পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংসবাকৃ-সারীর্ণবীভাষা। Վ):Է, অত্র অহং শশার্থে স্ব স্বরূপাভিমানী পরমাত্মা পরমেশ্বরই গ্রাহ । আমিই জগতের সাক্ষী প্রেরক ও ভোক্ত হই, এমত অভিমান অন্তে মহুদাদি অচেতনে সম্ভবে না । যথা শ্রুতি ;– - “ময়ৈব সকলং জাতং ময়ি সৰ্ব্বং প্রতিষ্ঠিতং “ময়ি সৰ্ব্বং লয়ং যাতি তদ্ধ ক্ষাদ্বয় মৰ্ম্মহং।" অতএব অহং শব্দ ব্ৰহ্মারূঢ় হয়েন। স্মৃতি র্যথা— “অহংসৰ্ব্বস্য প্রভবো মত্তঃ সৰ্ব্বং প্রবর্ততে। “ইতিমত্ত্বা ভজন্তে মাং বুধাভাব সমন্বিত ॥” ভাগবতেও বলিয়াছেন যথা,— “আহোমেবায়ে নান্তদ্যৎ সদসৎ পরং । “যশ্চাদহং যদেতচ্চ যোহবশিষ্যেতসোহস্মহং ॥” অর্থাৎ আমি অগ্নি রূপে সদসৎ বস্তুর শ্রেষ্ঠ হই, এবং যাহা হইতে অহং শা এবং ( এতৎ ) এই শব্দ প্রতিপাদিত হয়, সেই অবশিষ্ট বস্তু ও আমি হই, ইতি । অহং শব্দের বর্ণার্থ, যথা— “অ ইত্যমাত্ৰংক্রহ্ম হং ইতি বিয়দ্বীজং উন্মান্ততেজঃ “স্পশাবসানং অহং ইতি মস্ত্রোদ্ব্যক্ষরং ব্রহ্মবোধকঃ । অর্থাৎ অ মাত্র ব্রহ্ম হং এই ব্যোমবীজ উষ্মান্ত তেজ স্পর্শ বর্ণের অবসান “মায়াযোগে” “অহং” অর্থাৎ দুই অক্ষরীব্ৰহ্ম বোধক মন্ত্র উদ্ভূত হইয়াছে। “যুষ্মদম্মন্নাম্নাং মধ্যে অস্মন নিত্যোপলব্ধি স্বরূপঃ “স্বাত্মবাচকো ভবতি, অতএবাহং শব্দেন ব্রহ্মবিশেষেণ ‘জ্ঞানময়ি সৰ্ব্বমিদং প্রোতং সূত্রে মণিগণাইব,— “কুতঃ স্বতশ্চৈতন্যত্বাৎ ।” দেখ,—তুমি আমি এই দুইটী শব্দের মধ্যে “আমি” শব্দ নিত্য উপলব্ধি স্বরূপ আত্মবাচক হয়, অতএব “অহং’ শব্দে বিশেষ প্রকারে ( ব্রহ্মে, জ্ঞানময়ে) এই জগৎ স্থত্রে মণিগণের স্থায় প্রোথিত আছে, কেন না আত্ম’ বাচক অহং শব্দে স্বতশ্চৈতস্তত্বভাব প্রাপ্ত হওয়া যায়। তদ্ভিন্ন সকল জড় । তাহারি প্রভাবে মূল প্রকৃতি মায়া ত্রিগুণাত্মিক হয়েন। ব্রহ্মাভিমানী “অহং’ শব্দ মূল প্রকৃতিতে আরূঢ় হইলে ব্ৰহ্মই বিদ্যা-চৈতন্যাভিমানী ঈশ্বর’ হয়েন। তখন তাহার চিদঘন ভাব হয়।