পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ8 সারার্ণব । অর্থাৎ চারি প্রকার বাণীর আদ্যত্রয় অব্যক্ত, কারণরূপিণী ঈশ্বরাত্মিক আর চতুর্থী কাৰ্য্যস্বরূপা জীবাত্মারূপিণী অপরোক্ষ জ্ঞানদায়িনী প্রকাশমন্ত্রীস্থল বিরাটাখ্যা হয়েন, অধ্যাত্মকুশল ব্রাহ্মণের বাণীর এই চারি প্রকার পরিমাণ জানেন । স্থলা বৈখরীবাণীই মনুষ্য মুখ হইতে ক্রমাবস্থায় নির্গত হয়েন। মনুষ্য উপলক্ষে হিরণ্যগৰ্ভ প্রভৃতি সৰ্ব্বপ্রাণী মাত্রকে গ্রহণ করিতে হইবেক । অন্তচ ধিনি মিত্রাবরুণ সদনফ্লুচরস্তী ত্ৰিষষ্ঠীঃ বর্ণানন্তঃ প্রকট করণৈঃ প্রাণ সংগীত প্রস্থতে। তাং পশুন্তীং প্রথম মুদিতাং মধ্যমাং বুদ্ধি সংস্থাং বক্তে, করণ বিশদাং বৈখরী চ প্রপদ্যে'—ইত্যাদি প্রমাণে ‘চন্দ্র স্বৰ্য্য (প্রাণাপাণ) সদন, স্বযুয়া সন্ধি হইতে ত্ৰিষষ্ঠ বর্ণরূপকে হৃদয়ে মধ্যমাকারে প্রকট করেন, সেই বুদ্ধিস্থ পরাপগুন্তী এবং বক্তে করণস্থা বৈশ্বরী, নিৰ্ম্মলা বাগৰাণী—দেবীর সর্ব প্রকারে শরণাপন্ন হইয়া তদধিষ্ঠান পরামাত্মাকে আপনাতে প্রত্যক্ষ কর । ইত্যাদি বাক্যেও উপলব্ধি হয় যে প্রকাশমাত্র তাবৎ বস্তুই বাত্ময় ৷ করণ শব্দে “প্রযত্ন সহকারে অভিলষিত বস্তু গ্ৰহণ স্থান, একারণ স্থান-করন প্রযত্নে বর্ণ সকল শৰণয়মান হইয়া থাকে ইহা ব্যাকরণে ( বেদাঙ্গে) উক্ত হইয়াছে। করণ অষ্ট, অতএব অষ্ট স্থান নিরূপিত আছে, যথা,—মূদ্ধ, কণ্ঠ, মুখ, জিহামূল, দস্ত, নাশিকা, ওষ্ঠ ও তালু। অতএব অবর্ণ কবর্গ হ এবং বিসর্গ: কণ্ঠা, ইবর্ণ চবৰ্গ য শ তালব্যা, উ বৰ্ণ প বর্গ উপন্ধানীয় ঔষ্ঠ্যা, ঋ বর্ণ ট বর্গ ব ষ মূর্ধণ্যা, ৯বর্ণ ত বৰ্গ লস দস্ত্যা, এ ঐ কণ্ঠতালব্যা এবং ও ঔ কণ্ঠৌষ্ঠ্যা, বা দন্তৌষ্ঠ্য বিন্দু অমুনাসিক হয়েন । আত্মকৃত প্রযত্ন বাহ্য ও অভ্যন্তরে অব্যক্ত ও ব্যক্তরূপে প্রত্যক্ষ হয়েন ইহার বিবরণ বাহুল্য। আত্মা সমবুদ্ধ্যাধীন প্রকৃতিস্থ মনের (প্রধান করণের ) ভাব অর্থ প্রকাশাভিপ্রায়ে মহতি কায়াগ্নি প্রেরণা দ্বারা শব্দময় মারুতকে বায়ুয় এবং বাষ্ময়কে বর্ণময় (রূপৰান) করিয়া স্বয়ং প্রকট হইতেছেন। অপরস্তু সেই সৰ্ব্বব্যাপী পরমাত্মার অবয়ব স্বরূপ ( "আকাশস্তলিঙ্গাৎ’ ইত্যাদি বেদাস্তস্বত্র প্রমাণে) চিন্ময় মহান আকাশই ঘৃত হইয়াছেন। আর বিরাট বা বিশ্ব (জীৰ ) দেহ মধ্যবৰ্ত্তী অবকাশ স্থানকেও সগুণাকাশ বলা যায়, যথায় শব্দ হয়। সেই শঙ্কগুণবিশিষ্ট আকাশ মধ্যে বায়ু (প্রাণ) যথা তথা মদ মদ গতি ও বেগ বিশিষ্ট শব্দকারী স্বর উৎপাদন করিতেছেন । কারণ প্রযত্নে শরীরস্থ বৈশ্বানর অগ্নির তেজে স্থানগুণে বিভাগকৃত হইয়া ঐ স্বর বৈশ্বরী নামে মুখ হইতে নির্গত ও বর্ণর প্রাপ্ত হওয়াতে তাহাকেই ‘শব্দ’ বলা যায়। এই স্বরকে অন্তর্যামী রূপে যিনি দেখেন, তিনি পশুন্তী বাণীতে অধিষ্ঠিত বালাধ্য আত্মা । তিনিই কণ্ঠে মধ্যমাবাণীকে