পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংসবাকৃ-সারার্ণবীভাষা । నా প্রভায় অঙ্গন্ত তাবৎ বর্ণ গুণগ্ৰাধে দীর্ঘ পূত রূপে প্রভাবিশিষ্ট হইয় থাকেন। অন্যান্ত বর্ণসকল কোথায়, তদৰ্থে কহিতেছেন, যে, ঐ দ্বাদশদ্বল কমলকণিকার সন্নিধি যে ( অবলালয় ) ক্রিরেখা, তাহার, উদ্ধ বাম ও দক্ষিণ রেখায় আ ক খ এই ত্রিষোড়শী (৪৮) এবং কোণত্রয়ে হ লক্ষ (৩) একত্রিত (৫১) একপঞ্চাশত বর্ণ অবস্থিতি করেন এইব্রহ্মাও গোলককে (প্রাজ্ঞ ) কারণ শরীর স্বযুপ্তি স্থান, এবং তাহারি কার্য্য স্বরূপ কণ্ঠকে (তৈজস) স্বল্পশরীর স্বপ্নস্থান বলা যায়। এই প্রকারে বটচক্রে আনন্দবিন্দুব্যাপিনী দ্বিপঞ্চাশং বর্ণে এই দৃশ্যমান (বিরাট) স্থলশরীর অবধারিত হইয়াছে। এই ক্রম অবলম্বনে সেই অব্যক্তা-নাদময়ী ( জ্ঞানরূপ। সরস্বতী ) পরা পশ্যস্তী মধ্যম ও বৈখরী ভেদে চারিপ্রকার বাণী নামে আ ক চ ট ত পয শ ইত্যাদি উদ্ধাধ পৰ্য্যায়ে অষ্ট বর্গে এবং শরীরচতুষ্টয়ে বিভক্ত ও স্বব্যক্ত হইয়াছেন। চিচ্ছক্তি “কেৰলা বাণী” স্বরূপে অব্যক্ত ও ব্রহ্মরন্ধে, মহাকারণ শরীরে তুরীয়াবস্থায় পরব্রহ্মেই নিত্য অবস্থিত, অথচ মূলাধারে তিনিই পরাবাণী স্পন্নবর্তী আদ্য-বালা, মণিপুরে পশুত্তী নামে দৃষ্টিমতি কিশোরী তারা,–হৃদয়ে মধ্যম নামে সৰ্ব্বাঙ্গপূর্ণ ( ষোড়শী ) যুবতী, এবং মুখে বৈখরী নামে প্রৌঢ় বৃদ্ধা, ব্যক্তা, প্রকাশ বা ফলবতী ( ভুবন ) হয়েন । এই চতুর্থ বৈখরী বাণীই চতুর্থ বিদ্যা ভুবনেশ্বরী, যার রূপে শিবাদি জীবও মুগ্ধ হয়েন। অন্তৰ্ব্বাহে বিভক্ত মাত্রিক বর্ণাত্মিক শারদ বাণী বিবিধাকারে বিবিধ স্থানে বিবিধক্রমে ব্যাপ্ত আছেন তাহার প্রমাণ, যথা— “শূন্যে ব্ৰহ্মাণ্ডগোলে চ পঞ্চাশঙ্গুষ্ঠমধ্যগে, “পঞ্চশূন্যে স্থিত তারা তদন্তে কালিকা স্থিত।” অর্থাৎ শূন্তে মহাকাশে, ব্রহ্মাণ্ডে, গোলে ভূতলে, পঞ্চাশৎ শূন্তে অক্ষরে, পঞ্চশূন্তে পঞ্চজ্ঞানেক্রিয় বিষয়ে, অথবা স্বাধিষ্ঠানাদি পঞ্চচক্রে কিম্ব আকাশাদি পঞ্চমহাভূত মধ্যে পশুত্তী রূপা বাণী “তারা” নামে, এবং তদন্তে অর্থাৎ উর্দ্ধাধ দৃষ্টিসীমান্তে + মূলাধারে পরাবাণী কালিক” নামে অবস্থিতি করেন। পদে পদে গমনশীল কালশক্তি তারা “প্রতিপদী” নামে, ত্রিগুণে, করণ, কৰ্ম্ম ও কর্ব ইত্যাদি গুণযুক্ত সগুণ ব্রহ্মরূপে প্রকাশ হইয়াছেন। চন্ত্রের স্তায় সেই কাৰ্য্য ব্ৰহ্ম-ব্ৰহ্মার হ্রাস বৃদ্ধি অর্থাৎ উৎপত্তি লয় আছে বলিয়া পুরাণে র্তাহাকেই জীবরূপে বর্ণন করিয়াছেন। কাল কৰ্ম্মের অধীন ব্ৰহ্মার দিবা রাত্র পরিমাণে জাগ্রত স্বপ্ন

  • দৃষ্টিসীমা, সন্ধিস্থল ; যাহাকে “হোরাইজন” বলে। তদন্তে ।