পাতা:সাধুচরিত.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগারোহণ । ԵՋ AeAeSAMMAMAMMAMAMMAMMAMAMMMMAMAMAMMMAMAMSAASAASAA ক্রমে শেষমূহুৰ্ত্ত আসিয়া উপস্থিত হইল । বন্ধুগণ র্তাহার শেষ অভিলাষ শুনিবার জন্য ব্যগ্র হইলেন । লাহিড়ী মহাশয় অতি ক্ষীণ কণ্ঠে একটি সঙ্গীত করিতে অনুরোধ করিলেন,—“মলিন পঙ্কিলমনে কেমনে ডাকিব তোমায় ।” একটি সুগায়ক ঐ গানটি ধীরে ধীরে গাহিতে লাগিলেন । শুনিতে শুনিতে লাহিড়ী মহাশয়ের মুখমণ্ডল যেন উজ্জ্বলতর হইয়া উঠিল । দেখা গেল তাহার ওষ্ঠাধর অল্প অল্প কঁাপিতেছে । তিনি ঐ গানটি বোধ হয় মনে মনে আবৃত্তি করিতেছিলেন । জীবন-পথের সর্ববশেষ প্রান্তে দাড়াইয়া, স্বানুষ্ঠিত কৰ্ম্মসমূহের উপর ত্বরিৎ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া, লাহিড়ী মহাশয় আসন্নকালে জগদীশ্বরের শরণাগত হইয়া ব্যাকুলকণ্ঠে তাহাকে ডাকিতেছিলেন, “প্রভো, মলিন পঙ্কিলমনে কেমনে ডাকিব তোমায় ।” ইহজীবনে যিনি জ্ঞানে- অজ্ঞানে কাহারও প্রতি অন্যায় আচরণ করেন নাই, যাহার সমস্ত জীবন ঐকান্তিক ভগবদভক্তির নিদর্শনস্বরূপ, প্রমার্থী ইন্দ্রিয়নিচয়ের উপর র্যাহার একাধিপত্য ছিল, যিনি একটি সদ্যঃপ্রস্ফুটিত পুষ্প দেখিয়া বিশ্বস্রষ্টার অপূর্ব কৌশলের প্রশংসা করিতে করিতে অবিষ্টের স্যায় হইয়। যাইতেন, সেই নিষ্কলুষচরিত্র সাধু রামতনু জীবনের শেষমুহূৰ্ত্তে কাতর কণ্ঠে ভগবানকে ডাকিতেছেন, “প্রভো, মলিন পঙ্কিলমনে কেমনে ডাকিব তোমায়” । মানুষের শক্তি কত وټیم\