পাতা:সামবেদীয়া ছান্দোগ্যোপনিষদ‌্.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

stagsförmi: ***93 ] দ্বিতীস্নেহধ্যায়ঃ . REO অগ্নিহোত্ৰাদি कीगभूgङब्रख নিবৃত্তি হইবে না। ; না-প্ৰামাণ্যচিন্তাস্থলে অর্থাৎ বাক্যের প্রামাণ্যসম্বন্ধে বিচারস্থলে ব্যক্তিবিশেষের প্রবৃত্তি কখনই দৃষ্টান্ত হইতে পারে না ; কেননা, “অভিচার করিবে না।” শিক্রমারণার্থ ক্রিয়াকে “অভিচার’ বলে ] এই বাক্যে অভিচার কাৰ্য্যপ্রতিষিদ্ধ হইলেও ব্যক্তিবিশেষকে তাহা করিতে দেখা গিয়াছে, এইজন্য কি শত্রুতে বিদ্বেষ,রহিত বিবেকী পুরুষ ও আর অভিচার করেন ? বিশেষতঃ কৰ্ম্মানুষ্ঠানে প্ৰবৃত্তির কারণ হইতেছে ভেদবুদ্ধি; সেই ভেদবুদ্ধি বাধিত হইলেও যেমন পরিব্রাজকের ভিক্ষাছুরণাদি-কাৰ্য্যে প্রবৃত্তির প্রযোজকীভূত বুভুক্ষণ (ভোজনেচ্ছা) থাকিয়া যায়, তেমনি অগ্নিহােত্ৰাদি কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্তিজনক যে কোন ও প্রকার নিমিত্ত আছে, তাহাওনহে। যদি বল, এখানেও (গৃহস্থের প্রবৃত্তিতেও ) আকরণে পাপোৎপত্তিভয়ই • প্রবর্তৃক রহিয়াছে; না-যেহেতু ভেদজ্ঞান-সম্পন্ন পুরুষেরাই, কৰ্ম্মানু* পৃষ্ঠানে,অধিকারী, (ভেদজ্ঞানরহিত পুরুষ, নহে )। একথাও আমরা, বলিয়াছি যে, বিদ্যা দ্বারা যাহার ভেদজ্ঞান বিমন্দিত হয় নুই, ভেদজ্ঞানসম্পন্ন সেই পুরুষই কৰ্ম্মেতে অধিকৃত; যে লোক কৰ্ম্মানুষ্ঠানে অধিকৃত কৰ্ম্মের অকারণে তাহারই প্ৰত্যাবায় জন্মিবে,কিন্তু যাহার অধিকার নিবৃত্ত হইয়া গিয়াছে, তাহার নহে। যেমন ব্ৰহ্মচারীর কৰ্ত্তব্য বিশেষ বিশেষ কার্য্যগুলি অনুষ্ঠান না করায় গৃহস্থের কোন প্ৰত্যবায় হয় না, ইহাও তদ্রুপ। ভাল, এইরূপই যদি হয়, তাহা হইলে এক ত্বজ্ঞান উৎপন্ন হইলেঞ্চ স্ব স্ব আশ্রমস্থিত সকলেই “পরিব্রাজক" সংজ্ঞায় অভিহিত হইতে পারে ? না-তাহা হইতে পারে না ; কারণ, তাহদের স্বস্বমিভাব অর্থাৎ “আমি, আমার” বুদ্ধি নিবৃত্ত হয় না ; বিশেষতঃ কৰ্ম্মানুষ্ঠানই অপর অপর আশ্রমগুলির একমাত্র উদ্দেশ্য। যেহেতু শ্রুতি বলিতেছেনূ—‘অনন্তর কৰ্ম্ম করিবে”। অতএব, সর্বপ্ৰকার স্বস্বমিভাব নিবৃত্ত হওয়ায় qëমাত্র ক্লিকুকই "পরিব্রাজকু’ সংজ্ঞায় অভিহিত কুইবার যোগ্য, গৃহস্থ প্ৰভৃতিরা "নহে। যদি, বল, একত্বজ্ঞান-প্ৰতিপাদক শাস্ত্র-জনিত একত্বজ্ঞান দ্বারা---