পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ a সারার্গব । অর্থাৎ অন্তর্গত্ত্ব প্রজাপতি' পদে স্থষ্টিকর৭েছু প্রজাপতি (ঈশ্বর) পরা প্রকৃতিকে (ঈক্ষণ করিলে দেখিলে, তিনি স্বগর্তে হিরণ্য গৰ্ত্তকে ধারণ পূৰ্ব্বক এক ‘হেমময় অও’ প্রসব করিলেন। হৈমমওং পদে জল বিস্বীকার তুষারময় গোলবস্তু অথবা তৈজস পরমাণুপিগু বুঝিতে হইবেক। সেই অণ্ডে অস্তি ভাতি প্রিয়ক্কপ ও নাম এই পঞ্চ চিদংশ চাকুষ প্রত্যক্ষ হইল। ইহার আদ্যত্রয় ব্রহ্মস্বরূপ (আকাশ বায়ু অগ্নি) আর অবশিষ্ট স্বয় ( জল ও পৃথিবী স্থলভূত ) নাম ও রূপ, তাহাই জগন্দ্রপ পরিণামী হয়। ঘোর তপের দ্বারা অগুস্থ বিভু (তৈজস ) সেই অণ্ডকে দ্বিখণ্ড করিয়া মিথুন অর্থাৎ যুগ্ম রূপে নিৰ্গত হইয়া বিবিধ কাম ( বাসনা,-বিত্ত, জায়া পুত্র ) বর্ষণ,— সঙ্কল্প করিলেন । যথা অন্ত শ্ৰুতিঃ– “প্রজাকামো বৈ প্রজাপতিঃ স তপোহতপ্যত, স তপস্তপ্ত স মিথুনমূৎপাদয়তে, রয়িঞ্চ প্রাণং চেত্যেতে মে বহুধা প্রজাঃ করিষ্যত।” অর্থাৎ প্রজাকামী পরমেশ্বর নিত্যবিজ্ঞানময় তপস্বারা প্রাণ ও রয়ি ( অন্ন ) নামক মিথুন,শীতোষ্মরশ্মি,দিবারাত্র সন্ধিলক্ষণ সৎকাৰ্য্য চন্দ্রস্বর্যরূপ অত্তা ও ওদন উৎপন্ন করিয়া বহুপ্রকার প্রজা উৎপত্তির সঙ্কল্প করিলেন। অতএব সোমাগ্নি-মিথুনজুক প্রজাপতি রবি এই সকল প্রজা উৎপন্ন করিয়া ধারণ ( পালন ) করিতেছেন ইহা প্রত্যক্ষ। রাত্রিভাগে ঘোর অন্ধকার হইবেক বিচার করত তন্নিবারণার্থ তিনি কি করিলেন অন্ত শ্রীতি দ্বারা তাহা প্রকাশ করিতেছেন, যথা,— “ঈশ্বরস্য প্রথমশ্বাসনির্গতঃ প্রথমউকার ইতি” । অর্থাৎ অ মাত্র ঈশ্বরের প্রথম শ্বাসের সহিত উ কার ( শব্দ ) উৎপন্ন হইল । সেই প্রথম উকার প্রণবের দ্বিতীয়-মাত্রণ রজোগুণী, স্বপ্নস্থানাভিমানী, অস্তঃ প্রজ্ঞ, বর্ণ স্বর মাত্রা বলযুক্ত দ্বিতীয় ব্যাহৃতি, “ভুব’, গায়ত্রী-দ্বিতীয় পাদ, সোমমণ্ডল, প্রবিৰিক্ত ভোক্ত (স্বগ্ন ), সপ্তাঙ্গ ও একোনবিংশতি মুখবিশিষ্ট তৈজস, অধিভূত রূপ হয়েন। সেই অধিভূত উকারে, জাগরিত স্থানাভিমানী প্রথম ব্যাহৃতি ভূ গায়ত্রী প্রথমপাদ, সপ্তাঙ্গ একোনবিংশতি মুখ প্ৰণবের প্রথম মাত্রা সত্ত্বগুণী স্থল ভোক্ত অকমণ্ডলস্থ বহিপ্রজ্ঞ দিবসন্ধপ বৈখমর অক্ষার সংযুক্ত হওয়াতে ‘ও’ কারাকারে ‘সমান অর্থাৎ অধ্যাক্স অধিভূত সন্ধি অক্ষৰ সন্ধ্যারূপ হইলেন । তাহাতে স্পৰ্শাস্ত অধিদৈব সন্ধান “স্ব’ বহ্নিমণ্ডলস্থ স্বযুপ্তিস্থানাভিমানী তৃতীয়পাদ মকার ‘অব্যক্ততম', বিন্দুরূপ রাত্রি (অমাবস্ত ) অবসান বা লয় হইলে, প্রণবাকারে অন্ধকার (তিমির)