পাতা:সামবেদীয়া ছান্দোগ্যোপনিষদ‌্.pdf/৫৯

હર્ષઃ ૧૭; ] প্রথমীেহধুঢ়ায়ঃ । , আর যে লোক কেবল কৰ্ম্মমাত্র জানীে-অক্ষরের যথার্থ তত্ত্ব জানে না, তাহারা উভয়েই কৰ্ম্ম করিয়া থাকে ৭ কৰ্ম্মশক্তিবলেই ষােদ তাহাদের ফল লাভ হয়, তবে আর অগ্নিমিত্ত లెFযথাত্ম্য-বিজ্ঞানের প্রয়োজন কি ?” লোকেও দেখা যায়, “দুই । জনে হরীতকী ভক্ষণ করিলে, যে জন হরীতকীরসে '। অভিজ্ঞ (গুণাগুণ জানে), আর যে জন অনভিজ্ঞ, তদুভয়েরই সমানভূবে বিরেচন হইয়া থাকে। না—এরূপ আপত্তি হইতে পাবে না ; যেহেতু, বিদ্যা ও অবিদ্যা নানা, অর্থাৎ বিদ্যা ও অবিদ্যা উভয়ই ব্রিভিন্ন প্রকার ফলপ্ৰদ। ‘তু’ শব্দটি পূর্বোক্ত আপত্তি খণ্ডনার্থ [ প্ৰযুক্ত श्शigछ ]। O অভিপ্ৰায় এই যে, ওঙ্কারের কেবল কৰ্ম্মাঙ্গন্ধ-জ্ঞানই যে, রসাতমুত্ব আপ্তি ও সমৃদ্ধিগুণের বিশেষ জ্ঞান, তাহা নহে ; তবে কি ? তদপেক্ষা আরও অধিক ; সুতরাং ওঙ্কারের জ্ঞানাংশেও • আধিক্য, থাকায় ফলাংশেও আধিক্য হওয়া যুক্তিসঙ্গীত। দেখাও যায়, , পদ্মরাগ্ন প্রভৃতি মণির বিক্রয়ে, বণিক ও শবর, এই উভয়ের মধ্যে জ্ঞানাধিক্য বশতঃ ফলাধিক্য ( অধিক লাভ ) ঘটিয়া থাকে। অতএব, বিদ্যা অর্থাৎ রহস্য-বিজ্ঞানযুক্ত, শ্রদ্ধাযুক্ত, এবং উপনিষৎযুক্ত - অর্থাৎ যোগসম্পন্ন ব্যক্তি যাহাঁই করে, তাহাই অর্থাৎ সেই কৰ্ম্মই বীৰ্য্যবত্তর হয়, অর্থাৎ অজ্ঞের কৰ্ম্ম প্রপেক্ষা অধিক ফুল হয়ক অভিপ্রায় এই যে, বিদ |ােনর কৰ্ম্মকে ‘বীৰ্য্যবদ্যুত্তর’ বলায় বুঝিতে হইবে, অজ্ঞের কৰ্ম্মও নিশ্চয়ই বীর্যাবৎ কইয়া থাকে, (কিচ্‌ফল হয় না। ); কিন্তু অবিদ্বানের যেএকেবারে কৰ্ম্মেই অধিকার নাই, তাহা নহেঁপা যেহেতু ঔষস্তি-প্ৰশ্নকাণ্ডে কৰ্ম্মবিজ্ঞানবিহীন ব্যক্তিবর্গেরীও আৰ্হিজ্য (যাজ্ঞিকতা) দৃষ্ট হয়। [ বুঝিতে হইবে, ] রসতুম, আপ্তি ও সামুদ্ধিগুণবিশিষ্টরূপেই অক্ষরের একুটুি উপাসনা বিহিত হইয়াছে; ‘কেন না, মধ্যে আর কোনপ্রকৃত্যুর প্রযত্নের উল্লেখ বা ” ব্যাখ্যা দেখা য়ায় না। অনেক বিশেষণযোগে অনেকপ্রকারে