পাতা:সাধুচরিত.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 е সাধু-চরিত | দীর্ঘজীবন যাপন করিয়া গিয়াছেন, এই প্রতিরুথানের অভ্যাস তাহার অস্ত্যতম কারণ । সহপাঠী ও বন্ধুগণের প্রতি লাহিড়ী মহাশয়ের বিশেষ শ্রদ্ধা ছিল । তিনি সতীর্থগণকে যেরূপ ভক্তি করিতেন, আজিকালি ছাত্রগণ শিক্ষকগণকে তক্রপ ভক্তি করেন কি ন সন্দেহ । এক্ষণে কেহ অপরের নিকট মস্তক অবনত করিতে স্বীকৃত নহে । সহাধ্যায়ী রেভারেণ্ড কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে রামতনু বাবু গুরুর স্যায় ভক্তি করিতেন। তিনি যখন উত্তরপাড়া স্কুলের হেডমাষ্টার, তখন একদিন একটি ভদ্রলোক র্তাহার পুত্রকে ঐ স্কুলে ভৰ্ত্তি করিয়া দিবার জন্য উপস্থিত হন । কার্য্যের সুবিধা হইবে মনে করিয়া তিনি রেভারেও কৃষ্ণমোহন বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের নিকট হইতে একখানি পত্র লইয়া আসিয়াছিলেন। রামতনুবাবু কৃষ্ণমোহনের কথা শুনিয়াই প্রথমে পত্ৰখানি মস্তকে রাখিলেন, বলিলেন, “আমার গুরুর পত্র’, তাহার পর পাঠ করিলেন । রসিককৃষ্ণ মল্লিক নামক আর এক জন বন্ধুকে তিনি অত্যন্ত ভালবাসিতেন ও শ্রদ্ধা করিতেন । রসিককৃষ্ণ অনেক বিষয়ে তাহার আদর্শস্বরূপ ছিলেন । স্বৰ্গীয় রামগোপাল ঘোষ মহাশয়ের সহিত লাহিড়ী মহাশয় অতি দৃঢ় প্রণয়-সূত্রে আবদ্ধ ছিলেন। র্তাহার