পাতা:সাধুচরিত.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·G8 সাধু-চরিত । ছুইয়াছিলাম, তিনি কেবল হাসিলেন, কিছুই বলিলেন না । পিতা তখন বুঝাইয়া দিলেন, হেডমাষ্টার মহাশয় হিন্দু হইলেও কাহাকেও অশ্রদ্ধা করেন না । মানুষ যখন বিদ্যায় ও জ্ঞানে বড় হয়, তখন তাহার ক্ষুদ্রত্ব চলিয়া যায়, সকলেই তখন তাহার চক্ষে তুল্যরূপ প্রতিভাত হয় । তাহাই শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য । এই বালকটি লাহিড়ী মহাশয়ের নিকট সর্ববদা যাতায়াত করিত । একদিন দুই ঘটিকার সময় স্কুল ছুটি হইয়াছে। গ্রীষ্মকাল, বড় রৌদ্র উঠিয়াছে। দারুণ সূর্য্যের তাপে গাছ পাল শুষ্ক ও মৃতপ্রায় । চারি দিক বাঁ বা করিতেছে । লাহিড়ী মহাশয় যে পান্ধী করিয়া স্কুলে যাতায়াত করিতেন, বাহকের ভাহা লইয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছে, দেখিতে পাইলেন ন। । অমনি ছাত্রেরা দৌড়িল, দেখিল, এক বৃক্ষতলে বেশ ছায়া পড়িয়াছে, তথায় পান্ধী রাখিয়া বাহকগণ নিশ্চিন্তমনে অকাতরে ঘুমাইতেছে । বালকগণ ডাকিতে যাইবে, এমন সময় লাহিড়ী মহাশয় আসিয়া তাহাদিগকে নিষেধ করিলেন। একটি বালক বলিল, “কেন ডাকব ন ? আপনি দাড়াইয়া থাকিবেন, আর ওরা ঘুমুবে ? আমি এক ছাতার খোচায় তুলে দিচ্ছি।” লাহিড়ী মহাশয় যেন অস্তরে ব্যথা পাইলেন, বলিলেন, “কর কি, কর কি ? এমন কাজ করতে আছে ? ওরা কত পরিশ্রম