পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংসবাকৃ-সারীর্ণবীভাষা। (t ষিতাং স লক্ষণাং সরস্বতীং প্রকাশয়িষন অজোহজায় ব্রহ্ম কৰ্ম্মণে হ্রদ হৃদয়মিদমুপদিশতি।” অর্থাৎ সেই কৰ্ম্মনিষ্ঠারূপ দক্ষিণায়ণ পথে যে কোন বিরক্ত তত্ত্বজিজ্ঞাস্থ পুরুষ বা আবদ্ধজীব, কৰ্ম্মফল স্বরূপ স্বৰ্গাদি লোক সকল পুনঃ পুনঃ পরীক্ষা করিয়া ( শ্ৰেয়: ) মোক্ষপ্রাপ্তিহেতু, পুত্র বিত্ত কুটুম্বাদি বাসনাত্রয় হেয়বোধে পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক, বিধিনিষেধ বিচার দ্বারা শুদ্ধচিত্তে সম (অমাত্র) দর্শী হইয়া, অর্থাৎ যেমন অ কার অন্ত বর্ণাস্তরে প্রবেশপুৰ্ব্বক তদ্বর্ণকারে প্রকাশ পায় তদ্রুপ পরমাত্মাও মায়াবিকারে বিকারী, অতএব মায়াবিকার মিথ্যা, অকারের স্তায় পরমাত্মাই সত্য ইত্যাদি এক অদ্বৈতজ্ঞানদর্শনবিশিষ্ট হইয়া নিবৃত্তি লক্ষণ ধৰ্ম্মোপলক্ষিত শুরুগতিরূপ উত্তরায়ণ জ্যোতিৰ্ব্বত্মে ( মোক্ষমাৰ্গে ) প্রবর্তমান হইয়াছেন, তাহার উপলক্ষে সদগুরু যেমন মুক্তি উপদেশ করেন, তদ্রুপ পাত্ম্যকল্পে “পরব্রহ্ম হইতেআমি অন্ত কিম্বা আমা হইতে পরব্রহ্ম অন্ত কি না”-ইত্যাদি সংশয়াপন্ন চিত্ত আদিজীব ব্ৰহ্মার প্রবোধার্থ বন্ধমুক্তির উপায়স্বরূপ, র্তাহার হৃদয়প্রবিষ্ট অন্তর্যামী পরমাত্মা এই মহাবাক্য চতুষ্টয় উপদেশ করিয়াছিলেন । এই উপদেশ সেই আদিকবির স্বাগত জ্ঞানময়ী স্বরস্বতীর প্রেরণা দ্বারা ভূতমাত্রের কল্যাণার্থ মুখ হইতে নিৰ্গত ও প্রচার প্রাপ্ত হইয়াছে। এই বিদ্যার নাম চতুষ্পাদ ব্রহ্মবিদ্যা একারণ সেই বেদমাতাও চতুষ্পাদ হয়েন, এবং সেই চতুষ্পাদে এক বেদেরও চারি ভাগ হইয়াছে। কি সেই উপদেশ তদৰ্থ কহিতেছেন, যথা—

8 פי মহাবাক্য । বেদমাতা । বেদ । বীজ। ১। প্রজ্ঞানমানন্দং ব্ৰহ্মঃ । তৎসবিতুবরেণ্যং । ঋগ । ঋতং । ২ । অহং ব্ৰহ্মাৰ্ম্মি । ভর্গোদেবস্তধীমহি। যজু। অথ । ৩ । তত্ত্বমসি । ধিয়োযোনঃ প্রচোদয়াৎ । সাম । ጓፍ !

•। আমায়া ব্ৰহ্মঃ। দ্বিারলে শাং। অথর্ব। હ । এই মহাবাক্য অর্থাৎ বৈদিক ব্রহ্মোপদেশ চতুষ্টয়ের যথাবৎ ষোড়শকল ব্যাখ্যারস্তে শিষ্টপরম্পরাচরিত মঙ্গলাচরণ স্বরূপ পরব্রহ্মের স্মরণ করিতেছেন, যথা— “ওঁ তৎসৎ ইতি নির্দেশঃ সোয়মাত্মা চতুষ্পাৎ।" “যে ব্রহ্মাণং বিদধাতি পূৰ্ব্বং যো বৈ বেদাংশ্চ প্রহিনোতি তস্মৈ।"