পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামবেদ | 6 J ঈশ্বর সংজ্ঞায় ভেদ হইয়াছে, পরন্তু তদুভয়ের সাক্ষীস্বরূপ চৈতষ্ঠ এক বৈ দুই নয়। ভগবদ্গীত প্রমাণে মায়া দৈবী, গুণময়ী ও ছুরত্যয় ইতি ত্রিধা, ত্রিগুণাত্মিক, অর্থাৎ সত্ত্বগুণে দৈৰী প্রকাশবতী, রজোগুণে গুণময়ী কলাবতী, এবং তমগুণে দুরত্যয়া, ঘোররূপ ভয়ানক, বিস্ময়কর বা অনিৰ্ব্বাচ্য । একারণ তৎপদলক্ষিত পরমাত্মস্বরূপ জ্ঞানপ্রাপ্তি বিনা মায়ার পার উত্তীর্ণ হওয়া অসাধ্য বলিয়াছেন। এতদৰ্থে সেই দেব অমৃত বর্ষণ দ্বারা আত্মশক্তির পোষণ করেন, ও বিষ দ্বার হনন বা হেয় জ্ঞানে বিসর্জন করতঃ উদাসীন হয়েন ইহাও বেদবাক্যে এবং সৌন্দর্য্যলহরী গ্রন্থে প্রতিপাদিত হইয়াছে। প্রকৃতি পুরুষ উভয়েই অনাদি যেমন ভগবদগীতায় বলিয়াছেন, সেইরূপ বেদান্তেও 'অনাদি অবিদ্যা হইতে দ্বৈতোৎপত্তি ইহা সত্য' ইত্যাদি প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। পরমাত্ম জীবেশ্বর ব্রহ্ম নামে মায়া'অবিদ্যা চিচ্ছক্তির আশক্তিপ্রযুক্ত হ্রস্বনীর্বপ্নত রূপে প্রকাশ হইয়াছেন। চিৎশক্তি হ্রস্বা,মায়া দীর্ঘ। এবং অবিদ্যা তা হয়েন। চিৎশক্তি অৰ্দ্ধমাত্র গুণসাম্যাবস্থায় নিত্য অনুচ্চাৰ্য্যা অবিশেষ রূপা নিৰ্ব্বিশেষ ব্ৰহ্মাশ্রয়া, যথা চওঁীমাহাষ্মে,—‘অৰ্দ্ধমাত্রা মূল প্রকৃতি প্রণবের উৰ্দ্ধভাগে নিত্য অবস্থিতি করেন যিনি তড়িদামের ন্যায় কেবল চিদাকারা জড়ানাং চৈতন্তং পরম প্রকৃতি বলিয়া নিগম শাস্ত্রে নিরূপিত হইয়াছেন। হ্রস্ব ইকারাকার নিত্য সেই পরম শিবসংযোগে দীর্ঘ পরাবিদ্যাভাবাপন্ন ঈশ্বরাত্মিক মায়ারূপিণী ঈ হয়েন । ঈশ্বরাশ্রয়ে তিনিই দ্বিধা, মায়া ও অবিদ্যা, অর্থাৎ স্থল স্বক্ষ শরীর দ্বয়ের উৎপাদিক তা হয়েন। হৃদয়াকাশস্থ লিঙ্গদেহই ঈশ্বরদেহ, যাহাকে ‘ অপাণিপাদে যবনে গৃহিত্বা ? বলিয়া শ্ৰুতি স্তুতি করেন, আর চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্বাত্মিক স্থল দেহ এই প্রত্যক্ষ যাহাকে জীবদেহ বলা যায়। অন্নময়ে প্রাণময় ও বিজ্ঞানময় একত্রিত আনন্দময় জীবকেই ‘শিব’ বলা যায়। তাহারি অন্ত নাম বিষ্ণু । তিনি সত্ত্বগুণ প্রধানতায় তৎপদের প্রথমাংশ ব্ৰহ্মা, দ্বিতীয়াংশে র্তাহার প্রতিপালক বৈকুণ্ঠাধিপতি, ইচ্ছাশক্তির প্রভাবে ধৰ্ম্ম রক্ষার্থ মৎস্যাদিরূপেও অবতীর্ণ হয়েন। ব্ৰহ্মার প্রার্থনায় বিষ্ণুর অবতারাদি ধারণ যাহা পুরাণাদিতে স্বব্যক্ত আছে তাহাও সত্য । রুদ্র সেই তৎপদের তৃতীয়াংশ, যিনি ভৈরবাদি অবতার ধারণ পুৰ্ব্বক স্বতে অনন্তশক্তি শঙ্কর্ষণ কালাত্মা নামে প্রলয়কালে এই সমুদয় জগৎকে আত্মসাৎ করেন, অর্থাৎ ‘আহমেব কেবল আমিই হই, ইত্যাকার অহঙ্কার করত বিকট অট্টহাসে দিগ্ধ্যাপ্ত করেন । এতাবতী তৎপদলক্ষিত “মায় প্রতিবিম্বিত-চৈতন্ত ঈশ্বর’ স্বৰ্য্যকোটির স্থায়