পাতা:সামবেদীয়া ছান্দোগ্যোপনিষদ‌্.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* S98 নছান্দোগ্যোপনিষৎ {

  • ভাষ্যানুবাদ। সাধুদৃষ্টিবিশিষ্টরূপে সেই ষে সমস্ত সামের উপাসনা করিতে হইবে, সেই সাম গুলি কি কি ? এই সেই গুটি কথিত হইতেছে-“লোকেষু পঞ্চবিধম” ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন হইতেছে যে, লোকাদিদৃষ্টিতে যাহাদিগের উপাসনা করিতে হইবে, তাহাদিগকেই যে, আবার সাধু দৃষ্টিতেও উপাসনা করা, ইহা ত বিরুদ্ধ কথা হইতেছে। না,-এ আপত্তি হইতে পারে না ; কারণ, মৃদুবিকার ঘটাদি কাৰ্য্যে যেরূপ মৃত্তিকাদৃষ্টি করিবার বিধান আছে, অক্ষুদ্ৰপ পৃথিব্যাদি-লোকরূপ কাৰ্য্যেও সাধু উদ্দেশ্যরূপ কারণটি নিয়তই আনুগত আছে। “সাধু শব্দের প্রতিপাদ্য অর্থ-ধৰ্ম্ম বা ব্ৰহ্ম, যাহাই হউক, তাহ লোকান্দি-কাৰ্য্যে সৰ্বথাই অনুগত আছে ; অতএব, যেখানেই ঘন্টাদি জ্ঞান হয়, সেখানেই ঘন্টাদি-জ্ঞান যেমন নিশ্চয়ই ‘স্মৃত্তিকাদি-বিষয়ক দৃষ্টির অনুগত, পৃথিব্যাদি লোক-দৃষ্টিও তেমনি সাধু দৃষ্টির অনুগতই বটে ; কেননা, পৃথিবীলোক প্রভৃতি সমস্তই ধৰ্ম্ম-কাৰ্য বা ধৰ্ম্মের ফল। যদিও ধৰ্ম্ম ও ব্ৰহ্ম, এতদুভয়ের কারণত্ব-ধৰ্ম্মের কিছুমাত্র পার্থক্য নাই, তথাপি ধৰ্ম্মই যে, “সাধু শব্দের অর্থ, ইহা যুক্তিযুক্ত ; কারণ, “সাধুকৰ্ম্মকারী সাধু হয়” এই স্থলে ধৰ্ম্ম বিষয়েও ‘সাধু শব্দের প্রয়োগ রহিয়াছে।

ভাল, পৃথিবী লোকাদিরূপ কাৰ্য্যে তাহার কারণ পদার্থটি যখন অনুগতই রহিয়াছে, তখন লোকাদি পদার্থে যে, তৎকারণের দৃষ্টি, তাহা ত অর্থপ্ৰাপ্তই (ফলবলেই লব্ধ) বটে ; তাহা হইলে “সাধু সাম ইত্যুপাস্তে’ একথা বলিবার আর কোন আবশ্যক হয় না । ন-এ দোষও হয় না ; কারণ, [ উক্তপ্রকার] দৃষ্টিটি একমাত্র শাস্ত্ৰগম্য ; অর্থাৎ শান্ত্রোপদিষ্ট ধৰ্ম্মসমূহই সর্বত্র উপাসনাযোগ্য; কিন্তু শাস্ত্রোপদিষ্ট না, হইলে অশাস্ত্রীয় ধৰ্ম্মসমূহ বিদ্যমান থাকিলেও [ উপাস্য নহে। ]। পৃথিব্যাদি লোকদৃষ্টিতে পঞ্চবিধ অর্থাৎ [ হিংকারাদি] পঞ্চভক্তিভেদে , পঞ্চপ্রকার ও সাধুগুণবিশিষ্ট সমস্ত সামের উপাসনা করিবে। কি, প্রকারে ? [তাঁহা বলা হইতেছে-পৃথিবীই হিংকার;