পাতা:সামবেদীয়া ছান্দোগ্যোপনিষদ‌্.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VER छiनicioनिष९ । “বিজানাতি ক্রিয়ার বিশেষণ ; ' অর্থ যে সময়ে ; এই শরীরে (জীবৎ-দেহে ) হস্ত দ্বারা স্পর্শ করিয়া, সেই স্পর্শ দ্বারাই রূপসহচর যে উষ্ণতার উপলব্ধি করা হইয়া থাকে; সেই উষ্ণতাই নােমরূপ প্ৰকাশের জন্য দেহ-প্ৰবিষ্ট চৈতন্যস্বরূপ আত্মজ্যোতির লিঙ্গ ; কারণ, কখনই তদুভয়ের ব্যভিচার দৃষ্ট হয় না ; কেন না, উষ্ণতা কখনই জীবন্মুক্ত দেহকে পরিত্যাগ করে না। উষ্ণ দেহই জীবিত থাকিবে, আর শীতল ( অনুষ্ণ) দেহই মরিবে, এইরূপই প্ৰতীতি হইয়া থাকে। বিশেষতঃ, মরণকালে দৈহিক তেজ পরদেবতায় (আত্মায়) [বিলীনহয়], এই শ্রুতু্যুক্ত পরমাত্মার সহিত অবিভাগোক্তি হইতেও [ উহা প্ৰমাণিত হয় ; আঁতএব ধূম যেমন অগ্নির লিঙ্গ বা জ্ঞাপক, তেমনি উষ্ণতাও আত্মার অস্তিত্বজ্ঞাপক] একটি অসাধারণ বা অব্যভিচারী লিঙ্গ (জ্ঞাপক ধৰ্ম্ম) । অতএব, ইহাই সেই পরাজ্যোতির দৃষ্টি-যেন সাক্ষাৎ দর্শন, অর্থাৎ দর্শনের উপায়। সেইরূপ সেই জ্যোতির ইহাই শ্রুতি-শ্রবণ, অর্থাৎ তাহার-শ্রবণোপায়ও, ইহাই কথিত হইতেছে। লোকে যখন এই 'জ্যৈাতির চিহ্ন শুশ্ৰষু হয়—শুনিতে ইচ্ছা করে, তখন এইভাবে কর্ণদ্বয় আবরণ করিয়া-আচ্ছাদন করিয়া অর্থাৎ অঙ্গুলি দ্বয়ে কণরন্ধ, বদ্ধ করিয়া নিনাদের ন্যায়, রথের ধ্বনি-সদৃশ ধ্বনির নাম নিনন্দ (নিনাদ ), তাহাই যেন শ্রবণ করিয়া থাকে ; গর্দভ শব্দের অনুরূপ শব্দের নাম • নদখু, তাহার ন্যায়, অথবা বাহিরে প্রজ্বলিত অগ্নির যেরূপ শব্দ হয়, “তদ্ররূপ’ শবদ শরীর মধ্যে শ্রবণ করিয়া থাকে । যেহেতু দর্শন ও শ্রবণই ইহাকে জানিবার প্রধান উপায়, অতএব, সেই এই জ্যোতিকে দৃষ্ট ও শ্রুত বলিয়া অৰ্থাৎ দৃষ্টি-শ্রীতি গুণযোগে উপালােনা করিবে। তাদৃশ উপাসনার ফলে [ উপাসক ] চক্ষুষ্য অর্থাৎ দর্শনীয় (জন্মদৃশ্য) এবং শ্রুত অর্থাৎ লোক-প্ৰসিদ্ধ হন। স্পর্শগুণবিশিষ্টরূপে উপাসনার, যেখফল, তাহাই’, ‘চক্ষুষ্য” কথায় রূপ্নেও চাম্পাদন করিতেছেন ; অর্থাৎ স্পর্শগুণোপাসনা দ্বারা যে রূপসম্পত্তি লাভ হয়, " ‘চক্ষুষ্য’ শব্দে তাঁহাই জ্ঞাপন করিতেছেন ; কারণ, রূপ ও *#ifi,