পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরাবাণী” তাহাদিগের সহধৰ্ম্মিণী হইয়াছেন। দেবাস্বরী ও আমরী রাক্ষসী সম্পদে সন্নিবিষ্ট দ্বিবিধ সাৰ্দ্ধমাত্রা ( চং ) কালে পুরুষ কর্তৃক ঈক্ষিত হইলে (চিৎ) ইচ্ছাশক্তিরূপে বিক্ষেপ ও আবরণ অর্থাৎ প্রাণ কাৰ্য্য আরম্ভ করেন । উদ্ধে উন্নয়ণকারী বায়ু প্রাণ, অধোনেতা অপান, আর তদুভয়ের মধ্যে আবদ্ধ যিনি তিনি অমাত্র, স্বযুম্নাস্থ সমানবায়ু লক্ষিত নিষ্কল আত্মা ; ( গোপিনী মধ্যবৰ্ত্তী “রাসবিহারী” শ্ৰীকৃষ্ণ ) সাক্ষীরূপোলীলা মাত্র করেন। সেই বিশ্বভূত চিদাত্মা চক্ষু শ্রোত্র নাসিক মুখ প্রভৃতি দুই দুই ছিদ্র মধ্যে স্বয়স্তু “প্রাণ” রূপে আর বাক পাণি পাদ পায়ু উপস্থে “অপান” রূপে অধিষ্ঠিত, আবার উভয়ের মধ্যে হৃদয়ে, স্বযুপ্তিস্থানে “সমান’বায়ুরূপে ছত অল্প সমন্বয় পূর্বক সপ্তাটিশ “স্বৰ্য্য” রূপে সৰ্ব্বদিক ব্যাপিয়৷ মস্তকে “সপ্তশিৰ্ষণ্য” নামে উদয় হয়েন। সকল নাড়ীর অভ্যস্তরে সঞ্চরণকারী ব্যান, আর কণ্ঠস্থ উদান স্বরগণকে বহিস্কৃত করিতেছেন । অতএব সোমরূপ। ইড়া স্বৰ্য্যরূপ পিঙ্গল বাম দক্ষিণ ভাগে, মধ্যে অগ্নিরূপিণী স্বযুম্না অবস্থিতি করিয়া এক অখণ্ড মহাকালকে প্রাতঃ মধ্যাহ্ন সায়ং কালক্রয় রূপে প্রকাশ করিতেছেন। প্রাতঃকালে ব্ৰহ্মাণী, মধ্যাহ্নে বৈষ্ণবী সায়াহ্নে মাহেশ্বরী নামে বেদভেদে রূপত্রয় ভেদ করিতেছেন। সেই বালা, যুবতী ও বৃদ্ধাকারে ত্রিদেবধারিণী স্বযুম নাড়ীগত হয়েন,যে স্বযুম্ন পরা উৎকৃষ্টা নাজী নামে যোগী ও জ্ঞানীগণের নির্গমন পন্থা স্বরূপ। হয়েন। এই স্বষুমাস্তর্গত অগ্নিরূপিণী ( প্রাণশক্তি ) ক্রিয়াশক্তির সপ্ত জিহবার নাম কালী, করালী মনোজবা, স্বলোহিত, ধূম্ৰবৰ্ণ, डाबैडी, ক্ষলিঙ্গিনী এবং বিশ্বকচী, ইহা শ্রীতিতে উল্লেখ আছে, র্যাহারা সপ্ত সিদ্ধযোগিনীরূপে জ্ঞানেক্রিয়াধিষ্ঠাত্রী দেবশক্তি শিরস্থ সপ্ত ছিদ্রে অধিষ্ঠান পূৰ্ব্বক ভবভীত ভক্তগণের মুখার্থ অবলেহনাদি রসানন্দ কার্য্যে ব্যাপৃত আছেন । এই সপ্ত শক্তিপ্রভাবে ঐ সপ্ত দেবতার শ্রবণ, দর্শন, আস্বাদন স্পর্শনাদি বিষয় জ্ঞান হয় ইহাও সত্য । অতএব সমানবায়ু দ্বারা তিন ভাগে বিভক্ত অন্ন রসাদির স্থল ভাগ মলমূত্র হইয়া অপান দ্বারা নির্গত হয়, মধ্যম ভাগ মাংস হইয়া প্রাণ দ্বারা অস্থি সংলগ্ন হয়, আর স্বক্ষ সার ভাগ বল রক্ত, মজ্জা বীৰ্য্য হইয়া স্বযুম্ন দ্বারে আত্মসাৎ হব। এতাবত কাষ্ঠাগ্নি ংযোগে ধুম, ধূম হইতে জল, জলে মুত্র রুধির, এবং অন্ন হইতে রস উৎপন্ন হইয়া তৎ সমস্ত একত্রীভূত (মিথুন ) হয়, আর শুক্ল স্বরূপ নিধু মাগ্নি আত্মাতে -ঐ রস যখন আহুতি প্রদত্ত হয়, তখন তেজ মজ্জা অস্তি আর মনের উৎপত্তি হইয়া থাকে। এই প্রকারে হেয় ও উপাদেয় ( প্রিয় অপ্রিয় ) ভেদে অদ্ভুত বিশ্ব