পাতা:সামবেদীয়া ছান্দোগ্যোপনিষদ‌্.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sts , , ছন্দোগ্যোপনিষৎ। শব্দ কখনই কোনও নিমিত্ত অর্থাৎ যৌগিকাৰ্থ লইয়া ব্যবহৃত হয় না। আর সকলের পক্ষেই যখন ব্ৰহ্মে সংস্থিতি সম্ভবপর হয়, তখন যাহাতে যাহাতে ব্ৰহ্ম-সংস্থিতিরূপ ব্যবহারনিমিত্ত আছে, ব্ৰহ্মসংস্থশব্দ সেই সেই निमिख्वान् লোকেরই বাচক হইবে, অথচ তাহার ঐরােপ স্বাভাবিক অর্থের ংকোচ বা বাধারও কোন কারণ বিদ্যমান নাই ; এমত অবস্থায় কেবল পরিব্রাজকেই ঐ শব্দকে আবদ্ধ রাখা যুক্তিযুক্ত হয় না। আর কেবল যে, পারিব্রােজ্যাশ্রম (সন্ন্যাসাশ্রম ) গ্ৰহণমাত্রেই অমৃতত্ব লাভ হইবে,তাহ্বাও নহে; কারণ, তাহা হইলে তত্ত্বজ্ঞানের কিছুমাত্র সার্থকতা থাকে না। যদি বল, পারিব্রােজ্যাশ্ৰমযুক্ত জ্ঞানই অমৃতত্ব লাভের একমাত্র উপায় ; না, তাহাও বলিতে পার না ; কারণ, অমৃত্যুত্বপ্ৰাপ্তি সৰ্ব্বা, শ্রমেরই সাধারণ ধৰ্ম্ম । জ্ঞানসহকৃত ধৰ্ম্মই যে, অমৃতত্ব সাধন, ইহাও সমস্ত আশ্রমধৰ্ম্মের পক্ষেই তুলা। আর এরূপ কোন বচনও নাই যে, একমাত্ৰ ব্ৰহ্মসংস্থ পরিব্রাজকেরই মোক্ষ হইবে,অপরের হইবে না; কেন । না, জ্ঞান হইতে মোক্ষ হয়, ইহাই সমস্ত উপনিষদের সিদ্ধান্ত । অতএব, [বুঝিতে হইবে ] স্বস্ব আশ্রমবিহিত ধৰ্ম্মানুষ্ঠাতৃগণের মধ্যে যে লোকই ‘ব্ৰহ্মসংস্থ’ হইবে, সেই লোকই অমৃতত্ব লাভ করিবে, (কেবল সন্ন্যাসিমাত্র নহে ) ॥৩ না-এরূপ সিদ্ধান্ত হইতে পারে না ; কারণ, কৰ্ম্মপ্রবৃত্তির নিমিত্ত, *আর যে বিদ্যার স্বরূপ-প্ৰত্যয় ( জ্ঞান ),ইহারা পরস্পর বিরুদ্ধ। দেখ, কৰ্ত্তা প্ৰভৃতি কারক, অনুষ্ঠেয় ক্রিয়া ও তৎফল, এই ত্ৰিবিধ বিষয়গত ভেদবুদ্ধিরূপ নিমিত্তকে লইয়াই “ইহা করি, ইহা করিও না' ইত্যাদি কৰ্ম্মবিধিসমূহ প্ৰবৃত্ত হইয়া থাকে, (কিন্তু উক্ত ভেদবুদ্ধির অভাবে নহে)। সর্বত্র এইরূপই দেখিতে পাওয়া যায়। সেই (ভেদবুদ্ধিরূপ) নিমিত্তটি যখন সৰ্বপ্রাণীতেই দৃষ্ট হয়, তখন উহা যে, কেবলই শাস্ত্ৰজনিত, অর্থাৎ শাস্ত্ৰোপদেশলান্ধ, তাম্ম নহে ; আর. ‘সৎ (নিত্য ব্ৰহ্ম) নিশ্চয়ই এক ও অদ্বিতীয়, আত্মাই এই সমস্ত জগৎ’, ‘ব্ৰহ্মই এই जभ९छ স্বরূপ, এইরূপ শাস্ত্রজনিত যে বিদ্যার স্বরূপ প্ৰত্যয় (জ্ঞান), তাহ কৰ্ম্ম প্ৰবৃত্তির