পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হংসবাকৃ-সারার্ণবীভাষা। 이 “সন্মাত্রানন্দমাশ্রিত্য বীজাকারায় প্রস্ফরৎ। "কার্য্যানাং কারণং সত্যং বাচ্যবাচকতামগাৎ " অর্থাৎ “সৎমাত্র’ নিগুণ নিরবয়ব নিত্য ‘অস্তিমাত্র” পরব্রহ্ম (আননা মাত্রা) ত্রিরেখা বা ত্রিকোণস্থা আ ক থাদি প্রকৃতি মণ্ডলকে আশ্রয় (অবলম্বন) করিয়া তদাধারে বীজ হইতে মূৰ্ত্তি প্রাপ্ত প্রণবাকার মূলস্বরূপে অঙ্কুরিত (স্থত্রিত) হইয়াছেন, একারণ প্রণবকেই "মুলস্বত্র’ বলিয়া শ্রুতি ব্যখ্যা করেন। অতএব সেই “মূল” কার্য্যের কারণ সত্যস্বরূপে বাচ্যবাচকতাপ্রাপ্ত বৃক্ষাকারে বিস্তৃত হইয়াছেন। অব্যক্ত ও অব্যয়বীজরূপ শুদ্ধ পরমাত্মা আনন্দপ্রাচুর্য্যে শব্দব্ৰহ্মরূপ বিশাল বেদবৃক্ষে মহাবাক্যরূপ অমৃত ফলচতুষ্টয় ব্যক্ত করিয়াছেন ইহাই সত্য। যেমন অব্যক্ত শব্দমাত্র বীজাকারে অক্ষর তন্ময় হইয়াছে সেইরূপ নিত্য নিগুৰ্ণ সত্যজ্ঞানানন্দ পরব্রহ্ম আনন্দাধারেও আনন্দগুণে গুণীবৎ তন্ময় হইয়া রূপাদি (বিরাটাদি) বিগ্রহ ধারণপূর্বক প্রকাশ হইয়াছেন। সেই জগৎকারণ আনন্দস্বরূপ পরমাত্মা কি প্রকারে স্ব স্বরূপ বোধক নাদ (শব্দ) বীজ (অক্ষর) রূপ ধারণ করিয়া বাচ্য হইয়াছেন তাহাই কহিতেছেন, যে ;– “শ্ৰীকণ্ঠস্তৈজসঃ সন্ধেী প্রাজ্ঞান্তঃ প্রণবোহভবৎ ।” অর্থাৎ শ্ৰীকণ্ঠ আকার এবং তৈজস উ কার সন্ধিতে যে ও কার নামক সন্ধ্যক্ষর তাহাতে আনন্দভুক্ত প্রাজ্ঞ মকার স্বশক্তি “অমুম্বারে” (বিন্দুরূপে) লয় বা নিমগ্ন হওয়াতে ও কার প্রকাশ হইয়াছেন । বিশেষার্থ যথা— শ্ৰীকণ্ঠ শৰে জ্ঞানশক্তি আদ্যাবিদ্যা সরস্বতীর ষোড়শদলযুক্ত কণ্ঠভূষণ স্বরূপ ষোড়শ স্বরবর্ণের আদি অ কার, আর ইচ্ছাশক্তি পরাবিদ্যার দ্বাদশদলযুক্ত হৃদয়ামুজের প্রভাস্বরূপ দ্বিতীয় বর্ণ তৈজস উকার সংযোগে উদিত যে “অধিদৈব ও অধিভূত সন্ধি বিগ্রহ" (ওকার) অর্থাৎ নপুংসক মিথুন) বর্ণ, তাহাতে ক্রিয়াশক্তি মূল প্রকৃতির চতুৰ্দ্দল কমলদলাশ্রিত আনন্দ-বিন্দুরূপ প্রাজ্ঞ মকার (কীলক) সংযুক্ত হওয়াতে শক্তিত্রয় সম্পন্ন প্রণবপুরুষ প্রকাশ হইয়াছেন। ইনি প্রকৃতি পুরুষ ও মিথুন, সৰ্ব্বশক্তিমান “শব্দব্ৰহ্ম" স্বষ্টি স্থিতি ও প্রলয়ের সাক্ষীরূপে অবস্থিত। অৰ্দ্ধমাত্রা বিন্দুরূপ কুলকুওলিনীকে (চিচ্ছক্তিকে) উদ্ধে ধারণ করিয়া বিরাট হিরণ্যগৰ্ভ স্বত্রাত্মা ঈশ্বর এবং বিশ্বতৈজস প্রাঞ্জ নামে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছেন। প্রণব সকল উপাসনা ও কৰ্ম্মকাণ্ডের মূল, জ্ঞানস্বরূপ, তাহসৰ্ব্বশাস্ত্রে স্বীকার করিয়াছেন, কেন না তৎপ্রতিষ্ঠিত পরমপুরুষ র্যাহাকে শ্রুতি "পরব্রহ্ম" বলেন, স্থতি