পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সারাপূর্ব l שO\ কীলকে আবদ্ধপ্রায় সপ্রকাশিত আছেন। এই বেদ হইতে চতুর্দশ দুই স্বররূপিণী বাণী চতুর্দশ বিদ্যারূপিণী হইয়াছেন । চতুর্দশ বিদ্যা যথা,-আগম । তন্ত্র) ১, নিগম (বেদ ) ৪, পুরাণ ১, দর্শন ৬, ধৰ্ম্মশাস্ত্র (মহু) ১, ইতিহাস ( মহাভারত) ১,— সমষ্টি ১৪ । এতদ্ভিন্ন শ্রুতি স্মৃতি মিশ্রিত উপৰেদাদি নানাপ্রকার হয়েন । এই বিদ্যা চতুঃষষ্টি কলাত্মিক ষষ্ঠদণ্ডাত্মিক কালশক্তি ত্রিবষ্টি বর্ণ মরী অবসান রূপ হয়েন। অতএব সৰ্ব্বত্মিক বিদ্যাকে শ্রেয়াধিপ্রজাপতি ব্ৰহ্মা চতুৰ্ম্মখে নিরস্তর পাঠ করেন। এই অক্ষর তন্ময়ী বিদ্যারূপিণী বাণীতে অস্তি, ভাতি প্রিয় রূপ ও নাম, পঞ্চ ভগবৎ স্বরূপ অবধারিত হওয়াতে, চারিট সন্ধি অক্ষর সদৃশ বাস্বদেব, শঙ্কর্ষণ, প্রস্থ্যম, অনিরুদ্ধ নামে চতুৰ্দ্ধা ব্ৰহ্ম প্রতিপাদন করিয়াছেন, যথা শ্রুতি,-“সোয়মাত্মা চতুষ্পাৎ’— তত্ৰ সত্বগুণ কার্য্যে বামুদেব দেবতা, ঋকবেদ, সত্যযুগ, ব্রাহ্মণবর্ণ, সাত্ত্বিক গুণ, স্তায়দর্শন প্রমাণ, প্রণব জপ, কেবল জ্যোতিৰ্ম্ময় ধ্যান, “সৰ্ব্বব্ৰহ্মময়’ ইত্যাদি জ্ঞাননিষ্ঠা ‘নিশ্চয়', ভেদাভেদ বোধ নাস্তি। এই প্রকার শব্দব্ৰহ্ম জগতের হিতার্থ আবিভূত হয়েন । সেই এই বিরাট, হিরণ্যগৰ্ত্ত, স্বত্ৰাত্মা ঈশ্বর। সেই এই বিশ্ব তৈজস প্রাজ্ঞ জীব। এই জীব ও ঈশ্বর উভয়ের বিদ্যা অবিদ্যা উপাধি, তাহাতে দ্বিধা ভেদ। এক নিত্য শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্তস্বভাব প্রত্যগচৈতন্ত আত্মা সকল চক্ষুতে চাক্ষুষ, দ্রষ্টারূপ স্বৰ্য্যপ্রকাশবৎ ‘এক এবাদ্বিতীয়ং’ ; উপাধিভেদে বৃহৎ, কৃশ, স্থল, জ্ঞানী অজ্ঞানী হইয়াছেন, চৈতন্তত্বে সদানিত্য,—উভয়তঃ অবিনাশী হয়েন। বিদ্যাপ্রভাবে অবিদ্যা নিবৃত্তি সহকারে জীবই ঈশ্বরত্বে লয় হয়, অভেদ হয় । যেমন শঙ্কৰ্ষণাদি বাস্থদেবে এক হয়েন। এই কালাত্মা বাস্থদেৰ স্বৰ্য্যই দিবসরুপে, প্রকাশ ও পালন করেন। ইনি প্রাণপঞ্চক পদে দণ্ডায়মান হইয়া হিরণ্যগৰ্ত্তাদির (শঙ্কৰ্ষণাদির ) স্রষ্টা ও পালন কর্তা পিতৃরূপ হয়েন। দ্বাদশ রাশি ইহার অঙ্গ, রবি আদি শনি অন্তক সপ্তবাররূপ চক্রযুক্ত রাত্র (অন্ধকার) রূপ অবিদ্যারথে ভ্ৰমণ করতঃ, ষড়ঋতু মরীচিযুক্ত সম্বৎসর নাম প্রজাপতি, স্বর্লোক হইতে অমৃত বর্ষণ করতঃ প্রকাশ হইতেছেন। তাহাকে কেহ জড়পিও, বা সামান্ত বস্তু বোধে তুচ্ছ তাচ্ছল্য করিলেও তিনি বিচলিত হয়েন ন, প্রত্যুত স্বপ্রকাশে মায়ার জাড্য নিরাকরণ পূর্বক তাহাকে ঋতুমতী পত্নীরূপে প্রজাবতী করিতেছেন। তিনশত ষষ্ঠ অহোরাত্রে অশরীরী সেই কালাত্মা শরীরবান হইতেছেন। সেই