পাতা:সাধুচরিত.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$9ు সাধু-চরিত । AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS - করিয়াছি ; আর কিছু করিবার নাই । এক্ষণে ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা কর, তিনি তোমাকে শীঘ্র এ যাতন হ’তে উদ্ধার করুন।” ইন্দু বক্ষঃস্থলে দুই হাত তুলিয়া বলিলেন, “ঈশ্বর অামাকে উদ্ধার কর।” শুনিয়াছি একান্তমনে প্রার্থনা করিলে ভগবান প্রার্থনাকারীকে তাহার অভীষ্ট প্রদান করিয়া থাকেন । বুঝি বা ইন্দুমতীর কাতর প্রার্থনা র্তাহার চরণতলে পৌঁছিয়াছিল । ইন্দুমতী পিতার মুখের দিকে তাকাইয়া তখনি অনুমতি চাহিলেন, “বাবা, আমি যাই ?” লাহিড়ী মহাশয় অকম্পিতকণ্ঠে কহিলেন, “ষাও”। সেই মুহূৰ্ত্তেই প্রাণবায়ু ইন্দুমতীর রোগক্ষণ দেহষষ্ঠি পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল। আনন্দপ্রভ স্থবৰ্ণলতিকা ভূতলে পড়িয়া রহিল । যেন এক প্রবল বাত্য সহসা আবিভূর্ত হইয়া বনমধ্যস্থিত আশ্রয়তরু হইতে স্বর্ণলতাকে ছিড়িয়া লইয়া গেল । ইন্দুমতীর মৃত্যুতে গৃহ যেন নিরাশার অন্ধকারে আবৃত হইল। এই ঘটনায় কৃষ্ণনগরের বাড়ীতে যে শোকের ছায়া পড়িল, লাহিড়ী মহাশয়ের অশেষ চেষ্টাতেও তাহ অপসারিত হইল না। নবকুমার প্রাণে বড় আঘাত পাইলেন । তিনিই ইন্দুমতীর এই অকালমৃত্যুর কারণ—ইহা মনে করিয়া জীবনের উপর নিতান্ত বীতশ্রদ্ধ হইলেন । ইহার পর যে কয়দিন তিনি