পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হংসবাকৃ-সারণিবীভাষা । HI নাশক ষোড়শকলপূর্ণ-পুরুষ প্রকাশ হইলেন। অবসান শব্দে মহৎ, যাহাকে মায়া, প্রধান, অব্যক্ত অবিদ্যা, অজ্ঞান, অক্ষর, অব্যাকৃতি, প্রকৃতি, তম ও স্বভাব বলা যায় । - এই প্রকৃতি এক মাত্রায় হ্রস্ব, দ্বিমাত্রায় দীর্ঘ এবং ত্ৰিমাত্রায় প্লুত ও অৰ্দ্ধমাত্রায় ব্যঞ্জন ( জড়া ) হয়েন । একারণ অৰ্দ্ধমাত্রা কাঠান্ধপিণী মায়া, অ কার পুরুষ যোগে কলাবতী হয়েন, ইহাই শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য। এই বিশ্ব তৈজস প্রাঙ্ক এবং অধ্যাতা অধিভূত ও অধিদৈৰ, বিরাট হিরণ্যগৰ্ত্ত ঈশ্বর পাদব্রয়ে পূর্ণ চতুর্থ পরমাত্মা প্রণব পুরুষের বাস্থায় ব্যক্তি হয়, যথা ভগবদগীতা,— “অক্ষরং পরমং ব্রহ্ম স্বভাবোহধ্যাত্মমুচ্যতে । ভূতভাবোস্তবকরো বিসর্গঃ কৰ্ম্ম সঙ্গিতঃ ॥ অধিভূতং ক্ষরোভাবঃ পুরুষশ্চাধিদৈবতম্। অধিযজ্ঞোহহমেবাত্র দেহে দেহভূতাম্বর ॥” অর্থাৎ নিত্য অবিনাশী অক্ষর ও কারের অ কারকে পরম ব্ৰহ্ম স্বরূপ জানিবে, যিনি স্বভাবে (মায়াযোগে ) অং-অধ্যায়, বিশ্বপ্রাণ ভোক্ত পুরুষ। যিনি ভূতের ভাব ও অভাবাদির উদ্ভাবক, কৰ্ম্ম (যজ্ঞ ) স্বরূপ ভগবান ( জীবাত্মা ) হয়েন। উ কারকে অধিভূত অর্থাৎ উদ্ভূত তৈজস, আকাশাদি সমস্ত প্রপঞ্চাত্মক ক্ষরোভাব শরীর বা অল্পবিকার স্বরূপ পরিণামী জানিবে। “আং’ বর্ণীতাক ( দীর্ঘ ) অধিদৈব পুরুষকে যজ্ঞেশ্বর, আদিত্য বলিয়া বুঝিৰে। ইহাতে দেহাধিকারী অধ্যাত রূপে অহং ভাবাপন্ন যে প্রত্যক্ষ আত্মা, র্যাহাতে অধিভূত বিন্দুরূপে (যজ্ঞাহুতির স্তায় ) একীভূত বা অবসান হয়েন, দেহের অধিপতি (যজ্ঞাধিকারী) রূপে তিনিই অধিযজ্ঞ নামে অধিদৈব হয়েন । যেমন অ কার দ্বিগুণে “অ’ হয়েন, সেইরূপ এই অধ্যাতা-চৈতন্য মায়া-দেহধারী যজ্ঞেশ্বর দ্বিগুণে আমিই তিনি হই হে অৰ্জুন ! যে যজ্ঞে ভূতের উৎপত্তি হয়, সেই যজ্ঞকৰ্ত্ত স্বয়ং দেহভূতাত্মাই স্বষ্টিকৰ্ত্ত স্বরূপ পরমেশ্বর, আত্মসত্তায় তাহাতে ঈশ্বরেতে অভেদ ইতি ভাব। যথা মূলে,— “অকারোহধ্যাত্ম্যং আ ইত্যধি দৈবতং ই প্রকৃতি উকারোইধিভূতং ঋতেজঃ সন্ধিরূপং, ৯ সন্ধানং নাম- দ্বে দ্বাবন্যান্যস্ত স্ববর্ণীবিত্যনেন সূত্রেন হ্রস্ব দীর্ঘ প্লুত ঘোষবত্য ঘোষত্ত্বোং সন্ধ্যক্ষরস্পশান্তস্থোত্মান্তনিষ্ঠস্তৈজসঃ যোহধিযজ্ঞাবসানো ভবতি । তস্মাদেবাধিযজ্ঞাদবর্ণ বর্ণ যোগ