসস্তুষ্ট্রি প্রকাশ করিলেন, কিন্তু নবীন দল এই শুভসংবাদে অতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন । ইংরাজী-শিক্ষা-প্রচলনের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গে এক নুতন বাতাস বহিল । বহু শতাব্দীর জড়তান্ধকারের ভিতরে পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোক পড়িয়া দেশে যেন নবীন জীবনের সঞ্চার করিল । শত শত বৎসরের কৰ্ম্মহীন, উদ্যমহীন, নিশ্চেষ্ট সমাজদেহে যেন জীবনীশক্তির স্ফুরণ হইল । কলিকাতা সহরে ইংরাজীশিক্ষার জন্য একটি দুইটি করিয়া কলেজ স্থাপিত হইতে লাগিল । এই সময়ের এক অতি স্মরণীয় ঘটনা কৃষ্ণনগর কলেজের প্রতিষ্ঠা । নব্যবঙ্গের অন্যতম শিক্ষা গুরু স্থপ্রসিদ্ধ কাপ্তেন ডি. এল. রিচার্ডসন মহোদয় প্রথমতঃ এই