পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হংসবাকৃ-সারীর্ণবীভাষা। סאמי নব পত্রিকাই ফল, পুষ্প, কন্দ, মূল ও অন্নরূপে জীবের প্রাণধারণের কারণ নবছুর্গ হয়েন। । - - - অল্প হইতে অল্পময়, প্রাণ হইতে প্রাণময়, মনন বাহুল্যে মনোময়, বিজ্ঞামাধিক্যে বিজ্ঞানময় কোষ শিবরূপ হয়। পঞ্চ কোষাত্মক শিবরূপ জীব এই প্রকারে সেই অল্লাধারে অখিল জগৎকে সজীব করিতেছেন ইহাও সত্য। জীবের পঞ্চকোষে বুদ্ধি ও জ্ঞানেক্রিয় সহিত ব্ৰহ্মময়ী ‘বাণী আত্মাকে কৰ্ত্ত রূপে অহঙ্কারী করিতেছেন ; মন ও কৰ্ম্মেশ্রিয় সহিত নানা সঙ্কল্প বাহুল্যে কাৰ্য্যরূপে তন্ময় হইতেছেন। প্রাণ, মহান পদে, আত্মাকে পঞ্চধা অর্থাৎ প্রাণ, অপান, উদান, ব্যান, সমান সংজ্ঞায় দ্রষ্টা, শ্রোতা, বক্তা, ভ্রাতা, মস্ত করত, নানা কার্য্যে বিচরণ করিতেছেন। অতএব বিজ্ঞানাদি কোষত্রয়ে যে অপৰ্থীকৃত স্বাক্ষ শরীর তন্মধ্যে আত্মা তৈজসরূপে স্বপ্ন অনুভব কর্তা এবং বিবিক্ত ভোক্ত পুরুষরূপে চতুর্দশ দেবতা হইয়া স্বপ্নের স্তায় পিতৃলোকেও সুখ অনুভব করেন । দ্বাদশী বৈষ্ণবী মায়া কুটক্কপে বিশ্বাত্মার সহিত বিশ্ব প্রকাশক জ্যোতি বিতরণ করিতেছেন ইহাও সত্য। ত্রিনেত্রা সেই জগন্মপ্তি নিত্য ত্ৰিগুণীকৃত মহজ্জ্যোতি দ্বারা বিশ্বের নেত্ৰ ( দৃষ্টি) রূপিণী হইয়া পঞ্চীকৃত স্থলভূত সকলকে ত্রিবিৎ ২’ (ত্রিভাগে বিভক্ত) করিয়াছেন, যথা,—মং বীজাধিষ্ঠাত্রী জগৎ কারণ অগ্নি দেবতায় দশকল, অং বীজ দেবতা বাস্তব বস্তু স্বৰ্য্যে দ্বাদশ কলা, উং বীজদেবতা চন্দ্রে ষোড়শকলা রূপে ব্যক্ত হইয়াছেন। এই ষোড়শ কলাই ক্রিয়ী-শক্তি, ভূবনেশ্বরী ধাত্রী তাহাতেই বিরাট ভাসমান হয়েন । ইহাই কাৰ্য্যব্রহ্মের রূপ, যাহাকে “বিশ্বদর্শন” বলা যায়। ইহা বিবিধাকারে এক, যথা দেহ নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গে বিভক্ত হইয়াও এক, তদ্বৎ । এই তৈজস জ্যোতিত্রয়ের দ্বিভাগে যে পৃথক পৃথক ষড়ার্দ্ধভাগ হয় তাহার প্রথম তিন ভাগ স্বতন্ত্র রাখিয়া অপর তিনভাগকে পুনৰ্ব্বার দ্বিধা করেন, তাহার এক এক ভাগ অপরাপর ভাগের সহিত সংযোগ করা হইলে ঐ ভারতীবাণী তাহাতে ভিন্ন ভিন্ন তিনৰূপে প্রকাশ হয়েন। পরে প্রথম ভাগের চতুর্থাংশ পুনৰ্ব্বার স্বকীয় ও পরকীয় দ্বিতীয়াংশে সংযুক্ত করিয়া পঞ্চ পঞ্চ রূপে সম্মিলিত হয়েন, ইহার নাম পঞ্চীকরণ, যাহাতে এক বস্তু অনেক রূপে জীবত্ব প্রতিপন্ন করে । সোম ও স্বৰ্য্য ( অর্ক ) সংযোগে অগ্নি স্বাদশ কলা বৈশ্বানর নামে সকলের বাহ্য ও অন্তরে প্রবেশ করেন। অগ্নি ও চন্দ্র সংযোগে স্বৰ্য্যও সাৰ্দ্ধ দ্বাদশ কলাবান দ্রষ্টারূপে সকল চক্ষুর (দৃষ্টির ) চাকুষ (মুদৃশু) হয়েন। এই আপনি আপনাকে দেখাকে ‘ব্রহ্মদর্শন’ বলে। মন, যিনি চন্দ্রমা স্বৰ্য্যাগ্নি সংযোগে তিনিও সাৰ্দ্ধ-ত্রয়োদশ কলা