8२ সারার্ণব । শেষভস্মরাশিঃ প্রলয়ামুভিঃ, আনন্দামুভিং রেদমানোইগ্নি বায়ুবরুণসূর্য্যৈশ্চতুর্ভিঃ সন্ধিযোগৈঃ ক্রমাদ্দাহমানঃ শোষমান প্লাবমান আয়ুষ্মান বিস্কৃম্ভিতে মূলাধারে বীজাদহং শব্দস্তেজোবান্নস্করো ভবতি”। প্রলয়াস্তে (স্বযুপ্তির অন্তে) পুনঃ স্বষ্টির পূৰ্ব্বে ( জাগরণের পূৰ্ব্বে ) অর্থাৎ স্বপ্নাবস্থায়, পুরুষাগ্নিহত-অন্ধনিষ্ঠ তেজ, ঋতুমতী স্ত্রী * গৰ্ত্তে অভিসিঞ্চিত হইয়া বৰ্দ্ধিত হয় । সৎস্বরূপ সেই অগ্নি প্রদত্ত যজ্ঞাহুতির শেষ ভস্মরাশি + প্রলয়াম্বুধিজলে : ক্লিদ্যমান হইয়া অগ্নি বায়ু বরুণ ও স্বৰ্য্য এই চারিদেব সন্ধিযোগে ক্রমশঃ দাহমান শোযমান, প্লাবমান, আয়ুষ্মান ও উখিত ( স্বীত ) হইয়া মূলাধারে চতুৰ্দ্দল কমলে (বিষ্ণুনাভি কমলে ) বীজাকার হইতে অহং তেজবান অঙ্কুরের স্ত্যায় উ কার হিরণ্যগৰ্ত্ত ব্ৰহ্মা রূপে (জীব) শ্বাস প্রকাশ হয়েন। জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যাধি, সুখ, দুঃখ ভোগ স্বপ্রাবস্থাতেই হইয়া থাকে স্বযুপ্তিতে ইহার যেমন অভাব হয়, জাগ্রতে বা ইহার তেমনি কেবল সাক্ষীত্ব মাত্র থাকে। একরাত্রে কল, কল, শব্দ পঞ্চরাত্রে বিম্ব, দশাহে বর্তুলাকার, পরে প্রেষিত মাংস পিণ্ডের ষ্ঠায় হইয়া এক মাসে শির বাহু ও দুই মাসে অঙ্গ বিগ্রহ হয়। মাসত্রয়ে নখ, লোম, অস্থি, মৰ্ম্ম, লিঙ্গছিন্দ্র, চারি মাসে সপ্ত ধাতুবান হয়, এবং পঞ্চম মাসে ক্ষুধা, তৃষ্ণা, স্পন্দনাদি বোধ করে । ছয় মাসে জীব, সপ্তমে সপ্তাবরণ এবং মস্তকে স্বৰ্য্যবিম্ব প্রকাশবং সপ্তছিদ্রে সপ্তশিৰ্ষণ্য প্রাণ সংস্থিত হয়েন । সপ্তমাষ্টমের সন্ধিযোগে জ্ঞানেন্দ্রিয় বিকাশে লন্ধবোধ জীব ( অহং ) পূৰ্ব্বাবস্থা স্মরণ করতঃ কম্পায়মান কলেবরে দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ পূৰ্ব্বক বামপাশ্বে পরিবর্তন করে। পরে নবম মাস প্রাপ্তে জঠরানল তাপে সন্তপ্ত বপু, ক্ষেত্ৰজ্ঞ পুরুষ দর্শনে হংসপদে পরমানন্দ তন্ময় হয়। ‘আমিই সেই প্রজ্ঞান ইত্যাকার ভাবে আনন্দিত হয়। কি প্রকার সেই প্রজ্ঞানানন্দ ক্ষেত্ৰজ্ঞ পুরুষ তাহা কহিতেছেন । ‘অঙ্গুষ্ঠমাত্র মমলং পুরুষং প্রকৃতেঃ পরং । ‘দৃষ্টাত্মানং দৃশাভক্ত্যা তুষ্টাব মধুরাক্ষরৈঃ ॥ অর্থাৎ অস্কুণ্ঠমাত্র লিঙ্গদেহবান নিৰ্ম্মল পুরুষ যিনি প্রকৃতিবিকার বিহীন তাহার দর্শনে আত্মভক্তিযুক্ত অহং মধুরাক্ষরভূষিত অব্যক্ত বাণীদ্বারা স্তৰ করতঃ পরিতুষ্ট
- স্ত্রী-প্রকৃতি, অবিদ্যা । # রজস্তমবিকারে। + রেত বা পরমাণু কিম্বা পুংবীজ । ৭া স্বস্বরূপাবস্থায় ।
