পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X8 - সারাপর্ব । বান হয়েন। অতএব সংসারী প্রজাকামী ভগবান মহদাদি বিরচিত ষোড়শ কলা পূর্ণচন্দ্রের ন্যায় পৌরুষরূপ ধারণ করিয়া প্রথম লোক স্থষ্টি করিয়াছিলেন তদৰ্থক যে শ্রুতি, স্মৃতি, পুরাণ তাহাও সত্য। এই প্রকারে পৃথিব্যাদি অপঞ্জীকৃত পঞ্চভূতকে পৰ্কীকৃত করিয়া, নিষ্কল ব্ৰহ্ম (সকল) কলা বিশিষ্ট হইতে ইচ্ছা করিয়া মহজ্জ্যোতি হইতে কালাঞ্জিরুদ্র’ রূপে প্রকট হয়েন । সেই কালাগ্নি রুদ্রই প্রাতঃকালে মহার্ণব-জল হইতে উদর হইয়া সায়ংকালে আবার সেই জলেই অস্তগত হয়েন, এবং রশ্মি দ্বারা ভূত সকলের প্রাণগণকে ধারণ করিয়া অহরহ উদয়াস্ত হওয়াতে র্তাহাকেই "অদ্যতন’ রবি বলা যায়। তিনি সৰ্ব্বভক্ষ, পঞ্চবক্ত, সৰ্ব্বসংহর্তা কাল, সকল জ্যোতিষ্কের সহিত প্রকাশ হয়েন, এবং উৰ্দ্ধাধঃ সকল স্থানের প্রাণবায়ুকে আকর্ষণ ও প্রসারণ করেন ইহাও সত্য। অদ্য ও কল্য এই শব্দ স্বয় দ্বারা যে কাল জ্ঞান হয়, ইহার অদ্য' শব্দে ‘প্রত্যক্ষ সাক্ষাদর্শন’ হেতু অপরোক্ষ জ্ঞানের কারণ অদ্যতন রবি' । আর ‘কল্য' শব্দে গতাগত কল্য অনুমান হেতুত্বে পরোক্ষ জ্ঞানের কারণ চন্দ্র রাত্র হয়েন। এই কালত্রয়ের নাম ভূত ভাবী বৰ্ত্তমান। এই ত্রিকাল ভেদে অধিভূত, অধিদৈব ও অধ্যাত্মরূপ পুরুষ ভেদ হইয়াছে। ভূতকালে অধিভূতরূপ চক্র, ভাবীকালে অধিদৈব রূপ স্বৰ্য্য, এবং বর্তমান কালে অধ্যাত্মরূপ অগ্নি দেবতা “বিশ্ব” হইয়াছেন, যাহার অগ্রভাগ মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি শুক্র গ্রহ এবং পশ্চাৎভাগ শনি, রাহু, কেতু রূপ গ্রহ বিগ্রহ হয়েন ইহাও সত্য । চতুঃষষ্ঠী কলা বিদ্যা ত্ৰিষষ্ঠ বর্ণরূপে এই শরীরের যথা স্থানে প্রবিষ্ট হইয়া আছেন, অতএব ত্রয়োদশী অৰ্দ্ধমাত্রা ত্রিকাল সহকারিণী, ত্রয়োবিংশতি তত্ত্বের সমষ্টি রূপে ছায়া ও সংজ্ঞা নামে প্রত্যক্ষ কালাত্মা বিভু চতুৰ্ম্ম,খ প্রজাপতির পত্নী (গায়ত্ৰী ) হয়েন। তাহাদিগের জ্ঞানময় তপস্ত দ্বারা পূৰ্ব্বাদি মুখ হইতে ঋতং সত্যং নামধেয় পরমাক্ষর প্রণবের প্রাচুর্ভাব হয় । অতএব অত্তা প্রজাপতি স্বৰ্য্য অার ওদন (অন্ন) সোম অমৃত হয়েন। অগ্নিতে যে ধূম ( অন্ন) দৃপ্ত হয় তাহ চন্ত্রের রূপ (কলা), কেন না অকুচ্চাৰ্য্যা পরা ও অপরা বাণী যিনি সাৰ্দ্ধমাত্রা প্রকৃতি, তিনি দ্বিধা হইয়া যেমন প্রাণেতে ওতপ্রোত আছেন, সেইরূপ সোম স্বৰ্য্যেতেও ওতপ্রোত থাকিয়া প্রজাগণকে স্ব স্ব কৰ্ম্মানুসারিক অন্ন (ফল ) বিতরণ করেন। সেই বাণী চতুর্দশী নামে চতুর্দশ ভূবনপাবনী হইয়াছেন ইহাও সত্য । ত্রিবিৎকরণ দ্বারা রচিত ত্রিপুর মধ্যে আত্মা যাবৎ বাস করেন, তাবৎ ভূত প্রাগী ও স্ব স্ব শরীরে বাস করে অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন দেহে দর্পণ প্রতিবিম্ববৎ প্রাণীজাতের ও বসোবাস প্রতীতি হয় । বাণীর অভাবে জীবত্বের অভাব প্রত্যক্ষ । সেই অৰ্দ্ধমাত্রা স্ব মাত্রা