পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ংসবাকৃ-সারার্ণবীভাষা। এতাবত গৰ্ত্তিনী গর্ভবৎ?-অব্যক্ত মিথুনাত্মক অক্ষরব্রহ্ম হইতে প্রথমতঃ শ্রেষ্ঠবর্ণ-ব্রাহ্মণ স্বরূপ স্বর’ ব্যক্ত হয়েন, স্বয়ং প্রাইস্কৃত শব্দকে স্বর বলাযায়, তাহ অ কার। উ কার উৎপন্ন, এ কারণ তিনিই অগ্রজ ব্ৰহ্মা। ব্রাহ্মণ পরমাত্মার মুখ এ শ্রতিবাক্য ও সত্য। অ কার হইতে সকল বাক্য, ক্ষ কার মেরু, ও কার মূল। এই মূলকেই ষড়বিংশক মহাপুরুষ সকলশাস্ত্রের কারণ বলিয়া শ্রতি স্মৃতি পুরাণ দর্শন ও তন্ত্র তাবতে এক বাক্যে মান্ত করেন। অতএব শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য এক কেবল শাখা ভেদে যে পাদ ভেদ, বাস্তব একের মান্য অন্তের অমান্ত পণ্ডিতেরা করেন না। স্বরগর্ভিণী ত্রি পঞ্চাশদ্বর্ণাত্মিক বাণী ভগবতীই অব্যক্ত প্রকৃতি, ইনিই প্রণবাখ্য মূল পুরুষ যোগে চতুপঞ্চাশত অক্ষরাত্মিক হইয়া স্বরাথ্য অব্যক্ত হিরন্ময় গর্ভ স্বব্যক্ত করেন । পুরুষযোগ’-পরমজ্ঞানী কবি রামপ্রসাদ সেন স্বপদে গান করিয়াছিলেন যথা,— “কে জানে কালী কেমন, ষড়দর্শনে দর্শন মেলে না । “উঠে মূলাধারে চতুৰ্দ্দলে, সহশ্রারে করে গমন ॥ “যেমন পদ্মবনে হংস সনে হংসিরূপে করে রমন। “কে জানে কালী কেমন” । প্রথমশ্বাস উ কার’ এই প্রমাণে অকারাদি চতুর্দশ স্বব ইন্দ্রিয়াধিষ্ঠাতা ব্রাহ্মণ বর্ণ হয়েন। অনুস্বার ক্ষত্রিয়বর্ণ কীলক, দশপ্ৰাণ-বায়ুতে বিসর্গ, য কারাদি অষ্ট অন্তস্থ এবং ক্ষ স্পর্শরূপ বৈশুবর্ণ, আর পঞ্চভূত, পঞ্চতন্মাত্র, জ্ঞান কৰ্ম্মেন্দ্রিয় মনাদি অন্তঃকরণ একত্রিত পঞ্চবৰ্গীয় চতুৰ্বিংশতি ব্যঞ্জন (ম কার বিনা ) চতুৰ্বিংশতি তত্ত্ব সংজ্ঞক অব্যক্ত অক্ষর অবিকৃত প্রকৃতি শূদ্রবর্ণ হয়েন। শুক্ল লোহিত পীত ও কৃষ্ণ বর্ণে চারি জাতি স্বরূপে হে হংসি স্বরাথ্য এই ক্রোড়পত্র জানিবার যোগ্য হয় ইহা সত্য। এই জগজ্জননীবাণী দশমাস পুর্ণগর্ভ ধারণাস্তর কাল যন্ত্রপীড়িত হইয়। এই বিশ্ব ( বিরাট) প্রসব করেন, যাহাকে কৰ্ম্মতন্ময় জীব বলি। সেই সদ্যোজাত, বিপরীত গতি গত, ভূপতিত, জ্ঞানহত জীব “কাহং' ২ শব্দকরত গর্ভধৃষ্ট পরম পুরুষকে স্মরণ করিয়া রোদন করে। ঈশ্বর পারতন্ত্রেই ইহার বন্ধনাদি হয় বলিয়া ঈশ্বরকে . কৰ্ত্ত বিবেচনা করা স্তায় নয়, যেহেতু বিদ্যাশক্তি যুক্ত স্বতঃ অকৰ্ত্ত ঈশ্বর কেবল ফলদাতা, সাক্ষীমাত্র থাকেন। অতএব আত্মা অবিদ্যাশক্তি প্রযুক্ত প্রারব্ধ কৰ্ম্ম ফল ভোগার্থ বিচিত্র ২ তমু ধারণ পুৰ্ব্বক, মায়ারচিত বুহি প্রৰিষ্টবৎ জীবাকারে