এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
সানাই হ’ত সে তিলোত্তমা একেবারে নিরুপমা । যত রাজ্যের যত কবি তাকে ছন্দের ঘের দিয়ে আপন বুলিটি শিখিয়ে করত কাব্যের পোষা টিয়ে । আমার মনের স্বপ্নে তোমাকে যেমনি দিয়েছি দেহ অমনি তখন নাগাল পায় না সাহিত্যিকেরা কেহ । আমার দৃষ্টি তোমার স্মৃষ্টি হয়ে গেল একাকার । মাঝখান থেকে বিশ্বপতির ঘুচে গেল অধিকার । তুলি যে কেমন আমিই কেবল জানি, কোনো সাধারণবাণী লাগে না কোনোই কাজে । কেবল তোমার নাম ধ'রে মাঝে-মাঝে অসময়ে দিই ডাক, কোনো প্রয়োজন থাক্ বা নাইবা থাক্ । অমনি তখনি কাঠিতে-জড়ানো উলে হাত কেঁপে গিয়ে গুনৃতিতে যাও ভুলে । কোনো কথা আর নাই কোনো অভিধানে যার এত বড়ো মানে । শ্যামলী । শান্তিনিকেতন ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯