পাতা:সাধুচরিত.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষজীবন। পারিবারিক দুর্ঘটনা ও স্বগারোহণ । অবসর গ্রহণ করিয়া লাহিড়ী মহাশয় শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভাগলপুর চলিয়া গেলেন । মনে করিয়াছিলেন বেহারের শুস্কভূমিতে বাস করিলে স্বাস্থ্য ভাল থাকিবে, কিন্তু কয়েক মাস তথায় অবস্থানের পর যখন কোন উপকার উপলব্ধ হইল না, তখন পুনরায় কৃষ্ণনগরের বাড়ীতে ফিরিয়া আসিলেন । র্তাহার অবশিষ্ট জীবনের অধিকাংশ সময় কৃষ্ণনগর ও কলিকাতায় ব্যয়িত হইয়াছে । যদি ও তাহার শরীর এই সময়ে খুব ভাল ছিল না, তথাপি কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়াও তিনি ত্রিশ বৎসর কাল জীবিত ছিলেন । লাহিড়ী মহাশয়ের দীর্ঘজীবনের মূলসূত্র তাহার নিয়মিত জীবন । অনিয়মিত কোন কার্য্য তঁ স্থার ছিল না । কি হুখে কি দুঃখে, কি সৌভাগ্যে কি দুর্দশায়, কিছুতেই তাছাকে অভিভূত করিতে পারিত না । অতি প্রত্যুষে শয্যাত্যাগ করিয়া প্রাতঃকৃত্য সমাপনস্তে তিনি ভ্রমণে বহির্গত হইতেন । তখনও রাত্রির অন্ধকার কাটে নাই, দুই একটি মাত্র পাখী প্রভাতী গাহিতে আরম্ভ