পাতা:সাধুচরিত.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ সাধু-চরিত । কস্তার মৃত্যুর পর কৃষ্ণনগরের বাড়ী মাতার নিকট শ্মশান সমান বোধ হইতে লাগিল। তিনি কিছুতেই ঐ বাড়ীতে বাস করিতে পারিলেন না । লাহিড়ী মহাশয় সপরিবারে কলিকাতা আসিলেন । কৰ্ম্মভূমি কলিকাতা-যেস্থানে প্রত্যুষে পক্ষীকুলের প্রভাতকুজনের পূর্ব হইতেই কৰ্ম্মের স্রোত প্রবাহিত হয়, যেস্থানে সূর্য্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমবৰ্দ্ধনশীল জনসংঘাত রাজপথ আকীর্ণ করিয়া ফেলে, প্রাতঃকাল হইতে সন্ধ্যা অবধি রাজবক্স বিপণিশ্রেণী, বিদ্যামন্দির, আফিসসমূহ লোককোলাহলে মুখরিত থাকে, যেস্থানে অর্থ ভিন্ন মুহূৰ্ত্ত চলে না,—সেই শোভা ও ঐশ্বৰ্য্যময়ী মহানগরী কলিকাতায় নিঃসম্বল রামতনু অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করিবার আশায় গৃহ ছাড়িয়া চলিয়া আসিলেন । কোথায় থাকিবেন, কি করিয়া চলিবে, চিন্ত! করিবার অবসর হইল না। কিন্তু ভগবানে যাহার দৃঢ়বিশ্বাস, র্তাহীর চরণে র্যtহার একান্ত নির্ভর, ভগবান স্বয়ং র্তাহার দুঃখমোচনের ব্যবস্থা করিয়া থাকেন । লাহিড়ী মহাশয় কলিকাতা আসিয়া দেখিয়া বিস্মিত হইলেন যে, বহু হৃদয় তাহার তুঃখে কাতর, বহু মহৎ হৃদয়ের ঐকান্তিক প্রীতি, শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি র্তাহার দিকে প্রধাবিত, বহু উদার পরিবারের নিভূত গৃহের শান্তিময় কোণে র্তাহাদের জস্য স্থান সযত্নে সংরক্ষিত । সত্যই, যেন কেহ আলিয়া