পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হংসবাকৃ-সারার্ণবীভাষা । , ર(t উচ্চারণ যোগ্য ও মুখ জিহ্বাগ্র হইতে বৈখরী বাণীকে নির্গত করিয়া মনোগত অর্থ প্রকাশ করেন, এতাবত স্বশক্তিতে আসক্ত নিরবয়ব আত্মা জানিবার যোগ্য, (জ্ঞানগম্য) হইয়াছেন এমত প্রসিদ্ধি আছে। অতএব মিত্র শব্দে স্বৰ্য্য পিঙ্গলাস্তবন্ত্ৰী চৈতন্য অগ্নি, ৰিনি প্রাণ ও অত্তা আর বরুণ শব্দে চন্দ্র যিনি ইড়াস্তবৰ্ত্তী চৈতন্য রয়ি, যিনি অপানগত ওদন হয়েন। ইত্যাদি বিষয়বাক্য বিচার দ্বারা অধিদৈব পিনাকধুক পরমাত্মা প্রাণাপান মিথুন ব্রহ্মসদন (প্রজাপতি ) হইতে শীতোষ্ণাদিৰ ন্যায়, শ্বাস প্রশ্বাসের সহিত ছায়া আতপের ন্যায়, ত্ৰিষষ্ঠ বর্ণাকারে আবিভূতি অধ্যাক্স পশুপতি যজমান রূপ হয়েন ইহাও সত্য । এতদৰ্থে শ্রুতি যথা,— ‘একো অজঃ সগুণেশ্বরঃ ত্রিরূপ স্বযোনি মায়াতে আত্মতুল্য অনেক (প্রজা) প্রকৃতি বিশিষ্ট পুত্র উৎপন্ন করেন এবং পালন করেন। আবার অন্ত নিত্য পূর্ণকাম সচ্চিদানন্দ নিগুৰ্ণ স্বরূপে তৃপ্ত হইয়া ভুক্তান্নশেষ জ্ঞানে তাহা পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক স্বতন্ত্রও হয়েন। ভুক্তভোগা নিরস। মায়াকে হেয়ত্বে পরিত্যাগ করাতে অন্নরসজ্ঞতা ভাব, অর্থাৎ পুৰ্ব্বপরম্পর। ভোক্তৃত্ব অভিমান আদি-বেদ ঋগ্বেদোক্ত অ কার অধিষ্ঠাত্রী জাগ্রতাভিমানী “অগ্নিৰ্দেবতা” ব্ৰহ্মাতেই সম্ভব, ইত্যাকার মীমাংসার অভিমতে “অগ্নিমীড়ে” খচাগর্ভ বৈখরী বাণীর সাহচৰ্য্য গ্রাপ্তিহেতু “প্রজ্ঞানমানন্দং ব্রহ্ম", এই মহাবাক্যের তাৎপৰ্য্য আলোচনা করিতে প্রবৃত্ত স্বামীজী কহিতেছেন যে, ব্ৰহ্মা ও ব্রহ্ম ভোক্তা ও অভোক্ত (দাতা) পদবাচ্য একই পরমাত্মা, প্রজ্ঞান ও আনন্দ স্বরূপে এক কালেই দ্বিধা হয়েন, যথা “জ্যোৎস্কারাত্র”। মেঘাচ্ছন্ন দিবা । যথা শরীরে,—মনে, ইন্দ্ৰিয়বৃত্তিরূপে জীবাত্মা এবং বুদ্ধিতে,-বিজ্ঞানবৃত্ত্বিরূপে পরমাত্মা প্রতীতি হয়েন। তথাচ শ্রুতি,— - “একমেব প্রজ্ঞানং ব্রহ্ম যুগপদস্মিন পুরে দ্বিবিধোহগাৎ” অর্থাৎ একই প্রজ্ঞান,-প্রকৃষ্টজ্ঞানস্বরূপ চিদাত্মা, র্যাহাৰ জ্ঞান স্বৰ্য্য ও চক্ষুর স্থায়, চুম্বক ও লৌহের ছায়, অগ্নি ও পাত্রের ন্যায় চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্বকে সচৈতন্ত করেন, যে জ্ঞান পরা পশুস্তী মধ্যম বৈখরীরূপে প্রপঞ্চোৎপাদিক, জ্ঞান, ইচ্ছা, ক্রিয়াশক্তিদ্বারা জগদ্যুৎপত্তি স্থিতি, লরের কারণ হয়েন, সেই স্বপ্রকাশদেবতা প্রজ্ঞানশব্দে ভূতাধিবাসী বাসুদেব নামে উপাস্ত হয়েন। নির্গত অস্তঃকরণে জ্ঞানেজিয়দ্বারা তিনিই দ্বিতীয়স্বরূপে প্রত্যেক ঘটে শব্দাদি বিষয়গ্রহণ করেন, আবার জ্ঞানকৰ্ম্মেস্ক্রিয় অন্তঃকরণ পঞ্চভূতাদির প্রেরক ও গুণত্রয় সহিত মূলপ্রকৃতির প্রেরক হইয়া তিনিই এক বাস্থদেব জগৎকে সাক্ষীত্বে দর্শন করেন একারণ তিনিই প্রজ্ঞাননামধেয় ব্রহ্ম হয়েন । এতদৰ্থে ব্ৰহ্ম বিশেষণে “সৰ্ব্বেশ্বব” পদ গ্রহণ করা